The Hill we Climb
যে পাহাড় চড়েছি আমরা
মূল - আমান্ডা গোরম্যান ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
দিন এলে, নিজেদের প্রশ্ন করি, এই অনিঃশেষ অন্ধকারের মধ্যে কোথায় আলো দেখতে পাব আমরা?
যে ক্ষতি বহন করে চলেছি।
সে সমুদ্র আমাদের কষ্ট করে পার হতেই হবে।
যে ভয়ংকর বিপদ উৎরে এসেছি সাহসের সাথে
শিখেছি শান্ত হয়ে থাকা সবসময় শান্তিতে থাকা নয়,
এবং ন্যায্যতার
নিয়ম ও নীতিধারণাগুলি সব সময়
ন্যায্য তা নয়।
এবং তবুও এই ঊষাকাল আমাদের।
সেটি জেনে ওঠার আগেই
কোনোভাবে তা অর্জন করেছি।
কোনোভাবে ক্ষয়িত হয়েছি ও সাক্ষী রয়েছি
একটি দেশের যেটি অভঙ্গুর।
স্বদেশ ও স্বকালের উত্তরাধিকারী আমরা।
যেখানে ক্রীতদাস উত্তরধারা ও একক মায়ের কাছে প্রতিপালিত
এক কৃশকায় কৃষ্ণাঙ্গী বালিকা
দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে সেও।
দেখতে পায় সে আবৃত্তি করছে স্রেফ কারো জন্য।
এবং হ্যাঁ পরিমার্জিত শব্দটির চাইতে আমরা ঢের দূরে
আদিমতার চাইতেও বহু দূর।
তবু তাঁর মানে এই নয় যে আমরা
একটি জোট গড়ে তুলতে চাইছি যেটি নিখুঁত।
আমরা লড়ে যাচ্ছি সব সংস্কৃতি বর্ণ চরিত্র ও অবস্থার মানুষ নিয়ে
একটি উদ্দেশ্য বহুল সঙ্ঘ
একটি দেশ গড়তে।
এবং সে কারণেই আমাদের পরস্পরের মাঝে কী কী আছে সেটি
দেখার জন্য চোখ তুলে তাকাচ্ছি না।
ফারাক বুজিয়ে দিচ্ছি কেননা আমরা জানি, আমাদের
ভবিষ্যতকে রাখতে,
প্রথমেই আমাদের ভেতরকার বিভিন্নতাকে একপাশে সরিয়ে রাখতে হবে
বিছিয়ে দিতে হবে বাহু।
যেভাবে নিজেরা একে অন্যের
হাত স্পর্শ করতে পারি
কারো মন্দ অকাম্য আমাদের এবং কাম্য একসূত্রীতা।
যদি আর কিছু না হয়, তবুও পৃথিবীকে বলা যাক, এটা সত্যি যে-
যদিও কষ্ট পেয়েছি, আমরা বেড়েছি।
যদিও আহত, আমরা আশা রেখেছি।
যদিও ক্লান্ত, আমরা চেষ্টা করেছি।
চিরকাল একসূত্রে বেঁধে থাকব আমরা, বিজয়ী।
এ কারণে নয় যে যে জীবনে কখনো পরাজয় চিনব না
বরং এই কারণে যে জীবনে কখনো আর বিভাজনের বীজ বুনব না।
শাস্ত্র আমাদের বলেন কল্পনা করতে যে
আমরা সকলে যে যার নিজস্ব আঙুর ও ডুমুর গাছের
নিচে বসব।
এবং কেউ তাদের ভীত করে তুলবে না
এ নিজস্ব সময়ে আমরা বাঁচতে চাই মাথা উঁচু করে।
তাহলে অস্ত্রে নিহিত থাকবে না জয়।
বরং চারণভূমির জন্য যে সেতুগুলি
রচনা করেছি আমরা
সেই হল আমাদের শপথ।
যদি সাহস করে
পাহাড়ে চড়েছি আমরা,
সে হয়েছে সম্ভব স্রেফ আমেরিকান হওয়া বিষয়টি অহংকারের চাইতেও বেশি কিছু এই বোধ,
অতীতে পা ফেলে দেখেছি
এবং জেনেছি সারানো যায় কিভাবে।
দেখেছি বলের দাপাদাপি যা আদান প্রদানের বদলে
আমাদের জাতিকে করে দিতে পারত খন্ড খন্ড,
ধ্বংস করত আমাদের দেশকে যার অর্থ
বিলম্বিত হত গণতন্ত্র,
এবং এই প্রচেষ্টা প্রায় সফল হয়ে এসেছিল
কিন্তু গণতন্ত্র কখনও পর্যায়ক্রমে বিলম্বিত
হতে পারলেও
চিরতরে কখনও হতে পারে না
পরাজিত।
এই সত্যে
এই বিশ্বাসে আমরা রেখেছি আস্থা।
ভবিষ্যতের ইতিহাসে যখন রেখেছি চোখ
তখন ইতিহাস চেয়েছে আমাদের দিকে।
এটি একেবারে পুনরুদ্ধারের যুগ
আমরা ভয় পেয়েছিলাম এর সূচনায়,
এই ভয়ংকর সময়ের উত্তরাধিকারী হবার জন্য
ছিলাম না প্রস্তুত।
তবু এর ভেতরেই দেখেছি শক্তির আভাস।
এক নূতন অধ্যায় লেখার জোর।
নিজেদের আশা ও হাসির প্রস্তাব দেবার বল।
তাই একবার যখন নিজেদের প্রশ্ন করেছি
কিভাবে আমরা জেগে উঠব,
এই ধ্বংসের মধ্য দিয়ে?
এখন সজোরে বলি
কিভাবে ধ্বংস জেগে থাকবে
আমাদের ওপর দিয়ে?
যা ছিল আগে সে পিছনে বাড়াব না কদম
বরং এগোব যা হবে
একটি দেশ যা ক্ষতবিক্ষত তবুও পূর্ণ,
দানশীল তবু অকুতোভয়,
প্রচন্ড এবং মুক্ত
পিছন ফিরব না
কিংবা বাধা পেলে থমকে যাব না
কারণ আমরা তো জানি আমাদের নিশ্চেষ্ট এবং জড়পিন্ড থাকার কথা।
থাকব পরের প্রজন্মের উত্তরধারায়।
আমাদের ভুলগুলি তাদের বোঝা হয়ে যাবে।
কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত-
আমরা যদি শক্তির সাথে দয়াকে মিলিয়ে দিই,
এবং বলের সঙ্গে অধিকার।
তাহলে ভালবাসাই হবে আমাদের ঐতিহ্য
এবং পরিবর্তন আমাদের সন্তানের জন্মার্জিত অধিকার।
তাই পিছনে ফেলে আসা যাক সে দেশকে
যে দেশ পড়েছিল আমাদের তার চেয়ে ঢের ভাল
আমার তামাটে বুকের ধকধক প্রতিটি শ্বাস।
এই আহত পৃথিবীকে গড়ব
অসাধারণ পৃথিবী করে।
পশ্চিমের সোনালি-অঙ্গের পাহাড় থেকে
জেগে উ...
উত্তরপশ্চিমের ঝড়ের দাপট থেকে জেগে উঠব।
যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষেরা প্রথমবার অনুভব করেছিল বিপ্লব।
মধ্যপশ্চিমের রাজ্যগুলির হ্রদে ঘেরা শহর থেকে
জেগে উঠব।
সূর্যসেঁকা দক্ষিণ থেকে জেগে উঠব।
আবার নির্মাণ, পুনর্মিলন ও পুনরুদ্ধার করব।
এবং জাতির প্রতিটি জানিত খাঁজ আর
প্রতিটি কোণ ডাকছে আমাদের দেশকে,
আমাদের বৈচিত্র্যময় ও সুন্দর মানুষেরা জেগে উঠবে,
মার খাওয়া তবুও সুন্দর।
দিন এসে গেলে আমরা ছায়া থেকে আসব বের হয়ে।
নতুন সকাল ফুটছে যেহেতু আমরা একে স্বাধীন করেছি।
সেখানে সবসময় আলো থাকবে।
আমরা যদি সাহস করে দেখতে চাই সে আলো।
আমরা যদি সাহস করে দেখতে চাই সে আলো।
অনুবাদ – জয়া চৌধুরী
[ ২০২১ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে জো বাইডেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাঠ করা কবিতা]
দিন এলে, নিজেদের প্রশ্ন করি, এই অনিঃশেষ অন্ধকারের মধ্যে কোথায় আলো দেখতে পাব আমরা?
যে ক্ষতি বহন করে চলেছি।
সে সমুদ্র আমাদের কষ্ট করে পার হতেই হবে।
যে ভয়ংকর বিপদ উৎরে এসেছি সাহসের সাথে
শিখেছি শান্ত হয়ে থাকা সবসময় শান্তিতে থাকা নয়,
এবং ন্যায্যতার
নিয়ম ও নীতিধারণাগুলি সব সময়
ন্যায্য তা নয়।
এবং তবুও এই ঊষাকাল আমাদের।
সেটি জেনে ওঠার আগেই
কোনোভাবে তা অর্জন করেছি।
কোনোভাবে ক্ষয়িত হয়েছি ও সাক্ষী রয়েছি
একটি দেশের যেটি অভঙ্গুর।
স্বদেশ ও স্বকালের উত্তরাধিকারী আমরা।
যেখানে ক্রীতদাস উত্তরধারা ও একক মায়ের কাছে প্রতিপালিত
এক কৃশকায় কৃষ্ণাঙ্গী বালিকা
দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে সেও।
দেখতে পায় সে আবৃত্তি করছে স্রেফ কারো জন্য।
এবং হ্যাঁ পরিমার্জিত শব্দটির চাইতে আমরা ঢের দূরে
আদিমতার চাইতেও বহু দূর।
তবু তাঁর মানে এই নয় যে আমরা
একটি জোট গড়ে তুলতে চাইছি যেটি নিখুঁত।
আমরা লড়ে যাচ্ছি সব সংস্কৃতি বর্ণ চরিত্র ও অবস্থার মানুষ নিয়ে
একটি উদ্দেশ্য বহুল সঙ্ঘ
একটি দেশ গড়তে।
এবং সে কারণেই আমাদের পরস্পরের মাঝে কী কী আছে সেটি
দেখার জন্য চোখ তুলে তাকাচ্ছি না।
ফারাক বুজিয়ে দিচ্ছি কেননা আমরা জানি, আমাদের
ভবিষ্যতকে রাখতে,
প্রথমেই আমাদের ভেতরকার বিভিন্নতাকে একপাশে সরিয়ে রাখতে হবে
বিছিয়ে দিতে হবে বাহু।
যেভাবে নিজেরা একে অন্যের
হাত স্পর্শ করতে পারি
কারো মন্দ অকাম্য আমাদের এবং কাম্য একসূত্রীতা।
যদি আর কিছু না হয়, তবুও পৃথিবীকে বলা যাক, এটা সত্যি যে-
যদিও কষ্ট পেয়েছি, আমরা বেড়েছি।
যদিও আহত, আমরা আশা রেখেছি।
যদিও ক্লান্ত, আমরা চেষ্টা করেছি।
চিরকাল একসূত্রে বেঁধে থাকব আমরা, বিজয়ী।
এ কারণে নয় যে যে জীবনে কখনো পরাজয় চিনব না
বরং এই কারণে যে জীবনে কখনো আর বিভাজনের বীজ বুনব না।
শাস্ত্র আমাদের বলেন কল্পনা করতে যে
আমরা সকলে যে যার নিজস্ব আঙুর ও ডুমুর গাছের
নিচে বসব।
এবং কেউ তাদের ভীত করে তুলবে না
এ নিজস্ব সময়ে আমরা বাঁচতে চাই মাথা উঁচু করে।
তাহলে অস্ত্রে নিহিত থাকবে না জয়।
বরং চারণভূমির জন্য যে সেতুগুলি
রচনা করেছি আমরা
সেই হল আমাদের শপথ।
যদি সাহস করে
পাহাড়ে চড়েছি আমরা,
সে হয়েছে সম্ভব স্রেফ আমেরিকান হওয়া বিষয়টি অহংকারের চাইতেও বেশি কিছু এই বোধ,
অতীতে পা ফেলে দেখেছি
এবং জেনেছি সারানো যায় কিভাবে।
দেখেছি বলের দাপাদাপি যা আদান প্রদানের বদলে
আমাদের জাতিকে করে দিতে পারত খন্ড খন্ড,
ধ্বংস করত আমাদের দেশকে যার অর্থ
বিলম্বিত হত গণতন্ত্র,
এবং এই প্রচেষ্টা প্রায় সফল হয়ে এসেছিল
কিন্তু গণতন্ত্র কখনও পর্যায়ক্রমে বিলম্বিত
হতে পারলেও
চিরতরে কখনও হতে পারে না
পরাজিত।
এই সত্যে
এই বিশ্বাসে আমরা রেখেছি আস্থা।
ভবিষ্যতের ইতিহাসে যখন রেখেছি চোখ
তখন ইতিহাস চেয়েছে আমাদের দিকে।
এটি একেবারে পুনরুদ্ধারের যুগ
আমরা ভয় পেয়েছিলাম এর সূচনায়,
এই ভয়ংকর সময়ের উত্তরাধিকারী হবার জন্য
ছিলাম না প্রস্তুত।
তবু এর ভেতরেই দেখেছি শক্তির আভাস।
এক নূতন অধ্যায় লেখার জোর।
নিজেদের আশা ও হাসির প্রস্তাব দেবার বল।
তাই একবার যখন নিজেদের প্রশ্ন করেছি
কিভাবে আমরা জেগে উঠব,
এই ধ্বংসের মধ্য দিয়ে?
এখন সজোরে বলি
কিভাবে ধ্বংস জেগে থাকবে
আমাদের ওপর দিয়ে?
যা ছিল আগে সে পিছনে বাড়াব না কদম
বরং এগোব যা হবে
একটি দেশ যা ক্ষতবিক্ষত তবুও পূর্ণ,
দানশীল তবু অকুতোভয়,
প্রচন্ড এবং মুক্ত
পিছন ফিরব না
কিংবা বাধা পেলে থমকে যাব না
কারণ আমরা তো জানি আমাদের নিশ্চেষ্ট এবং জড়পিন্ড থাকার কথা।
থাকব পরের প্রজন্মের উত্তরধারায়।
আমাদের ভুলগুলি তাদের বোঝা হয়ে যাবে।
কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত-
আমরা যদি শক্তির সাথে দয়াকে মিলিয়ে দিই,
এবং বলের সঙ্গে অধিকার।
তাহলে ভালবাসাই হবে আমাদের ঐতিহ্য
এবং পরিবর্তন আমাদের সন্তানের জন্মার্জিত অধিকার।
তাই পিছনে ফেলে আসা যাক সে দেশকে
যে দেশ পড়েছিল আমাদের তার চেয়ে ঢের ভাল
আমার তামাটে বুকের ধকধক প্রতিটি শ্বাস।
এই আহত পৃথিবীকে গড়ব
অসাধারণ পৃথিবী করে।
পশ্চিমের সোনালি-অঙ্গের পাহাড় থেকে
জেগে উ...
উত্তরপশ্চিমের ঝড়ের দাপট থেকে জেগে উঠব।
যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষেরা প্রথমবার অনুভব করেছিল বিপ্লব।
মধ্যপশ্চিমের রাজ্যগুলির হ্রদে ঘেরা শহর থেকে
জেগে উঠব।
সূর্যসেঁকা দক্ষিণ থেকে জেগে উঠব।
আবার নির্মাণ, পুনর্মিলন ও পুনরুদ্ধার করব।
এবং জাতির প্রতিটি জানিত খাঁজ আর
প্রতিটি কোণ ডাকছে আমাদের দেশকে,
আমাদের বৈচিত্র্যময় ও সুন্দর মানুষেরা জেগে উঠবে,
মার খাওয়া তবুও সুন্দর।
দিন এসে গেলে আমরা ছায়া থেকে আসব বের হয়ে।
নতুন সকাল ফুটছে যেহেতু আমরা একে স্বাধীন করেছি।
সেখানে সবসময় আলো থাকবে।
আমরা যদি সাহস করে দেখতে চাই সে আলো।
আমরা যদি সাহস করে দেখতে চাই সে আলো।
সুচিন্তিত মতামত দিন