বাদশাহী পোলাও
মরুভূমিতেও বৃষ্টি হয় জানেন তো? এমনকি সাঁতারও হয়। এই সাঁতারই সপ্তসিন্ধুর চন্দ্রাবাস।
প্রথমে তপ্ত করে নিন শুকতারার মনোহরপুরা। ছেঁকে নিন শ্যামাকান্ত বৃন্দাবনের নিরালা।
এই রান্নায় ভিড়ভাটটা একদম নয়। মনে রাখবেন,
হোম কিন্তু শুধু যজ্ঞ নয়। অভ্যর্থনার শ্লোকও। বাঁশীর সাথে জারিত হোক অনন্তবিরহ।
ঘড়িতে মেপে নিন জলের মাত্রা। চার দাগ চোখের পলক। খেয়াল রাখবেন নৌকো আর যমুনার বিষন্নতা। এইবার বেশ দরাজ হাতে মিশিয়ে দিন, আধছটাক সুদূর।
অন্নকল্প সুগ্রন্থিত হলে, খুলে দিন ঐশীসঙ্গীত। গান, আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয়।
গাইতে গাইতে তাকে ছড়িয়ে দিন প্রিয়জনের চারপাশে।
জাঁহাপনা জমজমাট
আকাশলীনার সাথে গুণ করুন নীলাকাশ। এবার গুণফলটির সাথে তিন হাতা বিয়োগ, যোগ করুন।
বৃষ্টিপ্রণালীর জিরেদানায় ছড়িয়ে দিন। দেখুন হার মানছে কি? এবার অরুণবালিকার ছদ্মবেশ নিন, চেষ্টা করুন জীবগণিতের সাথে জীবাত্মাকে মেশাতে।
হিসেব মেলানোর চেষ্টা। তেষ্টার আকার যেন নিরাকার হয়। বেদানায় মিনে করা দালিমের শিষ।
সবাই পারছে, আপনি কেন পারবেন না?
একটা টিয়া পাখির সাথে আরেকটা টিয়াকে যোগ করুন। এইতো, কেমন গুণের গুণিতক টগবগ। সব্বাইকে অবাক করে, এমনকি আমাকে অবাক করে। আপনার হাতে বানানো যোগফলটি, তেহাইয়ের কসুরিমেথি।
রান্নাকিরণে ফুটে ওঠা গুচ্ছরঙের ইচ্ছেতবক।
মাখনশিমের আরশি
আজ বুঝি আপনার কাঁধে অঘোর জ্বরের লটবহর? আজ তবে হাল্কা অথচ ধোঁয়াদার কিছু রান্না।
প্রথমে নিন বাতাসের ভাস্কর্য। মেশান তাতে একরাশ ময়দাফুলের চারুকলা।
স্পর্শে বুঝে নিন, তাপমাত্রার ফ্যানাগুলি কতখানি মজবুত।
কাঠামোর প্রাচীরে হাল্কা একটু বিদ্যুৎ? নাকি প্রতিটি পাল্লায় অসুখভারি সংরাগ?
কুসুমকলির লালন শুনতে থাকুন। যদি ছল্কায় শীতল বেসনের ঝাড়বাতি, বুঝবেন প্রস্তুত হয়েছে মিউজিক থেরাপি। করুণঘন এক ঝুলি জলপট্টি। তাপমাত্রার পিদিম কম করে দিন।
জ্বর কমুক। হোক সুস্থ তানপ্রধান সরগমের খামার। কলিজায় হেসে উঠুক রসিক শর্করা।
সুচিন্তিত মতামত দিন