✓ উৎসব ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
এক।।
হেঁটে চলেছে হেমন্তের উৎসব
অরণ্য এবং ফসলের সবুজ ধুয়ে এগিয়ে চলেছে নদী
নদীর মতো কিছু মানুষের শ্রম ও ঘামের পোশাক
চোখ মুখ কান ঠোঁট চুল চামড়া
মনের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে
সবখানে অঙ্কুরিত ঈগল যন্ত্রণার বীজ
আমি হারিয়ে ফেলেছি ঘ্রাণময় কোমল সমুদ্রটাকে।
দুই।।
আলোকের উৎসবে হেমন্তের হিমেল আকুতি
তবুও পুড়ে যায় চঞ্চল ঢেউ ভরা নদীর দূকুল
পোড়া গন্ধে মাতাল রোদ নামে
ছাই চাপা আগুনের লেলিহান প্রেম
ক্রমাগত আর্তনাদ করে।
বোবা কান্না জ্বলে উঠে উনুনে উনুনে
দিনরাত রান্না হয় আতংকের ডাল ভাত চচ্চড়ি
আমরা কোথায় যাব!
বহুকাল কাছাকাছি আছি তবুও
তোমার ভাষা শিখিনিতো আমি
আমার ভাষাও তুমি শিখতে চাওনি কখনও।
তিন।।
বাবাকে আর দেখা হবে না কখনও
ডাইনিং টেবিলে তার স্নেহ গড়িয়ে চাঁদ উঠবে না
কোনদিনও মুখস্থ হবে না কবিতাগুলো
কাঁধে চড়ে অঞ্জলি দেয়া হবেনা
আমার ভাষাও তুমি শিখতে চাওনি কখনও।
তিন।।
বাবাকে আর দেখা হবে না কখনও
ডাইনিং টেবিলে তার স্নেহ গড়িয়ে চাঁদ উঠবে না
কোনদিনও মুখস্থ হবে না কবিতাগুলো
কাঁধে চড়ে অঞ্জলি দেয়া হবেনা
আদিত্য সাহার হাত ধরে যাওয়া হবেনা খেলার মাঠে
স্কুল ও আকাশ কালো কাপড়ে মোড়ানো
স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো
হিংসা ঘৃণা ও বর্বরতায় শুয়ে আছে লাশকাটা ঘরে।
চার।।
চিঠি আসে
চিঠির শরীর থেকে পোড়ানো ধূপের গন্ধ উড়ে
ঘন্টাধ্বনি আসে দূর বহুদুর থেকে
ডাক পিয়নের গান থেকে খসে যায় সূর্যটা
মানুষের কন্ঠস্বরে আগুনের মেঘ
উৎসব ঘিরে বর্বরতার ফেরিওয়ালা
কারো কারো দীর্ঘ নিঃশ্বাস ভরা অপেক্ষায়
কারো সমুদ্র সমুদ্র চোখের লোনাজলে।
স্কুল ও আকাশ কালো কাপড়ে মোড়ানো
স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো
হিংসা ঘৃণা ও বর্বরতায় শুয়ে আছে লাশকাটা ঘরে।
চার।।
চিঠি আসে
চিঠির শরীর থেকে পোড়ানো ধূপের গন্ধ উড়ে
ঘন্টাধ্বনি আসে দূর বহুদুর থেকে
ডাক পিয়নের গান থেকে খসে যায় সূর্যটা
মানুষের কন্ঠস্বরে আগুনের মেঘ
উৎসব ঘিরে বর্বরতার ফেরিওয়ালা
কারো কারো দীর্ঘ নিঃশ্বাস ভরা অপেক্ষায়
কারো সমুদ্র সমুদ্র চোখের লোনাজলে।
সুচিন্তিত মতামত দিন