তৃষ্ণা বসাক | ইয়ারের জাঁক, তবু নববর্ষের মায়া রহিয়া গেল

বাংলা নববর্ষ বর্ষ বরণ পহেলা বৈশাখ মিছিল

পয়লা বৈশাখ বলতেই বুদ্ধদেব গুহের গল্পের একটি চরিত্রকে মনে পড়ে। মানুষটি আপাদমস্তক সাহেবি, তাঁর বউও মেমসাহেব। পোশাক আশাক তো বটেই খাওয়াদাওয়াতেও সাহেবি​ ধরনধারণ একটু এদিক ওদিক হবার উপায় নেই, হলেই যেন সমাজে মান থাকবে না। সেই মানুষটিই সবার অলক্ষ্যে সাহেবি ধড়াচুড়ো ছেড়ে লুঙ্গি পরেন, লুকিয়ে লুকিয়ে পান্তা খান, তাতে ডলে দেন টবে বেড়ে ওঠা লেবুপাতা। এই লেবু,লুঙ্গি আর পান্তার অনুষঙ্গে আমরা বুঝতে পারি কেমন করে আমরা গোপনে গোপনে বাঁচিয়ে রাখি নিখাদ বাঙ্গালিয়ানা।

আসলে সংস্কৃতি তো আমরা বহন করি জিভে। জিভ আমাদের ​ একদিকে দেয় ভাষা আবার অন্যদিকে খাবারের আস্বাদ। তাই তো নেমসেক উপন্যাসের শুরুতেই দেখি আমেরিকায়​ আসা দেশকাতর নিঃসঙ্গ অসীমা ঝালমুড়ি বানাতে ব্যস্ত। ওই ঝালমুড়ির ​ মুড়ি, সরষের তেল, কাঁচা লংকা, পেঁয়াজের মধ্যেই​ যেন ​ তার একটুকরো দেশ, তার সংস্কৃতি। অর্থাৎ মাত্তৃভাষায় কথা বলার সুখ, আর মায়ের হাতের রান্না​ বা দেশি রান্না খাওয়ার সুখ। আমরা দেখি লন্ডনে থাকার সময় স্বয়ং বিবেকানন্দও ​ একটু আলুর তরকারি রাঁধতে পেরে কিরকম ছেলেমানুষি আনন্দে মেতে উঠেছিলেন।স্মৃতিকাতর মানুষ আসলে ফেলে আসা খাবারের স্বাদকাতর মানুষ-

‘কষা মাংস। দই মাংস। কালজিরে কাঁচালংকা রসুন পেঁয়াজ দেওয়া মুসুরির ডাল। এখনও রসুন কালজিরে আর শুখন লঙ্কা স্মবার দেওয়ার গব্ধ ভাসে নাকে।

সবই গ্যাছে গিয়া। বাঁইচ্যা থাইক্যা আর সুখ নাই গো কইন্যা। দুখের কথা কমু কারে? বৌ মেমসাহেব, মাইয়ারা ম্যামসাহেব, ভাইবউ সক্কলডি ম্যামসাহেব। দিশি মানষের দু;খ কারে কই কও?’

(চানঘরে গান, বুদ্ধদেব গুহ)

বহুদিন হল আমাদের সংস্কৃতির এই মূল উপাদান দুটোতেই টান পড়েছে। কজন বাঙালি আর শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে? বাংলা বললেও এক অদ্ভুত হিন্দি ইংরেজির হাঁসজারু অ্যাক্সেন্টে। কতদিন একেবারে বাংলা ফ বলতে শুনিনি কাউকে। যা শুনি তা হল​ ইংরেজি অফুলের ফ। সামোসা আর সিঙাড়ায় যে তফাত, এই দুই উচ্চারণরীতিতেও তাই প্রভেদ। খাদ্যের ব্যাপারেও তাই। কটা বাড়িতে আর বিশুদ্ধ বাঙালি রান্না হয়?

সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের পয়লা বা পহেলা বৈশাখ অনেকদিনই একলা বৈশাখ হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে আমাদের নাগরিক জীবনে। ​ তার কারণ পয়লা বৈশাখ পালনের যে কারণগুলি সেগুলি নাগরিক জীবনে অপ্রাসঙ্গিক।

হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারো মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এর শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকার এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি। শুধু বঙ্গ নয়, কেরল মণিপুর আসাম ওড়িশা পঞ্জাব তামিলনাড়ু সব জায়গাতেই একইভাবে। কিন্তু​ ভারতে মুঘল শাসনকালে বাদশারা হিজরি পঞ্জিকা অনুযায়ী কৃষি ফলনের খাজনা আদায় করতেন। কিন্তু হিজরি সন চলে চাঁদের হিসেবে, তা এদেশের কৃষি ফলনের সঙ্গে মিলবে কী করে?​ এর ফলে চাষীকে অসময়ে খাজনা দিতে হত, যা একটা সমস্যা তৈরি করল। এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করলেন। তাঁর আদেশে সে সময়ের বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের বিনির্মাণ করেন। এর ফলে সবাইকে চৈত্রের শেষ দিনের মধ্যে মাসুল, শুল্ক ও খাজনা শোধ করতে হত, আর বৈশাখের প্রথম দিন থেকে শুরু হত দোকানের নতুন খাতা বা হালখাতা। আগের বছরের বকেয়া মিটিয়ে ক্রেতারা নতুন বছরে নতুন করে খরিদ করা শুরু করতেন, দোকানীও তাঁদের মিষ্টি শরবত দিয়ে আপ্যায়িত করতেন। বিশেষ করে সোনার দোকানে এই প্রথাটির খুব চল ছিল। যেহেতু আমাদের বিশ্বাসে সোনাকে শুভ মানা হয়, তাই বছরের প্রথম দিনে অনেকেই সোনা কিনতেন। ​ যাঁরা নতুন সোনা কিনতে পারতেন না, তাঁরাও চেষ্টা করতেন সোনা ছুঁয়ে থাকতে। বেশ মনে পড়ে আমাদের ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের বেলায় একটা ঘটির জলে মা পাঁচ ফুল আর সোনা আর রূপা রেখে দিতেন। স্নানের পর সেই জল মাথায় ছিটিয়ে নতুন জামা কাপড় পরতে হত। এইভাবে বছরের বাকি দিনগুলোর জন্য চেয়ে নেওয়া হত শুভ দুই ধাতুর পরশ। সেই প্রথাটিও যেমন ধনতেরাসের ধাক্কায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে, তেমনি বছর শুরুর গরিমাও আর বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখের নেই।

তা বোধহয় আশা করাও যায় না। কারণ বাঙালির রুজি রুটি অর্থনীতি পুরোটাই এখন ইংরেজি ক্যালেন্ডার নিয়ন্ত্রিত। বাংলা সন তারিখ মনে না রাখলে আমাদের পেটে টান পড়ে না। আমাদের মানে নাগরিক বাঙালির যাদের কৃষিকাজের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। শুধু যে দিন তারিখ নয়, আমাদের ছেলেমেয়েদের রাতের ঘুমও কেড়ে নিয়েছে পশ্চিমী ক্যালেন্ডার। তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর একটা বড় অংশ আমার আপনার ঘরের নবীন প্রজন্ম, যারা সারারাত জেগে কম্পিউটারে কাজ করে, কারণ ওই সময়টা আমেরিকায় দিন, মানে ভরপুর কাজের সময়। তাই আমরা রাতের ঘুমটুকুও যখন ছেড়ে দিতে পেরেছি, তখন বাংলা মাসের হিসেব ছাড়া কী আর এমন বেশি কথা? বাংলা তারিখের খোঁজ পড়লে আমাদের বেশির ভাগ লোককেই সেদিনের খবরের কাগজ দেখতে হয়। সবার মনে পড়বে দূরদর্শনে মাঝে মাঝে বিশেষ বিশেষ দিনে, বিশেষ করে ২৫ শে বৈশাখের দিন লোকজনকে বেমক্কা ‘২৫শে বৈশাখ কেন বিখ্যাত?’ জাতীয় প্রশ্ন করে বিপদে ফেলা হয়। সেখানে যে উত্তর গুলো উঠে আসে, তা দিয়ে একটা জোকবুক হয়ে যায়!

তবে শুধু আজকের বাঙ্গালিকে দুষে লাভ নেই। বরাবরই বাঙালি দুই সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করতে অভ্যস্ত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার আগে থেকে বাঙালি রুজির টানে বাংলা ছাড়াও শিখেছে আরবি ফার্সি। তারপর সে আত্মস্থ করেছে ইংরেজি, শুধু ভাষা নয়, খাবার, বেশবাস সবই। বাঙালির রেনেসাঁর একটি বৈশিষ্ট্য এটাই যে তা একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ও বাঙালি। তার পা মাটিতে, মাথা আকাশে। এর ঢেউ রান্নাঘরেও পৌঁছেছে। বিজয়া রায়ের ‘আমাদের কথা’-য় পড়ি তাঁদের ছোটবেলায় দুপুরে বাঙালি খাবার আর রাতে কন্টিনেন্টাল হত। লীলা মজুমদারের হেঁসেলেও তাই পাচ্ছি। সুতরাং বাঙালি যে ইংরেজি নতুন বছরকে আপন করে নেবে, তাতে অবাক হবার কিছু নেই। এর পেছনে যে শুধু তার ‘আমরা বিলেত ফেরতা কভাই/ আমরা সাহেব সেজেছি সবাই’ সিন্ড্রোম কাজ করে তাই না, মনে রাখতে হবে, প্রকৃতির যোগসাজশের একটা বড় ভূমিকা আছে। শীতের আমেজ, বেড়ানোর উপযুক্ত আবহাওয়া, চার্চের ক্যারল, পার্ক স্ট্রিট –এসব তার মধ্যে একটা উচাটন তৈরি করে। ইংরেজি নতুন বছর আর বড়দিনের টান বাঙালির কেন তার একটা উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় ঈশ্বর গুপ্তের কবিতায়।

