■ সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ইকেবানা

■ সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ইকেবানা

প্রবন্ধ  একে  বলবো,  না  আত্মকথন, নাকি রম্য রচনা ,  বলা মুশকিল। ধরা যাক , উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতার বাগান থেকে,  এক  মুঠো ফুল তুলে,  বললাম  ইকেবানা। এ  অনেকটা  সেইরকম ।

প্রথমে  একটা ছোট্ট গল্প বলি। দুহাজার আট  সালের জানুয়ারি মাসের ভোররাত্রে, সুন্দরবনের এক গ্রামীন হাসপাতালের লেবার রুমের টেবিলে তখন বছর বাইশের এক তরুণী,  প্রসব বেদনা  ক্লান্ত। সেই শীতের রাতে,  তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে। সদ্যোজাত  শিশুটিকে দেখে তার শীর্ণ  মুখে ,  ঈষৎ হাসির রেখা ,  ফুটে উঠেই মিলিয়ে গেল । 

মাথার কাছে দাঁড়ানো , মেয়েটির মায়ের মুখে, অদ্ভুত বিষাদ নেমে  এল  সঙ্গে সঙ্গে !

কন্যা সন্তান! ভীষণ বিরক্ত বোধ হলো আমার । বললাম,  “মেয়ে  বলে , মন খারাপ হয়ে গেলো ?”

সদ্য মা হওয়া মেয়েটি , একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বুঁজে আছে । মা নিরুত্তর ।

আমার , কেমন  একটা  জেদ চেপে গেল। ছাত্রাবস্হা  থেকে,  পেশাগত অভিজ্ঞতার দীর্ঘ  পথে  চলতে,  চলতে,  বারবার ঠোক্কর খেয়েছি এই পাথরটায় । 

উত্তরপূর্ব  ভারতের কয়েকটি  রাজ্য  বাদ  দিলে ,  কন্যা সন্তানের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গী , আমাদের দেশের কৃষ্টি ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজও অন্ধকার হয়ে জমে  আছে ।অথচ , সরকারি কর্মসূচি তে  বারবার উঠে এসেছে  কন্যা সন্তান সংক্রান্ত এই  দৃষ্টিভঙ্গী দূর করার প্রচেষ্টা  ও কার্যক্রম ।

“কেন , ছেলে হলে কি হতো ? মেয়েরা কি , পারেনা ? আপনাদের  এই ধারণা কবে বদলাবে বলুনতো ? “বলে চলেছি আমি । “পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্রে এখন কোথায় পিছিয়ে আছে মেয়েরা ? আমরা মেয়ে নই ? যত্ন করে বড় করলে, দেখবেন এই মেয়েই একদিন …

আর মেয়েরাই আজকাল মা বাবাকে দেখে । ছেলেদের বিয়ে হলে , কে বলতে পারে , মা বাবাকে হয়তো ঘর থেকে তাড়িয়ে দেবে !  আপনারা তাও মেয়ে চাননা !” 

আমার অভ্যস্ত লেকচার দিয়ে যাচ্ছি , কিছুটা সংকুচিত  আমার শ্রোতা ,  মেয়ের মাথার কাছে তখন ও দাঁড়িয়ে ।বক্তব্য শেষ করে , তার মুখের দিকে তাকালাম । বয়স বছর পঞ্চাশ হবে,শীর্ণ  আটপৌড়ে  চেহারায় দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট । ক্লান্ত  চোখ  তুলে তাকালেন তিনি । 

“আপনি ঠিকই বলেছেন ডাক্তার বাবু , একদম ঠিক । আসলে কি বলি আপনাকে !  আমাকে দেখছেন , আমার বিয়ে হয়েছিল , আপনাদের ই  দপ্তরের , কোলকাতার এক বড় হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মচারীর সঙ্গে। সবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ  করেছি, কলেজে পড়া আর হলোনা।  বিয়ের  পাঁচ মাসের মাথায় বাপের বাড়িতে রেখে গেল  তখন এই মেয়ে পেটে । মারধোর, মদ ,  মেয়েছেলে সব ছিল । আর নিয়ে যায়নি ।

অনেক কষ্ট করে,  লোকের বাড়ি কাজ করে ,  এই মেয়ে,  মানুষ করে , কলেজে পড়লাম , বিয়ে দিলাম । একবছর হয়নি , জামাই  এই অবস্থায় রেখে দিয়ে গেলো, আর  নিতে এলনা। শুনতে পাই , আবার নাকি বিয়ে করেছে ।  আর আজ আবার ! আর একটা মেয়ে হলো!” 

