রুমকি রায় দত্ত

শব্দের মিছিল

মনিপুরঃ

ভ্রমণ মানে কি শুধুই আনন্দ? সহজ, সরল বাঁকহীন পথ? অথবা কতগুলো ইনফরমেশন! আমার যাপনটা বলতে বড্ড ইচ্ছা হয়।ভ্রমণেও অনেক উচাটান,উৎকন্ঠা থাকে। মিজরামের শেষ রাত আর মনিপুরের শুরুর মাঝের এক যাপনের গল্পই তবে বলি---

সেদিন বড়দিন, সারাদিন মিজোরামের পথে পথে ঘুরে সন্ধের দিকে হোটেলে ফিরেছি। হোটেল অরিনি’র ম্যানেজার আসামের বাসিন্দা, তাই বড়দিনের ছুটিতে হোটেলে আছেন। বাইরে বাজার-হাট বন্ধ,তাই বেরোনোর কোনো তাড়া নেই। আমরা আসতেই ম্যানেজার বললেন, ‘আটটা’র সময় বড়ো রাস্তার মোড়ে আর্মি ক্যাম্পের কাছে অর্কেস্টা হবে। পারলে দেখে আসবেন’। সে তো ঠিক আছে,কিন্তু আমদের মন তখন অন্য একটি সংবাদ প্রাপ্তির আশায় রয়েছে। সে ব্যাপারে উঁনি কিছু বলছেন না দেখে জিজ্ঞাসা করলাম—

বলছি, গাড়ির কোনো ব্যবস্থা হল দাদা?

উঁনি বললেন, সেই কখন থেকে তো চেষ্টা করেই যাচ্ছি, কেউ যেতে চাইছে না। 

উত্তরটা শুনে আমাদের সবার মুখে একরাশ কালো ছায়া যেন নেমে এল। গাড়ি না পেলে সব ওলট-পালট হয়ে যাবে। এত ঘুরে বেড়াই কখনও এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি! রাতটা বেশ উৎকন্ঠার মধ্যে কাটিয়ে পরদিন খুব সকালে,প্রায় অন্ধকার থাকতেই বেরিয়ে পড়লেন আমার কত্তা আর তাঁর কলিগ। এটাই শেষ ভরসা,না হলে আগামী পাঁচদিন এই মিজোরামেই থেকে যেতে হবে আমাদের। বড়দিনে চব্বিশে ডিসেম্বর থেকে পয়লা জানুয়ারী কোনও গাড়ি বাইরে যায় না, বাইরের গাড়ি ভিতরে আসে না। তাই হোটেলের ম্যানেজারের কথা মতো প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটার পর পাবলিক গাড়ির স্ট্যান্ডে পাওয়া গেল আমাদের আশার আলো,একটা গাড়ি। একটামাত্রই গাড়ি,যেটা শিলচর ফিরবে। মিজোরাম থেকে আমাদের সূচি অনুযায়ী পরবর্তী গন্তব্য শিলচর হয়ে মণিপুর। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি মিজোরাম থেকে সরাসরি মনিপুর যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। শিলচর অথবা গোয়াহাটি হয়েই যেতে হয়। আমরা দুটি পরিবার মিলে ছয়জন। দশ সিটের গাড়ির সব সিটই ৭০০ টাকা মাথাপিছু ভাড়া হিসাবে বুক করে নেওয়া হল। ঠিক সাড়ে ন’টায় গাড়ি মিজোরাম ছেড়ে পারি দিল শিলচরের পথে। বৈচিত্রে ভরপুর এই যাত্রাপথ! 

