■ পিয়াংকী | অব্যক্ত

■ পিয়াংকী | অব্যক্ত

আয়ু থেকে চ্যুত হচ্ছে যোগঅঙ্কের হিসেব​
জীবিত অধ্যায়ে আমি শুধুমাত্র ভাগফল মেলাতে ব্যস্ত ।​

রোদের দুয়ারে ক্লান্তিহীন দুটো টলটলে চোখ , মাটির দাওয়ায় রাখা একমুঠো শীতলতার গায়ে অহংকার লেপ্টে রেখে ফিরে গেছে স্বঅস্তিত্বে । রোদ ঝাঁ ঝাঁ তেজালো দুপুরে এখন শুধুই শূন্যতার শব্দ ।​

উপায়ী পুরুষের বুকে যেমন খড়কুটো জ্বলে অহোরাত্রি তুমি তেমন করেই সাঁওতাল রমণীর কালো কুৎসিত শরীর দীর্ঘনিশ্বাসে জেরবার করে তোলো ।

​প্রতি পলকে আমার দেহ স্তব্ধ হয়ে যায়।​ কাব্যগ্রন্থগুলোর ধুলো ঝেড়ে আবার সাজাই ওদের বিবাহবাসর​ তবুও জলশোক ঝরে পড়ে না দুপক্ষের কোনো দিকেই ।​

অথচ মনের কোণের যে​ চিলেকোঠায় গত তিনরাত আশ্রয়হীন লুটোপুটি খেলাম , নিজের প্রথম একফর্মার কাব্যগ্রন্থের সবচেয়ে প্রিয় কবিতাটা আবৃত্তি করবার বৃথা চেষ্টা করলাম,​ গলা চিরে গাইলাম বেসুরো নজরুলগীতি  ....কই কোনো প্রতিবেশীটা এসে তো শোরগোল করেনি আমার উঠোনে​

বরং লালন সাঁইয়ের ডেরায় তারা দর্শন পড়ে , নির্বিবাদে বাজি রাখে নিজের প্রথম প্রেমের উপহার , নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রুপম ইসলামের জীবনমুখী গানে বুকে গজিয়ে তোলে শিকড়, ধর্মগ্রন্থের পাতা ছিঁড়ে রুজিরুটির ঠোঙ্গা বানায়​ আবার সেই -ই রবিঠাকুরের জোড়াসাঁকোতে বসে মুক্তির শ্লোগান লেখে ...

এতসব ঘটে যায় নিয়মমাফিক নিঃশব্দে নিস্তব্ধতায় ।

পাপপূণ্য হিসেবখাতা টানাপোড়েন লড়াই​ সংসার কবিতা যৌনতা সবার কোঠা পূর্ণ করবার পর টুকরো-টাকরা যা পড়ে থাকে , মাছকাটার আঁশবটিতে কুচোবো বলে তাদের নিয়ে বসি ভরা সন্ধ্যার তুলসীতলায় ,​

ভরন্ত আকাশের সাথে সঙ্গমের কুলোয় পেঁচিয়ে ওঠে ময়ালসাপ আর আমি তারই জন্য খুঁজতে থাকি নেউল ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.