রুমকি রায় দত্ত


শব্দের মিছিল

বৃত্তের ভিতরেঃ


টেবিলের উপর সুসজ্জিত চায়ের কাপ। সুনন্দ চেয়ারটা টেনে পায়ের উপর পা চাপিয়ে আরাম করে বসল। কাপটা কাছে টেনে একটা ছোট্ট চুমুক দিল। পাশেই ভাঁজ করে রাখা সকালের টাটকা খবরের কাগজ। বাঁ-হাত দিয়ে টেনে নিল সেটা। প্রথম পাতা জুড়ে গত রাতের খেলার খবর। সেদিকে চোখ রেখেই বেশ জোরালো কন্ঠে বলে উঠল—

--কালকের খেলাটা শেষ পর্যন্ত দেখেছিলে বাবা?

সুনন্দ’র বাবা শিশির বিশ্বাস তখন বারান্দায় টাঙানো মা কালির ছবিতে ধূপ দেখাচ্ছিলেন। তাড়াতাড়ি দু-হাত জোড় করে প্রণাম সেরে বললেন-

--ও খেলা শেষ পর্যন্ত আর দেখার কি ছিল?

--হুমম, সেটা ঠিকই বলেছ, তবে কোথাও একটা আশা ছিল আরকি। ইন্ডিয়ার হারটা কিন্তু সন্দেহ জনক। তোমার কি মনে হয়?

--সবার যা মনে হয়, আমারও তাই।

--কাগজেও তেমনই কিছু ইঙ্গিত রয়েছে, বলেই সুনন্দ চোখ বোলাতে বোলাতে পাতার নিচের দিকের খবরের দিকে চলে যায়।

বিড়বিড় করে হেডিং পড়তে থাকে।

--‘ড্রাইভারের সাথে পালাল, শহরের বিখ্যাত ব্যবসায়ীর স্ত্রী’। পালাবে না, এই জন্যই মেয়েছেলেদের এত স্বাধীনতা দিতে নেই; বলেই চোখ রাখে পরের শিরোনামে।

‘চোর সন্দেহে গণপিটুনি,পুলিশ এসে উদ্ধার’। ‘ব্যাংকে সুদের হার কমিয়ে করা হল ৬.৯৮%’... দেখেছ বাবা আবার কমালো সুদের হার। এবার সমস্ত ব্যঙ্কিং ব্যবস্থাটাই না তুলে দেয়! কিছুটা বিরক্ত হয়েই সশব্দে পাতা উলটালো সুনন্দ। জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়তে লাগল—‘পছন্দের পোশাক জিন্স পড়তে বাঁধা দেওয়ায় আত্মঘাতী গৃহবধূ’।

রান্নাঘরের দরজার কাছে এসে দাঁড়াল বিদিশা। সুনন্দ জোরে জোরে পড়ছে খবরটা-‘ গতকাল বৈদ্যবাটী মালির বাগানের কাছে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশী ও মহিলার বাপেরবাড়ির লোকজনের কাছে পাওয়া খবর থেকে জানা যায়, মহিলা জিন্স ও টি-শার্ট পড়তে পছন্দ করতেন, কিন্তু তাঁর এই পোশাক নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আপত্তি জানানোই অশান্তি হত মাঝে মাঝেই’...এই পর্যন্ত পড়েই দাঁতে দাঁত ঘষে চেঁচিয়ে উঠল সুনন্দ ‘ শাল্লা এই সব মেয়েছেলেদের বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানো উচিত’।

চমকে উঠল বিদিশা। আড়চোখে শাশুড়ির মুখের দিকে তাকাল। তখনও টুকরো টুকরো কথা তীক্ষ্ণ ফলা নিয়ে ছুটে বেরিয়ে আসছে সুনন্দর মুখ থেকে... ।‘শালা বজ্জাত মেয়েছেলের দল,পুরুষদের সাথে পাল্লা লাগাচ্ছে। আমার বাড়ির বৌ এমন করলে না’... এই পর্যন্ত বলেই থেমে গেল সুনন্দ।

সুনন্দর বাবা গলায় একটা আওয়াজ করে বলে উঠল—‘ঐ জন্যই তো আমি সব সময় সবাইকে সতর্ক করি, বাড়ির মেয়েদের হাতে কাঁচা টাকা দিতে নেই। দিলেই স্বেচ্ছাচারিতা আর ফালতু খরচ। এই তোর মাকেই জিজ্ঞাসা কর না, ওর কি কোনোদিনও টাকার দরকার পড়েছে? আমি কি কখনও ওর কোনো অভাব রেখেছি? শাড়ি-কাপড়, গয়না, গাড়ি-বাড়ি কোনটার অভাব রেখেছি?’

রান্নাঘর থেকে অস্ফুটে বলে ওঠে মঞ্জুলা ‘ হ্যাঁ, সব দিয়েছ,শুধু কেড়ে নিয়েছ আমার অস্তিত্ব,আমার স্বাধীনতা’। মিক্সিমেশিনের গোঁ আওয়াজের সাথে মিশে গেল ওর দীর্ঘশ্বাসের শব্দ!

বিদিশা নিঃশব্দে টেবিলের উপর সাজিয়ে দেয় শ্বশুর আর বরের জলখাবারের থালা। সুনন্দ আলুরদম মুখে পুরেই বিদিশার দিকে তাকিয়ে বলে—

শুধু টাকা চাইলেই হবে? কাজ করে দেখাও, তবে তো টাকা। কবে থেকে বলছি মা’র কাছে রান্না গুলো শিখে নাও, সেটা শেখার নাম নেই, শুধু আমায় দেখলেই যত টাকার কথা মনে পড়ে’।

বিদিশার বুক ঠেলে যেন উঠে আসতে চায় কান্না। সামলে নেয় নিজেকে। জীবনটা কেমন যেন হঠাৎ করে এক ক্ষুদ্র বৃত্তের মাঝে আটকে গিয়েছে। মাত্র দু-বছরেই হাঁপিয়ে উঠেছে।

সুনন্দ আর শ্বশুরমশাই বেরিয়ে যেতেই টেবিলের উপর বসে পড়ে বিদিশা। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। মঞ্জুলা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়ায় বিদিশার কাছে। মেয়েটা টেবিলে মাথা রেখে কেঁদে চলেছে। ঠিক কি করবে বা এই মুহূর্তে করা উচিত বুঝে উঠতে পারে না মঞ্জুলা। বিদিশার মাথায় হাত রেখে স্নেহের স্পর্শ বুলিয়ে দিতে দিতে বলে—

--ওঠরে মেয়ে, এত সামান্য কারণে মেয়েদের ভেঙে পড়তে নেই মা। ঈশ্বর ঐ জন্যই তো মেয়েদের এত সহ্য শক্তি দিয়েছেন। এখন বল দেখি কি কারণে টাকা দরকার তোর?

কাঁদতে কাঁদতে থমকে যায় বিদিশা। অবাক হয়ে মঞ্জুলার দিকে চোখ তুলে তাকায়। কপালের সামনের চুলে সবে দু-চারটে রুপোলি চুল উঁকি মারতে শুরু করেছে। কত আর বয়স হবে? খুব বেশি হলে পঁয়তাল্লিশ বা ছেচল্লিশ। বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করে—

--কি করে এতগুলো বছর পরাধীন হয়ে কাটালেন মা? কি করে পারেন এত মানিয়ে নিতে! কখনও মনে হয়না সংসারের এই ছোট্ট বৃত্তের বাইরে পা রেখে দেখতে? মনে হয়না,নিয়মের বাইরে, শাসনের বাইরে উঁকি মারতে? আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই মা, তাই আপনার ছেলের কাছে টাকা চেয়েছিলাম। গয়না ডিজাইনিং এর আরও ভালো ট্রেনিং নিতাম।

মঞ্জুলা একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে বিদিশার পাশে। ওর মুঠোকরা হাতের উপর হাত রেখে বলে, আমিও চাই, তুই মুক্ত হয়ে বাঁচ। এক সময় আমিও স্বপ্ন দেখতাম নিজের একটা পরিচয় গড়ে তুলব।সংসারের এই বৃত্তের মধ্যে ঢুকে বুঝতেই পারলাম না, কখন স্বপ্ন দেখার চোখটা বৃত্তের প্রাচীরে বন্দি হয়ে গিয়েছে। অনেক সাহস দরকার জানিস, অনেক সাহস! যাঁরা বৃত্তেই বাইরে পা রাখে তাঁরা আমার থেকে অনেক সাহসী।

--মা, চাইলেই আমরাও সাহসী হতে পারি।

--পারি না রে, আমরা সত্যিই আর পারি না। আজ চাইলেও সেটা আর সম্ভব নয়।

--কেন নয় মা?-

--ভেঙে যাবে সংসারটা।

--কোনটা সংসার মা? যে সংসারের মানুষগুলো পরস্পরের প্রতি সম্মান হারিয়ে ফেলেছে, সেটা কাঠামো ছাড়া আর কিছু নয়।

--জানি না রে। কিচ্ছু বুঝতে পারি না। মাঝে মাঝে পরাধীনতার নাগপাশে দম বন্ধ হয়ে এলে মনে হয়, পালিয়ে যাই কোথাও,যে দিকে দু’চোখ যায়।

বিদিশা উঠে যায় নিজের ঘরের দিকে। মিনিট খানেক বাদে ফিরে আসে হাতে একটা খাম নিয়ে। মেলে ধরে শাশুড়ির সামনে।

--কি আছে এতে?

