আমার থেমে থাকা দেহের ওপর একটা প্রজাপতি উৎসব লিখে খুলে ফেলল একটি প্রকাশনী সংস্থা... মলাটের ভেতর প্রিয় সাদা বিছানা কেবল! বিছানা মানের মধ্যে অনেকগুলো মানের ঘুমিয়ে থাকা। অকেজো শব্দ-সেবীর হাতে সাজতে থাকা শব্দের লাশ। লাস্য ও লাশ মিলেমিশে হাততালি কুড়োয়। কী অদ্ভুতভাবে লাশের ওপর চেপে কেউ নিজেকে মহারানী ভাবছে! একটা সময়, সময় থেকে কিছু অনিবার্য সময় চলে যায়। পচনের গন্ধ তাকে স্পর্শ করতে পারে না। মহারানী অন্ধকারের সেতু গড়ে অবিকল রাত্রির মতো। ক্রুশে-বোনা সেতু থেকে খুলে যায় পচে যাওয়া সুতো ও সহবাস। অন্যের শব্দ যখন তুমি তোমার করছো, জেনে রেখো সে-শব্দ মৃত; দূরগামী শ্বাসের মতো। নিজেকে হননের কৌশল ঢের ভালো এরচেয়ে;
আমার বিষণ্ন পৃষ্ঠাকে তোমার ড্রায়িং-রুমের ওয়ালপেপার কোরো না। বড্ড বেমানান, মহারানী! বড্ড! ভয়ঙ্কর পিপাসা নিয়ে বসে থাকার অনুবাদক কোথায়? কোথায় ওয়াইন কলারের জ্যাকেটের পকেটের ফার ও তার মায়া? এ জীবন বলে, হ্যাঁ, এখনও বলে, 'ও সামভি আজিব হ্যায়...'
জলমাপার গল্পে বিরাট হাঁ-করা কুমির। তাই সে-মুখের মাপটা অন্তত জানা হয়ে গেছে প্রায় অনেকেরই। নদী থেকে নদী ; যদি থেকে যদি; হৃদি থেকে হৃদি বা যেহেতু-কিন্তু ঘোর কুয়াশা অথবা কোনও পুরুষের অসৎ উপায়ে উপার্জনের জন্য অকারণ তৃতীয় লিঙ্গ সাজার হাস্যকর অভিনয়ের মতো। কোনও 'আশ্চর্যবোধক চিহ্ন' নয়; সরাসরি 'ফুলস্টপ'। এই হয়েছে একজ্বালা; 'ফুল'টাইপ করতে গেলেই অটোটাইপিং-এ চলে আসছে 'ফুলশয্যা'..বালাই ষাট, সত্তর, আশি, নব্বুই, একশো এবং ঠিক একশো'র পরই ইচ্ছেমতো শূন্যের খেলা; জাগলারি! ওই যে মলাটের ভিতর বাহাত্তর হুরের আজিব দাস্তা...পেখম-মেলা সাদা বিছানা! আরোম্যাটিক থেরাপি আর গুপ্তপ্রেম। অকালে সকাল হতে-হতে যে লাশ হয়ে গেলো, তার মৃতদেহে আর তোমার নখের দাগ মানায় না। মানায় না এমন অনেককিছুই। একটা লেখার ওপর উপুড় হয়ে আর-একটা লেখা চাপলো, ধর্ষিত লেখাটি এখন নিজেকে দেখছে অন্যের প্রকাশিত গ্রন্থের পরগাছা পৃষ্ঠায়। হুল্লোড়ে উড়ছে লিনেন শাড়ি ও প্রজাপতি; সিল্কি-সময়...
আমাকে লিখতে হবে কেউ দিব্যি দেয়নি; তোমাকে কে দিলো, ও মঞ্জরী?
ম্যায় ফরিস্তা হু
ম্যায় ফরিস্তা হু
ম্যায় ফরিস্তা হু
একটা লেখার ওপর উপুড় হয়ে আর-একটা লেখা চাপলো, ধর্ষিত লেখাটি এখন নিজেকে দেখছে অন্যের প্রকাশিত গ্রন্থের পরগাছা পৃষ্ঠায়......কি অসামান্য বর্ণনা
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন