■ এবার ফেরাও তবে
ধুলোর চাদর গায়ে অতি দীন পড়ে আছে পথ নিঝুম রাতের মত আলস্যেই কেটে যায় দিন
কেউ বুঝি উঁকি দেয়, বেড়ালের মতো শব্দহীন
ত্রস্ত পায়ে ডিঙায় পাহারা
আসলে হঠাৎ করে জোর ধাক্কা এলে
চকিতে বুদ্ধিনাশ, বিহ্বলতা জাগে
ঠিকঠাক বুঝে নিতে না পারার ফলে
ধৈর্য্যহীন প্রহর গড়ায়
বেসামাল মানুষ অতি দ্রুত পেতে চায়
নিরাপদ মাপের খবর
নধর শরীর ছিঁড়ে খুবলে'ছে কেউ যেন রক্তসঞ্চালন, কোন সে পিশাচ আজ
বাড়িয়েছে নখ তার রক্ত-নেশায়
অবাধ ট্রেনের গতি চকিতে স্তব্ধ হলে
চাকা ও রেলের রোষ তীক্ষ্ম আর্তনাদে
ফালা ফালা করে দেয় সন্ত্রস্ত বাতাসের বুক
শকুন স্বভাবে প্রতীক্ষায় বসে ছিল যারা
স্বভাবতই নেমেছে কর্ষণে
ঊর্বরা জমির বতরে
মহাসমারোহে চলে অন্বিষ্ট বীজের বপন
মস্তিষ্কে সন্ত্রাস, শত্রুর ভারী বুট সন্ত্রস্ত করে
ক্রমশ ঠেকছে পিঠ ভয়ের দেয়ালে
ক্রান্তিকাল কৌশলে ভয়ের পাথর ভাঙা শুরু ঘুরতেই হবে, কাক ডাকা ভোরের মতন
তখনই তরল হবে ভয়
মুখোশের মুখ নয়, ক্রমশ মুখের ভিড়
সময়ের খাঁজ ভেঙ্গে সচল সজীব
ভয়ের পাহাড় ক্রমে ভঙ্গুর হতে হতে
তরলের মতো.......
তখনই জাগছে পথ আড়মোড়া ভেঙে
পাখির কাকলি নয়, কোলাহল স্পষ্টতর হয়
এবার কি ফিরবার সময় আগত!
সুচিন্তিত মতামত দিন