হিসাবমতো এই সুদীর্ঘ পথ পেরতে আমাদের সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা। আইজলের পাকা সড়কপথ শেষ হতেই শুরু হল ধুলোওড়া কাঁচা-পাকা ভাঙা রাস্তা। গাড়ির কাচ সামান্যতম ফাঁক করলেই ঢুকে যাচ্ছে রাশি রাশি লালধুলো। গাড়ি যে গতিতে ছোটার কথা, সে গতিতে ছোটা যে কোনো মতেই সম্ভব নয়, সেটা বেশ বুঝতে পারছিলাম। চারঘন্টা বেড়ে কোথায় দাঁড়াতে পারে, মোটামুটি তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছিল। দীর্ঘপথের কোথাও একটা দোকানপাট নেই। ধু ধু ফাঁকা রাস্তার পাশে গাছপালার ভিড়। পথমাঝে কোথাও কোথাও ক’খানি কাঁচাবাড়ি নিয়ে ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম। পথে দেখা মেলে একটা-আধটা মিজো মহিলা বা পুরুষের,পিঠে বাঁধা টুকরীর ভারে নুইয়ে পড়েছে ঘাড়। নির্জন প্রান্তে হেঁটে চলেছে একা একা! হয়তো কাঠের খোঁজে বা খাবারের সন্ধানে। বৃদ্ধ মিজো পুরুষের মুখের প্রতিটি রেখায় যেন দারিদ্র্যতার চিহ্ন! একে একে পেরিয়ে চলেছি মিজোরামের বিভিন্ন জেলা। আইজল ছাড়া এমন কোনো জেলা নজরে এল না,যার চকচকে রূপ আর অধিবাসীদের সমৃদ্ধি দেখে মনে ভরে উঠবে। চারিদিকে ছড়ানো মুঠো মুঠো দারিদ্রতা। তার মাঝেই বেঁচে আছে মানুষ! হাসছে কথা বলছে, গান গাইছে! অনেকটা পথ একটানা চলেছি।পথে একটিও গাড়ি যেতে বা আসতে দেখিনি। অন্যসময় এপথে বেশকিছু রুটের গাড়ি চলে। কোনোটা নিচ থেকে মানে সমতল শিলচর থেকে মিজোরামে যায়, আবার কোনোটা মিজো থেকে শিলচর। পণ্যবাহী বড়ো গাড়িও যায়,তবে এই বড়দিনের মরশুমে সব বন্ধ। একভাবে অনেকক্ষণ বসে থাকায় কোমরে একটা খিঁচ ধরেছে যেন। একটু খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে ইচ্ছা হতেই চালককে বললাম—

শব্দের মিছিল

দাদা, একটু থামা যাবে? ছেলেটার শরীরও ভালো নেই। দু’বার বমি করে বেশ ক্লান্ত। একটা নির্জন প্রান্তে খোলা জায়গায় গাড়িটা দাঁড় করানো হল। রাস্তার ডানপাশে সবুজ জঙ্গল,বামপাশে খোলা নাতিদীর্ঘ মাঠ, যার শেষ প্রান্তের গা-বেয়ে সোজা নেমে গিয়েছে খাদ। খাদের গায়ে সবুজ স্পন্দন জেগে আছে। নিশ্চুপে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ঝর্ণার গর্জন। কাছাকাছি কোথাও কোনো পাহাড়ি ঝর্ণা হয়তো জল ছড়াচ্ছে! হাত-পায়ের জট ছাড়িয়ে আবার উঠে পড়লাম গাড়িতে। ঘড়িতে তখন সাড়ে বারোটা প্রায়। প্রায় দু’টোর দিকে গাড়ি ঢুকে পড়ল কোলাশিব ডিসট্রিক্টে। এই প্রথম একটা জনপদ পেলাম, যেখানে ছোট্ট খাওয়ার হোটেল আছে। আর আছে রাস্তার দু’ধারে গোটা সাতেক ষ্টেশনারী দোকান, মানুষজন, বাড়ি-ঘর। দোকানে বসে থাকা মধ্যবয়সের মহিলার মাথাভরা লাল সিঁদুর আর হাতের শাখা-পলা জানান দিল আসামে বসবাসকারী বাঙালির উপস্থিতি। গোল মুখচ্যাপ্টা ফর্সা টুকটুকে মুখে কপালের গোল লালসিঁদুরের টিপ আর পানে রাঙা লাল ঠোঁট। সুদূর আসামেও বাংলার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিল। কোলাশিব আসাম আর মিজোরামের সীমানায় অবস্থিত একটি জেলা। দুটি ভিন্ন সংস্কৃতির মিলনস্থল। পরের দিনগুলোর কথা ভেবে চানাচুর, বিস্কুটের গুটিকয় প্যাকেট নিয়ে, দুপুরের ভাত খেয়ে পাশের দোকান থেকে একখিলি পান মুখে দিয়ে আবার উঠে পড়লাম গাড়িতে।