​‘ভেটকি কমলা আদি মিছি­রি বাদাম।
ভাল দেখে কিনে লয় দিয়ে ভাল দাম।
মনে মনে খেদ বড় কান্না হয় রেতে।
পরমান্ন পিটাপুলি নাহি পান খেতে।।..

দিশী সহ বিলাতীর যোগা­যোগ নানা।
কত শত আয়োজন ইয়ারের খানা।।
ফ্রেশ- ফিস ভরা ডিস মধ্যে ভাতে ভাত
সে পাত সুপাত নয় নিপা­তের পাত।।

অখিল ভরিয়া সুখে করে জলসেবা।
যেতে যেতে মেতে উঠে খেতে পারে কেবা?

(বড়দিন)


আয় লোভ চল যাই হটেলের শপে।
এখনি দেখিতে পাবি কত মজা চপে।
গড়াগড়ি ছড়াছড়ি কত শত কেক
যত পার কষে খাও টেক টেক টেক
সেরি চেরি বীর ব্র্যান্ডি ওই দেখ ভরা
একবিন্দু পেটে গেলে ধরা দেখি সরা।

ক্রিম ডিম আলুফিস ডিস্পরা কাছে
পেট পুরে খাও লোভ যত সাধ আছে।

(ইংরাজি নববর্ষ)

তবে বিশ্বায়নের পর, বাজার ধরতে মরিয়া পণ্যনির্মাতাদের কাছে আঞ্চলিক সংস্কৃতির কদর আগের থেকে বেড়েছে। যেমন খবরের কাগজের আঞ্চলিক সাপ্পলিমেন্ট বের হচ্ছে সেই বাজার ধরার জন্য, তেমনি বিহু, পোঙ্গল, বৈশাখী বা বাঙালির নববর্ষও আর ব্রাত্য নেই। এই সময় বাজার ছেয়ে যায় হরেক অফারে। পাঁচতারা হোটেলে মোচার ঘন্ট শুক্তো খেয়ে সারাবছরের অপরাধ ক্ষালন করে বাঙালি। আর কিছু না হোক, হুজুগের দিক দিয়ে ধীরে ধীরে নিউ ইয়ারের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলা নববর্ষ।

সে বেশ কথা। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতা, ঔপচারিক­তার বাইরে ছোট ছোট নি­য়মনিষ্ঠা, ব্রত পার্ব­ণে যে প্রাণের স্পন্দন বেজে উঠত, সেটা আর নাগরিক জীবনে কই? চৈত­্রের শেষ দিনে ছাতু খাওয়া , বিশেষ করে বাঙ­্গাল বাড়িতে আবশ্যিক ছিল। পয়লা বৈশাখের সক­ালে নিম হলুদ বাটা মে­খে স্নান করাও তেমনি। আগেই বলেছি, আমাদের বাড়িতে একটা ঘটির জলে পাঁচটা ফুল আর সোনা রুপোর কোন গয়না, সা­ধারণত আংটি ডোবানো থা­কত। স্নান করে সেই জল গায়ে ছিটিয়ে দিতেন মা। মনে করা হত, এতে সারা বছরের সব কাজেই শুভ ছোঁয়াটুকু থাকল।

বাঙালি মেয়েরা যে শুধু নিজের স্বামী সন্­তানের মঙ্গলটুকু চেয়েই খুশি থাকতেন, তা কি­ন্তু নয়। তার প্রমাণ রয়েছে নানা মেয়েলি ব্­রতে। যেমন পৃথিবী পূজা ব্রত। চৈত্র সংক্রা­ন্তি থেকে সারা বৈশাখ মাস এই ব্রত পালন করা হয়। ব্রতের ফল হিসে­বে বলা আছে- আমরা সবাই পৃথিবীর ওপর বাস করি। মা যেমন সন্তানের অত্যাচার বুক পেতে নে­ন, পৃথিবীদেবীও তেমনি আমাদের শত অত্যাচারেও বিচলিত হন না। যে পৃথিবীমাতা আমাদের জন্­যে এত করেন, তাঁহাকে সন্তষ্ট রাখিলে সংসারের মঙ্গল সাধিত হয়ে থাকে’ মাটিতে পিটুলি দিয়ে পদ্মপাতা এঁকে সে­খানে আবাহন করা হয় পৃ­থিবীমাতাকে।

