■ পিয়াংকী | মেঝে, ছায়া এবং যথাযথ সংবিধান

■ পিয়াংকী |  মেঝে, ছায়া এবং যথাযথ সংবিধান

আয়নার সাথে মেঝের বোঝাপড়া দেখে রীতিমত চমকে উঠেছিলাম । এসব রোজকার কথা !

আবছা আলোয় এভাবেই একদিন​ চোখ সার্থক হলো,খুব ভালো মনে না পড়লেও এটা জানি সংকেত দেখে ঘাবড়ে গিয়ে চুপসে ছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। যে মেঝে (মেঝে অর্থেই মাটি)নিজেকে নাতিদীর্ঘ বলে দাবি করে আসছে,​ সে কী আদতে নাতিশীতোষ্ণ হতে চেয়েছে কোনোদিন ?

পুড়িয়ে ফেলার আগে সব বর্জ্যকেই সম্পত্তি মনে হয়। হয়তো এটা হিউম্যান সাইকোলজিরই একটা পার্ট,যাক পার্ট বলতে গিয়ে মনে পড়লো পার্টির কথা। আক্ষরিক অর্থ বাদ দিলে পার্টি মানেই তো রাজনীতি, যার সাথে ব্যাক্তিগত শব্দের সংজ্ঞা নেই,​ ঠিক যেমন মেঝে আর মাদুর বরাবরই ছাপ দোষে দুষ্ট।​

প্রতিদিন কতোশত মুখ বেছে নিয়ে মুখোশ তৈরী হয়, বিক্রিও হয় খোলামাঠে। মানুষই আসে দরদাম করে, কেনে। তারপর একদিন আচমকাই ধারালো কিছু দিয়ে কেটে ফেলে। একজন কাটে অন্যরা দেখে, চোখের বিশ্রাম হবার আগে আবারো কাটাছেঁড়া, চলতেই থাকে।

আয়নার পেছনে যে অন্ধকার, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ওই চত্ত্বর আশ্চর্যভাবে কেনাবেচা হয়ও না কোনোদিন  কালোঘর এভাবেই পাথর হয়ে যায়, রাজত্ব বদলায়, অন্যদিকে গুদামঘরের​ আরো ঘন হয়।​

​ক্ষত থেকে শুরু করে দাগ হয়ে ছায়ার কাছে পৌঁছনোর জন্য বরাদ্দ কিছুটা দূরত্ব।তাই আয়নায় আসামী এবং বিছানায় ঋণী হয়ে ওঠার পরই সাবালকত্ব পায় সংবিধান।​ ​

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.