শব্দের মিছিল

তখন প্রায় তনটে হবে। গাড়ি যে পথে ছুটে চলেছে, সে পথের বামপাশে ছোটো পাহাড় আর ডানপাশে সবুজ জঙ্গল ঘেরা খাদ। গাড়ি থেকেই দেখতে পাচ্ছি একটা নীল নদী সাপের মতোই এঁকেবেঁকে আমাদের পাশে পাশে ছুটে চলেছে। কোলাশিব মিজোরামের শেষ জেলা, এরপরই আসাম শুরু হয়েছে। কোলাশিবে তাই আসামের বাঙালি আর মিজো মানুষ মিলেমিশে থাকে। চলতে চলতে একটা পথের বাঁকে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল গাড়ি একটা বাঁধানো চাতালের সামনে। একটু উঁচুতে এই চাতালটি। ড্রাইভারদা বললেন, “এটা রিভার ভিউ পয়েন্ট”। এখান থেকে দূরের ঐ নদীকে ভালো করে দেখা যাবে। গাড়ি থেকে নেমে তাকিয়ে রইলাম ঐ নীল নদীর দিকে। আপন ছন্দে মিজো বর্ডার পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে আসামে। মনে পড়ে গেল অনেক পুরোনো একটা গানের লাইন—‘ পঞ্ছি নদীয়া পবনকে ঝোঁকে/কই সরহদ না,ইসে রোকে।/ সরহদ তো ইনসানকে লিয়ে হ্যয়/শোচোকে হামনে অর তুমনে, কিয়া পায়া ইনসান হোকে”।

সত্যিই তো যত বিভেদ এই মানুষে মানুষেই। মানুষকি কখনও নদীর মতো বিভেদহীন বইতে পারে! এতকিছু বলছি, অথচ নদীটির নামই এখনও বলা হয়নি। খুব মিষ্টি নাম এই নদীর ‘ তুড়িয়াল’।

ঠিক সন্ধে লগ্নেই সাক্ষাৎ হল শিলচরের সাথে। গাড়ি ক্রমশ জমজমাট শিলচরের ব্যস্ততার মধ্যে ঢুকে পড়ছে। একজায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ড্রাইভারদা’র সাথে সুজিত আর রূপেনদা গেল হোটেল খুঁজতে। গাড়িতে অপেক্ষারত আমাদের তখন একমুহূর্তও কাটতে চাইছে না যেন! শরীর জুরে উষ্ণস্রোতের মতো যেন ঝরে ঝরে পড়ছে ক্লান্তি! রাতটুকু শিলচরে কাটিয়ে পরেরদিন সকালেই বেরিয়ে পড়ব মনিপুরের পথে। কাছাকাছিই বড় রাস্তার ধারেই পাওয়া গেল হোটেল। ড্রাইভারদা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে দেখিয়ে দিলেন, কোথায় পরেরদিনের গাড়ির বুকিং হবে।

হোটেলে ঢুকে ফ্রেশ হতেই যেন প্রাণশক্তি ফিরে পেলাম। মন তখন চাইছে একটু শিলচর বাজারটা ঘুরে আসি। আর তো সুযোগ পাব না! ছেলেকে রূপেনদা’দের কাছে রেখে বেরিয়ে পড়লাম আমরা। প্রথমেই ডিমের খোঁজে। রূপাদি’র কাছে একটা ইলেকট্রিক কেটলি আছে। এইসব অঞ্চলে রোজ ব্রেকফাস্টে সিদ্ধডিম কিনে খাওয়া মানেই পকেটে বেশ চাপ বাড়ানো। পরপর দোকান ধরে জিজ্ঞাসা করতে করতে চললাম, ‘ কাঁচা ডিম পাওয়া যাবে?’ 

না শুনতে শুনতে হঠাৎ একজন বলল, ‘ ডানদিকের ঐ রাস্তা ধরে এগিয়ে যান, একটা মন্দির পেরিয়ে একটু গেলেই ডিম পেয়ে যাবেন।

ওখানেই কি মুড়ি পাব ভাই?

হ্যাঁ, সব পাবেন।

শব্দের মিছিল

এগিয়ে চললাম অজানা পথে। আর কতটা পথ পেরোলে মন্দিরের দেখা মিলবে জানি না,চলেছি আমরা দুজনে। বাজার শেষ হয়ে লোকালয়ের মধ্যে দিয়ে হাঁটছি,হঠাৎ যেন শুনতে পেলাম মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজ। হ্যাঁ, একটা দোকানও দেখতে পাচ্ছি। 

ডিম পাওয়া যাবে?

দোকানদার মাথা নেড়ে বললেন, ‘ একটু আগেই শেষ হয়ে গেল’।

তবে মুড়িই দিন শুধু।

ওখানেই জানতে পারলাম, আর একটু এগোলেই একটা দোকান আছে, সেখানে ডিম পাওয়া যেতে পারে।

ওখানে দাঁড়িয়েই ভাবলাম,এতটা এলাম যখন, তখন না হয় আরেকটু এগোই। নাহ্‌, এবার আর হতাশ হতে হল না। ডিম আর মুড়ির প্যাকেট হাতে ফেরার পথ ধরলাম। আসলে ডিম খোঁজা একটা নিমিত্তমাত্র। উদ্দেশ্যহীন পথ এভাবে হাঁটা যায় না, অথচ যেকোনো নতুন পথে আমাদের দুজনেরই এভাবে না হাঁটলে মনে একটা অপূর্ণতা বাসা বাঁধে। আস্তে আস্তে ফিরে এলাম ভিড় বাজারে।ঘড়িতে তখন পৌনে আটটা। রাস্তার মোড়ে ফলের পসরা নিয়ে বসে আছে এক বুড়ি। কমলালেবু, আপেল, আঙুর সাথে ওটা কি? একটা ঝুড়িতে রাখা লাল লাল ছোটো ছোটো গোলগোল! কাছে যেতেই ফিরে গেলাম সেই বছর কুড়ি আগের স্মৃতির দরজায়। স্কুলের গেটের ভিতর থেকে পয়সা ধরা হাত বাড়িয়ে বনকুলের প্যাকেট কেনার স্মৃতি ভেসে উঠল। প্রতি প্যাকেটে বড়জোর দশটা কুল থাকতো। পঁচিশ পয়াসা দাম ছিল তখন। লোভ সামলাতে পারলাম না। কিনে নিলাম ১০০ কুল। ‘দিল খুশ তো সব খুশ’। 