--মুক্তি!

-- লুকিয়ে তোমার ছেলের ল্যাপটপ থেকে গয়নার ডিজাইন পাঠিয়ে ছিলাম একটা কোম্পানিতে। ওদের পছন্দ হয়েছে মা। চাকরিটা পেয়ে গিয়েছি। পোস্টিং শিলিগুড়ি।

বৃত্তের বাইরে

বিদিশা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ঘড়িটা দেখে নিল। হাতে অল্প সময়। আনন্দ আর উত্তেজনা মিলিয়ে এক অদ্ভুত তালে নেচে চলেছে হৃৎপিন্ডটা। একটা অটো আসতে দেখেই হাত দেখাল। ব্রেকের সামান্য আওয়াজ তুলে দাঁড়িয়ে পড়ল অটোটা।

--স্টেশন যাবে? একটু তাড়া আছে। তাড়াতাড়ি যেতে হবে।

--বসুন।

মিনিট কুড়ি পরেই, স্টেশন পৌঁছে আরেকবার ঘড়িটা দেখে নিল। ট্রেনের খবর শোনা যাচ্ছে। ছুটতে ছুটতে এসে দাঁড়াল এস সিক্স লেখা ডিসপ্লের নীচে। ট্রেন ঢুকছে। বুকটা আরও দ্রুত তালে নাচছে। ‘পাঁচটা বছর কীভাবে যেন কেটে গেল! এতদিন পর দেখা হবে। কেমন আছেন উঁনি কে জানে?’ ভাবতে ভাবতেই দেখতে পেল সাদার উপর লাল বুটিতোলা, লাল পাড় শাড়ি দরজার কাছে এসে একবার চোখ বুলিয়ে নিল প্ল্যাটফর্মে। বিদিশা দৌড়ে গিয়ে হাত বাড়াল--

--মা, হাতটা ধরুন। বিদিশার হাতটা ধরে ট্রেন থেকে নেমে এল মঞ্জুলা। একমুখ হাসি আর চোখভরা টলটলে জল নিয়ে কাঁপা গলায় বলল-

--কি রে মেয়ে, কেমন আছিস?

--এই তো ভালোই। কথা বলতে বলতে বাইরে এসে ট্যাক্সি ডাকল বিদিশা।

-- ট্যাক্সি না,অটোতে চল। তোর অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে।

-- কি যে বলেন, জানেন এখন আমি রোজগেরে গিন... বলেই কথাটা সামলে নিয়ে বলল ‘মহিলা’। চুপচাপ ট্যাক্সিতে বসুন। ফ্ল্যাটে পৌঁছে খুব বেশি হলে দু’ঘন্টা টাইম পাবেন, তার মধ্যেই স্নান সেরে চা-টিফিন সারতে হবে কিন্তু।

--কেন? তারপর কি ফ্ল্যাট থেকে বের করে দিবি?

-- বিদিশা মঞ্জুলার দিকে না তাকিয়েই গম্ভীর স্বরে বলল –

--হুমম। দার্জিলিং এ হোটেল বুক করা আছে। তিনদিন ওখানেই থাকতে হবে আপনাকে।

মঞ্জুলা মুচকি হেসে বিদিশার মাথায় ছোট্ট ঠেলা দিয়ে বলল—

--পাগলি মেয়ে।

ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল বিদিশার ফ্ল্যাটের সামনে। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ওরা বেরিয়ে পড়ল দার্জিলিং এর পথে। গাড়ি সমতল ছেড়ে আঁকাবাঁকা পথে ছুটে চলেছে। দু-পাশই সবুজ! মঞ্জুলা খোলা গলায় গান করছে “ এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়/ আমার মুক্তি ঘাসে ঘাসে”। সুর মেলালো বিদিশা।

-- মা আপনি এত ভালো গান জানেন, জানতামই না।

-- আমি নিজেই জানতাম না। শুধু জানতাম বদ্ধ জীবনের একমাত্র মুক্তি রবি ঠাকুর। জানালার কাচ দিয়ে বাইরে তাকাল মঞ্জুলা। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে গাড়ি যখন ম্যালের ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে তখনও সন্ধে নামেনি।

-- মা, ঐ নির্জন পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ব্যালকনিটা তিনদিনের জন্য আমাদের।

মঞ্জুলা রুমে ঢুকেই ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল। একটু দূরেই ম্যালে মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে। ভিতর থেকে বিদিশার গলা ভেসে এল-‘ এবার কিন্তু বিশ্রাম। আজ আর কোথাও বেরব না’।

--কেন ? এখনও তো সন্ধে হয়নি।

-- আপনি আজ ক্লান্ত মা।

-- কে বলেছে? আমি আজ দুরন্ত, বলেই ঘুরে তাকাল মঞ্জুলা। চল রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খাব আজ।

-- মুচকি হাসল বিদিশা,তবে তাই চলুন। শুধু চা নয়, সঙ্গে সেলফি। এসে দাঁড়াল চায়ের দোকানে।

--দেখিস খাদের দিকে পিছন ফিরে সেলফি তুলতে গিয়ে আবার পড়ে যাস না। দুজনেই সমস্বরে হেসে উঠল হা হা করে।

ম্যালে ঘোড়সাওয়ার চলছে। মঞ্জুলা চা খেতে খেতে বলে উঠল—

--এই মেয়ে, ঐ কালো চকচকে ঘোড়াটা ডাক তো?

-- ঘোড়ায় চড়বেন!

--অবাক হলি তো? দেখ তবে। ঘোড়াটাকে ডেকে চড়ে বসল মঞ্জুলা। টুকটুক ঢাল বেয়ে এক চক্কর লাগিয়ে ফিরে আসতেই বিদিশা বলে উঠল—

--দেখলেন তো চুড়িদার পরাতে কত সুবিধা।

-- বিদিশার দিকে তাকিয়ে বলল—‘পারলাম তো? এবার দেখ আর কি কি করি। হাত ধরে টানটে টানটে নিয়ে চলল বিদিশাকে সামনের দিকে। জানিস আমার কত দিনের সখ! এবার সুযোগ পেয়েছি,আর ছাড়ব না।

--কিসের সখ মা?

-- এই দেখ, বলেই সামনের দোকানের দিকে দেখাল মঞ্জুলা।

-- এটা তো লটারির দোকান। সুপার লোটোর!

--জানি তো। ঘোড়ায় চড়ে আসার সময় চোখে পড়ল। চল খেলি।

--হা হা করে হেসে উঠল বিদিশা—এই আপনার সখ? আমি ভাবলাম কি না জানি।

দুজনে ঢুকে পড়ল ভিতরে। নাম্বার লেখা বলগুলো গড়িয়ে আসছে,কিন্তু মঞ্জুলার নির্বাচিত নাম্বার মিলছে না। কিছুক্ষণ পর মুখ গোমরা করে বেরিয়ে এল মঞ্জুলা। এগুলো ভালো নয় জানিস। সব চিটিং করা। শুধু শুধু টিকিটের টাকা নষ্ট হল। তুই একটু খোঁজ নিস তো অন্য কোথাও।

--ঠিক আছে,আজ আর নয়, এবার চলুন হোটেলে ফিরে শুধু বিশ্রাম আজ।

হ্যাঁ, এবার একটু ক্লান্ত লাগছে।

রুমে ফিরে তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে বিদিশা এসে দাঁড়াল ব্যালকনিতে। দূরে অন্ধকারে জোনাকির মতো জ্বলতে থাকা আলোর গা বেয়ে উঠে আসছে পুরোনো স্মৃতি।

মঞ্জুলা ঠিক ওর গায়ের কাছটিতে এসে দাঁড়াল। কি ভাবছিসরে মেয়ে?

--মা, সে কেমন আছে? তোমার নতুন বৌমা।

--বোধহয় ভালো নেই! খাঁচাতে কোনো পাখিই ভালো থাকতে পারে না।পাঁচ বছর ধরে তোর পাঠানো চিঠি বুকে আগলে শুধু সাহস সঞ্চয় করেছি আর অপেক্ষা করেছি কবে তোর ডাক পাব।

-- ডিভোর্সের পর তো কোনো আইনের বন্ধনও নেই মা,তবে এত বিশ্বাস আমার উপরে?

--তুই আমার মুক্তি। পনেরো বছর বয়সে সংসারে ঢুকেছিলাম। কোনো দিন মানুষটার চোখে আমার প্রতি সম্মান দেখিনি। হাঁপিয়ে উঠেছিলাম আমি। মুক্তির পথ খুঁজছিলাম। কাটালাম তো অর্ধেকজীবন বৃত্তে। বাকি জীবনটা না হয় থাক বৃত্তের বাইরে।

--সবসময় আমাদেরই কেন একটা পথ বেঁছে নিতে হবে মা? সমাজের দৃষ্টি কি কোনো দিনও বদলাবে না?

--দৃষ্টি না বদলাক,আমরাই না হয় এভাবে বদলাব। এখনকার মেয়েরা তোর মতো লড়াই করতে শিখে গিয়েছে। নে চল, তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি। বৃত্তের বাইরেটা এত বড় আগে জানতাম না। কাল থেকে উঠে পড়ে লাগতে হবে তো। ইচ্ছারা জমে পাহাড় হয়ে আছে।

--ঠিক বলেছেন মা।

--এই মেয়ে, এখানে সিনেমাহল আছে? কাল একটা সিনেমা দেখবি? অনেক দিনের ইচ্ছা!




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

সুচিন্তিত মতামত দিন