একটু ফাঁকফোকড়, সামান্য কয়েকটা ছিদ্র। অল্প অল্প আলো। তবু তো আলো। আসছে। ধীরে ধীরে নেমে আসছে মাটির কাছে বাতাসের কাছে আকাশের কাছে জলফুলের কাছে। সূর্যের কাছে।
আলো আসছে। তাই আঘাত ফিরছে ম্লান হয়ে।সবকিছু ধীরে ধীরেই আসে। আবার ধীরে ধীরেই ফিরে যায়। মাঝে একটা ছোট্ট দীঘি।সেখানে দীঘল দুটো চোখের প্রতিস্থাপন। কিছু একটা কথা। কিছুটা বোঝা কিছুটা আবার না বোঝার ছল।
অণুগল্প। অণুকবিতা।অনধিক পাঁচ লাইন অনধিক তিনশো শব্দ। তেমনই অণুবীক্ষণ। ক্ষমতা আছে। অক্ষমতাও আছে অনেক। একটা গ্লোব।কিছু গ্লোবাল ক্যারেক্টর। মিলেমিশে একাকার হচ্ছে সবুজে লালে নীলে কালোতে। একেকজন একেকটা শোক শুষে নিচ্ছে। কোটি কোটি মানুষ। তাদের কোটিতে কোটিতে গুনতি।যত মানুষ তার কয়েক ডবল তাদের মন। কেন জিজ্ঞাসা করুন কারণ একটা মানুষের ভেতরঘরে, অনেকগুলো গুদামঘর।
তবুও ছায়া আজও উচ্চতা মাপতে শেখেনি।আর সেইজন্যই সবকিছু ফের সাদা হচ্ছে। আলো হয়ে আসছে সবকিছু। গাড়ি বাড়ি ঘর দোর উদ্ভিদ প্রাণী সবকিছুতেই মরমি আলো, আলতো আলো নিষ্পাপ আলো । কখনো সেই আলো আলতার মতো লাল কখনো নীলকণ্ঠ ।
পাতারা মাটির ওপর। শীতলপাটির মতো নিজেদেরকে মেলে ধরেছে। অরণ্যের দেবতাদের মুখে সমবেত সঙ্গীত। অঙ্ক মিলছে আস্তে আস্তে। বামপক্ষ ইক্যোয়ালস টু ডানপক্ষ। সবজে পাতা আর হলুদগুঁড়ো গোধূলির বন্ধুতা।
কুয়াশা ঘিরে থাকা অবয়বে হার-চুড়ি-ঘোমটা-আঁচল-দাঁড়িগোফ। আকৃতি ধারণ করছেন ঈশ্বর। ঈশ্বর অর্থে ফাঁকফোকড় দিয়ে আসা আলো, ফুটিফাটা মাটির বুকজ্বালানো আলো সহজ হতে সামান্য বিষণ্নতা লাগে সামান্য সময়ও লাগে।অন্যায় থেকে ভর্তুকি হয়ে যে শিক্ষা জন্ম নেয় তার বিনাশ হয়না।
আস্ত পৃথিবী বিদ্যালয়মুখী।
আমরা... আলোর... পথযাত্রী...
আমরা... আলোর... পথযাত্রী...
অনেক বড় রাস্তা ।আঙ্গুলে আঙ্গুলে গিঁট লেগেছে..
লেখা টা খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন