নিমাই জানা | বাবা'র পায়ে একগুচ্ছ চন্দন গাছের স্তম্ভমূল লেগে ছিল মায়ের মৃত্যুর পরদিন থেকে

সূক্ষ্মকোণ ও এগারটি 
বাবা রঙের পুরুষ গাছ


জীবাশ্ম নিয়ে জোনাকির মতো আবছায়া অন্ধকারে মিলিয়ে যায় লিউকোপ্লাস্টের দুটো দাঁত ,
আমি সূক্ষ্ম কোণের গভীর রাশিচক্র ভেঙে কর্কটক্রান্তির ছায়াপথ পুড়িয়ে খাই একটা শস্যহীন খোলা মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে ,আমার পুংকেশর আর ফ্যালোপিয়ানের ঠোঁট সর্বদায় ভালো লাগে

আমি শুধু জলাশয়ের পাশে চেরা চেরা জিভের শ্বাপদ প্রাণীর পায়ের শব্দের দিকে অতঃপর চেয়ে থাকি স্তম্ভমূল মুখে নিয়ে অমৃত জল খেয়ে নেয় তারা , আকাশের মতো আর কোন উল্টানো পাথরবাটি নেই

যেখানে আমি পুড়তে পারি না আমার কোন অসদবিম্বের মতো। আসলে আমার পাগুলো অমসৃণ কর্দমাক্ত কাঠামোয় আটকে পাথর হয়ে গেছে , কাঠের মিস্ত্রী আমার পাগুলো লোহার পেরেক দিয়ে আটকে দিচ্ছে একটা বৃত্তাকার ছায়াকাঠের সাথে

আমার ঈশ্বর চৈতন্য ঘোরে দীর্ঘ বাঁশ গাছের ডগার মতো রাতের প্রতিটি প্রহর এগিয়ে যায় অসমাঙ্গ ভগ্নাংশ সংখ্যা দুটির দিকে

আমি শুধু বৃত্তাকার জানালায় পাথর ফুলের গাছে রেখে আসি, লাল নয়ন তারা ফুলের নাভির নিচে ১১ টি বাবা রঙের পুরুষ গাছ​ দাঁড়িয়ে থাকে যার বাম আঙুল থেকে অক্সিন রঙের আকাশ উঠে যাচ্ছে

বাবা'র পায়ে একগুচ্ছ চন্দন গাছের স্তম্ভমূল লেগে ছিল মায়ের মৃত্যুর পরদিন থেকে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.