পরেরদিন অন্ধকার থাকতেই উঠে পড়লাম আমরা। মনিপুর শিলচর থেকে অনেকটা পথ। সাড়ে ছ’টা থেকে সাতটা’র মধ্যে বেরতে হবে। এই রুটে প্রতিদিন গোটা চার-পাঁচ সুমোগোল্ড গাড়ি যাওয়া-আসা করে। আমরা তেমনই একটা রুটের গাড়ি আগেরদিন রাতেই বুক করে রেখেছিলাম বুকিং কাউন্টার থেকে। মেইন রাস্তার উপরেই এদের কাউন্টার আছে। ড্রাইভারের কাছে শুনলাম, প্রায় আটঘন্টার রাস্তা। একটু হাত-পা ছড়িয়ে বসার জন্য আটটা সিট বুক করা হয়েছে। নর্থ-ইস্টের এই রাজ্যগুলোতে বাঙালি পর্যটকেরা খুব কমই আসেন। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা কারণ ভয়। চুরি,ছিনতাই,অপহরণ নানা দুষ্কর্মের স্বর্গরাজ্য বলেই পরিচিত এই রাজ্যগুলো। আমরা আসব শুনে অনেকেই বাঁধা দিয়েছিলেন এইসব গল্প শুনিয়ে। এইসব গল্পকথা ,অপপ্রচার না প্রচার জানি না। মিজোরামে আমরা তো কোনো সমস্যায় পড়িনি,তবে আগামীতে কি হবে যেহেতু জানা নেই, তাই একটা অজানা উৎকন্ঠা যে মনের ভিতরে একেবারেই জন্মায়নি এমনটা দাবি করতে পারি না। ঠিক সাতটা দশ বাজে তখন ঘড়িতে। আমরা ছাড়া আর দু’জন মনিপুরের যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করল আমাদের গাড়ি। ড্রাইভার একটি বাচ্চা ছেলে। শিলচরের ব্যস্ত শহুরে রাস্তা ছেড়ে এগিয়ে চলেছে গাড়ি। পথের দু’পাশে সরে সরে যাচ্ছে দোকানপাট। হঠাৎ চোখে পড়ল ‘দৈনিক যুগশঙ্খের’ অফিস। আজকাল সমসাময়িক অনেক লেখক-লেখিকারা লেখেন এই কাগজে। মাঝে মাঝেই ফেসবুকে দেখি তাঁদের পোস্ট প্রকাশিত লেখার ছবিসহ। একটা আলতো অনুভবে ভরে ওঠে মন। অচেনার মাঝে খুঁজে ফিরি চেনা-পরিচিত কাউকে। হয়তো এখনই দেখব ফেসবুকের কোনো বন্ধু হেঁটে যাচ্ছেন এই পথে। পৃথিবীটা ছোটো হতে হতে এখন হাতের মুঠোয়। বেশ তো ভালোই চলছিল গাড়িটা,কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল। কেন থেমে গেল! গাড়িতে বসে ভাবছি তখন। বাইরে তাকিয়ে দেখলাম, রাস্তার ঠিক বামদিকে একটা টায়ারের লিক্‌ সারাইএর দোকান আর ঠিক তার পাশেই একটা বউ গরম গরম রুটি ভাজছে। বুঝলাম ব্যাপারটা। ব্রেকফাস্টের আয়োজন। সকালে বেরোনের আগে একটা করে ডিমসিদ্ধ খেয়ে বেরিয়েছিলাম। দুপুরের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পেটপুরে নিজেরাও খেলাম আর ছেলেকেও খাওয়ালাম। হোটেল ম্যানেজার চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন হাফ্‌ এ্যবুমিন রাতে দিতে আর হাফ্‌ সকালে খালি পেটে। বমি হলে উঁনি হোটেলের ভাড়া ফেরৎ পাঠাবেন। তাই করেছি, বাকিটা পরের সময় বলবে।

খাওয়া তো প্রায় আধঘন্টা আগেই শেষ হয়েছে সব যাত্রীর,তবু কেন গাড়ি দাঁড়িয়ে ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলেছে। প্রায় দেড়ঘন্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সবাই, কিন্তু গাড়ি ছাড়ার নাম নেই! হলো টা কী? যা হয়েছে,তা শুনে সবার মাথায় হাত!......ক্রমশ


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.