জয়া চৌধুরী

মিছিল ভ্যালেন্টাইন কবিতা

অম্লান
জয়া চৌধুরী


১।

রোজ রোজ ঝাঁকুনি দিই আজকাল
রোজ রেগে উঠি একথা বলাই চলে না
তুমি তো জানো আমার রাগ কেন হয়
তুমি তো জানো কান্না পেলে কাঁদি সহজে
তুমি তো জানো চাকার উপরে বারবার শক্ত দাঁড়িয়ে থাকার জীবন

তো? তাতে কী?
অভিমান হলে রেগে ওঠা ছাড়া পথ কী?

২।

আমাদের প্রথম চুমুর কথা মনে পড়ে তোমার?
আমার পড়ে না একদম কীভাবে
ছুঁয়েছিলে কীভাবে উড়ে গিয়েছিল এক ঝাঁক প্রজাপতি
কীভাবে কোকিল গেয়ে উঠেছিল অসময়ে
কীভাবে মাঝরাতে দাঁড়িয়েছি তোমার দরজায়
কতবার যন্ত্রণা দিয়েছ কথা বন্ধ করে
কতবার যন্ত্রণায় দিয়েছি ডুব তোমার বুকে
এ সব কিছুই মনে পড়ে না একদম, আসলে
ভুলে গেলে তবেই কারো মনে পড়ে, জানো না?

৩।

আমরা সিরিয়াস কথা বলি এই ধরো
রবীন্দ্রনাথ কতখানি একা ছিলেন ভেতরে ভেতরে
এতখানি প্রেম বুকে করে এতদূর একলা থাকতে
কতখানি গভীর আধার থাকতে হয় সে কথা অথবা
সার্ত্রে-র শবানুসরণে বোভোয়া বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন

সেকথা জানার পর থেকে ভেবে গেছি সম্বন্ধে
ওপেন থাকার ঠিকঠাক অর্থ তাহলে কী? এতখানি আলাদা আলাদা সম্বন্ধে বারবার ঘূর্ণনের পরেও মরে গেলে এভাবে তীব্র কষ্টে -

দ্রবীভূত কীভাবে হয় কেউ…
ভালবাসা কাকে বলে ? 
Previous Post Next Post