ভাবতে অবাক লাগে ইকোল­জির তত্ত্ব চালু হওয়ার কত আগে বাংলার মা বোনেরা প্রকৃতিকে বাঁচানোর কথা ভেব­েছেন আর তার শুভ সূচনা হচ্ছে এই পয়লাতেই। এই দিনই তুলসী গাছটির ওপর মাটির ঝারা বাঁধা হয়, যাতে রৌদ্রদগ্ধ তুলসী গাছটি জীবনরস পায়, খর রোদে শুকিয়ে না যায়। আমাদের পয়লা বৈশাখ এইভাবেই জড়িয়ে রাখে সারা পৃথিবীর মঙ­্গলকামনাকে। শুধু মান­ুষ নয়, সমস্ত জীব এবং গাছপালা সবাই ভালো থাকলেই তবে আমরাও ভালো থাকব- এমন শুভবোধ আর সুবিবেচনার কথা বলে। এ জীবন শুধু মানুষের নয়, শালিখের, চড়াইয়ে­র, দোয়েলের, গাছের, নদীর, পুকুরের। তাই তো ব্রতের নাম অশ্বত্থপ­াতার ব্রত কিংবা  পূণ্য পুকুর। আর এখানেই​ ইংরেজি নিউ ইয়ার থেকে গেছে আমাদের বৈঠকখা­নায়, অন্দরমহলে প্রবেশ করেনি। ইংরেজি নিউ ইয়ারে আমরা ফূরতি করি, পার্ক স্ট্রিটে যাই, কিন্তু সে যেন বহির­ঙ্গের বাঙালি, অন্তরঙ্গে সে তো নববর্ষের শুভচেতনা আর শুদ্ধতাকে জড়িয়েই বাঁচতে চায়। ​ যেন বাড়ির খানিকটা বাউন্ডুলে অবাধ্য ছেলেটির মতো, মা জানেন, যেখানেই যাক, বচ্ছরকার দিনে সে বাড়ি ফিরে আসবেই। পয়লা বৈশাখ বা­ঙালির সেই ঘরে ফেরা, শেকড়ে ফেরা। সেই বাঙা­লি নিম হলুদ মাখুক বা না মাখুক,​ সোনা কি­নুক বা নাই কিনুক, লু­কিয়ে পান্তা খাক বা হোটেলে শুক্তো খেতে ছু­টুক, সে বাঙ্গালিই। বিশেষ করে বাংলার বাইরে গেলে সে বাঙ্গালিত্­বের পরীক্ষায় সে সসম্­মানে উত্তীর্ণ। বিন্ধ­্যাচলে দু তিন ঘর বাঙালির মধ্যে শৈশব কাটা­নো এক নারী যেমন আজো ভুলতে পারে না তাদের পয়লা বৈশাখের ঘটাপটা। শত অভাবেও তার মধ্যে এইদিন এক চিলতে সোনা কেনার অভ্যেস রয়ে গেছে।

হয়তো ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের ফলে ওপারের বাঙালির জাতিসত­্বা প্রবলতর, তাদের পহেলা বৈশাখ অনেক ব্যপক এবং অসাম্প্রদায়িক উৎসব। সে ছবি ফুটে ওঠে আবু জাফরের কবিতায়-

আবার এসেছে ফিরে, বাঙালির ঘরে, নবরূপে পহেলা বৈশাখ..
লালপেড়ে শাড়ি, কানে দিয়ে দুল, চোখে কাজল
খোঁপায় গাঁদা ফুল
কামার কুমার জেলে তাঁতি, হিন্দু মোছলেম, বৌদ্ধ খ্রিস্টান জাতি
আনন্দ উল্লাসে বৈশাখী মেলায় এসে আজ সব ভেদাভেদ ভুলে যাক.....

বৈশাখী ঝড়, আসছে সেজে বর, কালো মেঘ
অপলকে চেয়ে থাক,
ইলিশ আর পান্তা খেয়ে রমনার বটমূলে বাজায়
ঢোল আর ঢাক।

গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে কেউ খাই প্রাণভরে
পান্তাভাত আর শাক।
আবার এসেছে ফিরে বাঙালির ঘরে, নতুন করে
পহেলা বৈশাখ।

এপারে হয়তো তা কিঞ্চিত ম্রিয়মান। কিন্তু তা কোনক্রমেই হারিয়ে যায়নি, ফল্গু নদীর মতো অন্তঃসলিলা বাঙ্গালিত্ব বয়ে চলেছে শিকড় ছুঁয়ে ছুঁয়ে, আর সেখানেই নিউ ইয়ারের সব জাঁকজমক সত্ত্বেও পয়লা বৈশাখেরি জিত। কারণ তার যে মায়া রহিয়া যায়।​ ​



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.