দাদা, একটা হরতাল হবে? চটপটে দোকানি বয়ামের দিকে হাত বাড়ায় । লাল নীল গেরুয়া সবুজ কি রঙের লাগবে বলুন ! দাদা মোম আছে ? আছে আছে । কটা লাগবে বলুন , এক ডজন নিলে একটা দেশলাই ফ্রী। আর কালো ফিতে? শুধু ফিতে? সেফটিপিন নেবেন না ? আর হ্যাঁ , ব্যানারের দোকানে খোঁজ নিস। ব্যানার বানাতে বানাতেই লাল হয়ে গেল বেটা। একটা পাগল হে হে করে হাসছে। থানা ঘেরাও হবে না ? হলে, আমাকে ডাকবেন । রুলের ঘা খেয়ে সেই কবে মাথার স্ক্রু ঢিলে হয়ে গেছে । খাকি উর্দি লাগবে ? উর্দি ? জংলা ছাপ উর্দিও আছে । একেবারে প্যারামিলিটারি মনে হবে। ভোটের বাজারে হেভি বিকোয় । ওরা চটপট ছাপ মারে। বাইরে প্রহরা । সুদীপ্তর মা নেই। বাবা গিটার বাজায়। স্বপনের মা ভাত বেড়ে বসে থাকে। মইদুল , বাড়ি যাবি না ? আনিস , পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছে তো ? জানিস না , ছাত্রানং অধ্যয়নং তপ ! আর এই যে কামদুনীর মেয়ে , কি হবে কলেজ গিয়ে ? ঘরে বেকার দাদা । তুই রেপ হলে চাকরি মিলবে ।
ওরা যা পারে করুক । জানা আছে কতদূর যাবে ! একটা হরতাল। মোমবাতি মিছিল গোটা দুই। তারপর ভান্ডারে লাইন। হরির লুট খামচা খামচি করতে বয়ে যাবে বেলা । ছেলেমেয়েদের মা ভাত বেড়ে বসে থাকবে । বাবা খোঁজ নিতে যাবে ফেরার রাস্তার দিকে । আমরা বেহালা বাজাবো । কি বললেন ? এত বেহালা পাব কোথায় ? ঠিক আছে , গানওলা গাইবে আমাদের। একদিন যেমন গাইত। আরে যা । ফাটা কপাল ! সে এখন মন্দির বানাতে ব্যস্ত। পাগল , পাগল ভাই , আছ কি এখনো ? "রক্ত করবীর" পরে আর কোন রোল নেই মোটেই ভেবনা। তুমি পার । তোমরাই পার । সব পথ তোমাদেরই চেনা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন