■ রাজা হতে চায়
রাজা হতে চাওয়া মনোভাব টি যখন
সকলের মনেই দাপিয়ে বেড়ায় তখন ঘুরপথে
ঘৃণ্য রাজার নীতির ও প্রয়োগ হয় প্রায় সকল ক্ষেত্রেই।
সেখানে কোথাও কারো নিয়ম মানার দায়ভার নেই
না ঘরে, না বাইরে---
না ছোট, না বড়...কারো না....
সকলেই রাজা হতে চায় যে---
রাজনীতির ঘেরাটোপেই তখন অন্তর বাহির নিমজ্জিত!
স্বাধীনতার ভুল ব্যাখ্যা, এগিয়ে আনে সেই পথ
--যা বিপথ নামে পরিচিত
সাধারণতঃ রাজা-রানীরাও
সেই পথেই হাঁটতে ভালোবাসেন
স্বৈরাচারীদের হেঁটে যাওয়া সেই পথেই বলি হয় গণতন্ত্র।
দু'চারজন অবহেলিত প্রজা
যাদের -- রাজা হবার সাধ ছিল না কোনো কালেই ,
শাসন করার মনোভাব যারা পোষণ করেননি কোনদিন,
রাজ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য
ভোটের লাইনে দাঁড়ানোতেই যাদের নির্ভেজাল আনন্দ,
মুখের কথা বিশ্বাস করেই যারা
ভুল বোতামে আঙুল রাখেন--
সব হারিয়েও, তাঁরাই আবার
ভিজে, পুড়ে সকলের জন্যই করেন অন্নের সংস্থানও,
ঠিক বোকা হওয়ার কারণে নয়---
এ দায়টি অবশ্য তাঁরা বহন করেন স্বেচ্ছায় -
পেটের ক্ষিদের যন্ত্রণাটি সাথে থাকার কারণে।
প্রতিশ্রুতি পূরণের আবদারে
তাঁদের কন্ঠ ভুলেও প্রতিবাদী হলেই বিপদ --
চোখ রাঙানির ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে
টিকে থাকাই দায় তখন।
অবশ্য মুখের উপর অন্যায়ের পাথর চাপিয়ে
বোবা বানানোর কৌশলটা জানেন বলেই তো
যুগ যুগ ধরে স্বৈরাচারীরাই রাজা মহারাজার
আসন করেন অলংকৃত।
সর্বোপরি কোন এক অদৃশ্য কলমের কারুকার্যে
চোখের পর্দারও বিলুপ্তি ঘটেছে বহুকাল !
রাজা-রানীগণ দায়ভার বহন করা থেকে মুক্ত এখন
তাই বুঝি সকলেই আজ রাজার নীতির হাত ধরে
সোজা রাজা হতেই চায়,
বাইরে তো বটেই --ঘরেও !
সুচিন্তিত মতামত দিন