আমি  আর কিছু বলতে পারিনি ।  সেই মুহূর্তে লেবার রুমে , সদ্যজাত শিশু কন্যাটির অবোধ কান্নার  শব্দ ,  যেন  আমাদের সবার প্রতিনিধিত্ব করছিল । স্বাধীনতার পর থেকে,  আজ পর্যন্ত , ভারতবর্ষে , নারী কল্যাণ ও মাতৃত্ব বিষয়ক যত কর্মসূচি  ও প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়েছে , তার সংখ্যা ও পরিধি  নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য । এগুলির পরিসংখ্যান ভিত্তিক সাফল্য  বা ব্যর্থতার মূল্যায়ন , আমার আজকের আলোচ্য বিষয়  নয় । প্রশ্ন হলো , এই সব কিছুর পরও , সেদিনের অল্পশিক্ষিত ,  প্রত্যন্ত  গ্রামের ,  সেই ভদ্রমহিলা , আমায় চুপ করিয়ে ,  এমন এক অনস্বীকার্য সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন , আমাদের প্রকল্প ও পরিসংখ্যান  আজও ,  যাকে অস্বীকার করার মতো বিকল্প ব্যবস্থায় , আমাদের পৌঁছে দিতে পারেনি । 

একটু  বিশদে বলি।  শিশুকন্যার প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণের উদাহরণ , এবং কন্যা সন্তান বিসর্জন ইত্যাদি সামাজিক প্রথার ইতিহাস ও বিবর্তনের পটভূমিকায় ,  বৈদিক যুগে কন্যা সন্তানের সঙ্গে , ঘোষিত বৈষম্য  প্রায় ছিলনা বললেই চলে ।  যদিও , সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ,  কন্যা সন্তান পুত্রের অধিকারের  এক চতুর্থাংশের  অধিকারী  ছিলো  মাত্র।  ঐ  সময় দাক্ষিণাত্যেও   সমাজে নারীর অবস্হান  ছিল অনুরূপ । স্বামীর  অবর্তমানে ,  পুণর্বিবাহ   বা স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ , কোনটাই  সামাজিক স্বীকৃতি  পায়নি । যদিও ,  কন্যার যত্ন ও লালন , শিক্ষা   তথা  ব্যক্তি স্বাতন্ত্র  ,  এবং বিভিন্ন পেশাগত যোগ্যতায় ,  স্ব প্রতিষ্ঠা  সমাজে সম্মানিত ছিল ।পুত্র সন্তানের অগ্রাধিকার থাকলেও কন্যা রবাহূত ছিলনা। 

পরবর্তীকালে ,  এপিক  অর্থাৎ  রামায়ণ মহাভারতের যুগে , মেয়েদের সামাজিক অবস্থানের  পরিবর্তন  ঘটে । 

বহুচর্চিত এই এপিক গুলিতে , আমরা  নারীকে ক্রমশঃ  রাজনৈতিক ও  পারিবারিক বিভেদের  উপলক্ষ্য  বা  সংসারের প্রয়োজনে  , আত্মনিবেদিত ভূমিকায়  দেখি ।  এমনকি ,  সর্বংসহা  ,  পুরুষের   সহধর্মিনী   ইমেজ ,  এই সময় থেকেই  , আরোপিত হতে থাকে নারীর ওপর । অপেক্ষাকৃত নিম্নবর্ণ  বা  দ্রাবিড় নারীরা, কিন্তু এখানে  স্বাধীনচেতা ও আত্মশক্তি সম্পন্না  স্বনির্ভর ।  আর্য সভ্যতার নিরিখে ,  এই গুণাবলী  নারীর মধ্যে  প্রশংসনীয় ছিলনা।  একে   হেয় করা হতো বলেই , তাদের বিচারে ,  অপেক্ষাকৃত  নিম্ন বর্ণের সমাজে   এই প্রথা ছিল । 

ক্রমে  , মনুর অনুশাসন  ও ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্মের প্রভাব  , সমাজে নারীর অবস্থানকে  নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে ।  কামিনী  কাঞ্চনের মতো বস্তুবাদী   দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাবে যে কোন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে  কন্যা তথা নারী অধিকৃত হয়েছে বারবার ।    

পরবর্তিতে মুঘল রাজত্বে  , ধর্মীয়  অনুশাসনের   প্রভাবে , কন্যা সন্তানের অবস্থান  ,  সমাজে ,  নারীর অবস্থানের  পরিবর্তনের সঙ্গে ক্রমশঃ বিবর্তিত হয়েছে । 

কিন্তু  প্রসঙ্গ হলো , এই পরিস্থিতির  পিছনে কাজ করছে,  নিহিত এক নিরাপত্তাহীনতা !  যার শিকড়   অনেক গভীরে চাড়িয়ে  গেছে ।  বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতেও যা তেমন বদলায়নি।  এই নিরাপত্তাহীনতার উৎস কি ? 

আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো দ্বারা  এই পরিস্হিতি   সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত নয় ।

একটি মাড়োয়ারি  বর্ধিষ্ণু পরিবারের  গৃহবধুর  কথাই ধরা যাক  ।  মেয়েটি আমার প্রতিবেশী । একান্নবর্তী  পরিবারের ,  পারিবারিক ব্যবসায়  , তার স্বামী ,  শ্বশুর একযোগে ,  সারাদিন কর্মরত। তিন ননদের  মধ্যে , বড়োটি , বিবাহ সূত্রে বিদেশে থাকে ।  অন্য দুই ননদ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিবাহিত ও কর্মরত  ।  কোলকাতায়  বড় হওয়া ,  মেয়েটির স্বামীও তেমন রক্ষণশীল নন।শ্বশুর  , শাশুড়ি ও বেশ আধুনিক মনস্ক । 

মেয়েটি  প্রথম কন্যা  সন্তান  প্রসবের পর তেমন কোনো দুর্ব্যবহার তার প্রতি হতে দেখিনি । শুধু শিশুটির জন্মদিন বা অন্নপ্রাসন ছিল বাহুল্য বর্জিত  ।

 দু বছরের মধ্যেই মেয়েটি আবার গর্ভবতী হলো।  আমার কাছে ,  খোঁজ নিতে এল গর্ভের শিশুটির  লিঙ্গ নির্ধারণ কোনো রেডিওলজি সেন্টারে করা হয় কিনা । আমি , ব্যাপারটি বেআইনী ও অপরাধমূলক বলে তাকে নিরস্ত করতে ,  প্রায় কেঁদে ফেললো সে। তার আধুনিক শ্বশুর শাশুড়ি ,  তাকে জিন্স পরে ,  পটায়া ব্যাঙ্কক   ঘোরার স্বাধীনতা দেন , ঘরে বাইরে স্বাধীনতার অভাব নেই । এই সব কিছুর বিনিময়ে ,  ব্যবসার উত্তরাধিকারী ,  নাতি চাই তাঁদের !

অল্প দিনের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে , তারা পেয়ে গেল গোপনে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে লিঙ্গ নির্ধারণের ঠিকানা।  আবার শিশু কন্যা  ! 

শ্বশুর শাশুড়ি গর্ভপাত জন্য চাপ দিলেও , বেঁকে বসলো মেয়েটির স্বামী । সে তার স্ত্রীকে বললো , “তু দেখনা , ইয়ে লড়কি  সবসে সুন্দর হোগি । জিসে কিসিনে চাহা  নেহি ।“ মেয়েটি কেঁদে ফেললো কথাগুলো বলতে বলতে।

সেদিন ওর দ্বিতীয় মেয়ে “চাহাতের  “জন্মদিন । সত্যি এখন অসামান্য সুন্দরী তন্বী কিশোরী  সে ।  খেলাধুলায়  নাম করেছে স্কুলে । তার  জন্মদিনে উৎসব হয়না বাড়িতে। 

মেয়েটি কিন্তু মুক্তি পেলোনা  । তৃতীয় গর্ভের সন্তান নিয়ে আমার কাছে এসেছিল সে । তিরিশ বছর বয়সে তার প্রসার বেড়েছে । ঘুম হয়না , একটাই দুশ্চিন্তায় ! যদি মেয়ে হয় ! 

সংসারের সবটুকু সুখ এক পুত্রের জন্মের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে কিনতে হয়েছে তাকে ! ঈশ্বরের বোধহয় করুণা হয়েছিল তার প্রতি । এবার ছেলেই হলো । জানিনা প্রযুক্তিগত ব্যবস্হায় এটা নিশ্চিত করা হয়েছিল কিনা । এবার উৎসবের ধুম পড়ে গেল বাড়িতে । সে এখন তিন সন্তানের গর্বিত জননী । পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা  কথাটির মূর্তিমতী  উদাহরণ !

মেয়ে দুটি পড়াশোনা , নাচ , সাঁতার শিখে ,  আধুনিকতার মোড়া প্যাকেজ ।  কে  বলবে ওরা অবাঞ্ছিত ছিল ! 

এদের মানুষ করতে মেয়েটিকে বেগ পেতে হয়নি । শাশুড়ির  কাছে এদের রেখে স্বামীর সঙ্গে ইউরোপ ঘুরে এসেছে সে । 

সুতরাং আর্থসামাজিক অবস্থান  , এই সমস্যার শেষ কথা বলেনা । দুটি ঘটনায় সাদৃশ্য একটাই । উভয় ক্ষেত্রেই মা অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ছিলেননা ।  এক গভীর নিরাপত্তাহীনতার শিকার এরা । 

সমাজের প্রাচীন কদর্য পিতৃতান্ত্রিক প্রথাগুলি  আজও খোলস বদলে বেঁচে আছে আমাদের মধ্যে । কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলার পিছনে এগুলির অবদান কম নয় ।

পণ প্রথা  খাতায় কলমে উঠে গেলেও অকথিত ভাবে তা আজো বহাল । ফলতঃ কন্যার জন্ম মানে পরিবারের আর্থিক দায় । বর্তমান সমাজে ,  নারীশিক্ষার প্রসার ও স্বনির্ভরতার  হার ঊর্ধমুখী হলেও , এখনো শিক্ষা , চাকরি  বা বিবাহ একটি আরেকটি র পরিপূরক  হিসাবে দেখা হয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ।  একটি ছেলের চাকরি ও স্বনির্ভরতার মতো মেয়েটির জন্য তা অপরিহার্য ভাবা হয়না ।

সমাজের আর্থিকভাবে দুর্বল ও অল্পশিক্ষিত মানুষের মধ্যে এখনো বাল্য বিবাহ বহুল প্রচলিত । কোনো আইন এক্ষেত্রে সফল নয় । একটি মেয়ের নিরাপত্তাহীনতা , নারীঘটিত অপরাধের ক্রমবর্ধমানতা,  পারিবারিক দায়মুক্তির প্রয়োজনে , সমঝোতা এর মূল কারণ । 

সরকারী বহু প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটাতে এই সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে হবে । তাই প্রকল্পগুলির প্রবর্তন ক্ষেত্রে মূল্যায়ন প্রয়োজন আছে । শিক্ষার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে , আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি , রোজগারবৃদ্ধি  , স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন , ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের বিকাশ , জনচেতনা , সমস্ত ক্ষেত্রেই আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রয়োজন আছে । 

পরিশেষে , অভিজ্ঞতার জগত থেকে সংগৃহীত নানা রঙের ফুলের এই ইকেবানা সম্পূর্ণ করতে একটি ঘটনার কথা  না বলে পারছিনা । 

গতবছরের কথা । সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত অঞ্চলের হাসপাতালে  আধিকারিকের আসনে সেদিন মিটিংএ ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ আমার দরজা ঠেলে , দ্বাররক্ষীদের পাশ কাটিয়ে ঢুকে পড়লো একটি মেয়ে । তার চোখ মুখে এমন কিছু ছিল , আমি মিটিং বন্ধ করে সবাইকে বাইরে যেতে বলে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম “কিছু বলবেন আমায় ,?” 

সে মাথা নাড়লো । তার মুখে সেদিন শুনলাম , মেয়েটি বিবাহিত । তার স্বামী তার  নিজের পারিবারিক  উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি তার নামে লিখে দিতে বলে ।

মেয়েটি রাজি না হলে সে তার ওপর বলপ্রয়োগ করে এবং বলাৎকার করে। তার যৌনাঙ্গে বোতল , কাগজ ইত্যাদি ঢুকিয়ে দেয় । 

মুসলমান মেয়েটির অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই । বাবা মা বা কেউ পাশে নেই । তবু সে রুখে দাঁড়িয়েছে । 

সে একা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে বলাৎকারের  অভিযোগ দায়ের করে , প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আমার কাছে এসেছে ! 

আমি অভিভূত হলাম ! তার ভর্তি চিকিৎসা ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করে নিজের চেয়ারে বসে এক অদ্ভুত আবেগে আপ্লুত হই। মনে হয় অজাগর  জাগছে ! অসহায় মেয়েটির আত্মবিশ্বাস আগামীর সূচক মাত্র । দিন বদলাবেই ।

Previous Post Next Post