■ মিজোরাম সবুজপথ আর বড়োদিনঃ
কোলকাতা বিমানবন্দরে ঢুকে মিজোরাম ফ্লাইটের টিকিট কনফরমেশন লাইনে দাঁড়িয়ে আছি আমরা ছ’জন। বেশ লম্বা লাইন সামনে। এক মহিলা কাউন্টারের পিছন থেকে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন,আপনারা নিশ্চিত তো যে, মিজোরামেই যাচ্ছেন’। যেহেতু প্রশ্নটা ছিল ইংলিশে তাই উত্তর বললাম, ‘ইয়েস’। মহিলা ‘ওকে’ বলে চলে গেলেন। পোশাক দেখে অনুমান করলাম তিনি বিমানবন্দরের কর্মী। কিন্তু প্রশ্নটা শুধু আমাদেরই করা হলো কেন? বেশ কিছুক্ষণ পর নজরে এল ঐ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জারের মধ্যে আমরা ছ’জন ছাড়া আর একজনও বাঙালি নয়।সবাই অল্প বয়সের মিজো তরুণ-তরুণী। সকলেই খ্রিস্টমাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে আর আমরা যাচ্ছি ভ্রমণে। ওরা মিজো ভাষায় একে অপরের সাথে কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে। সিট নাম্বার হাতে পেয়ে মাথায় হাত। ছ’জন ছয় জায়গায় বসতে হবে। সমস্যা আমার ছেলেকে নিয়ে, সদ্য সাতে পদার্পণ করেছেন তিনি। এহেন বিশাল ব্যক্তি তো একা বসতে হবে শুনেই কাঁদো কাঁদো প্রায়। যাক, আশার কথা হলো আমার বাঁপাশের মিজো তরুণীকে অসুবিধার কথা জানাতেই সে সিট পরিবর্তনে রাজি হয়ে গেল। আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। মন জুড়ে তাই বেশ একটা ভালো লাগার আবেশ! জানালার ধারে বসে এক সুদর্শনা মিজো তরুণী। মিনিট দশেক উড়েছি আকাশে। একঘণ্টার পথ মিজোরামের রাজধানী আইজলের ‘লেংপুই’ এয়ারপোর্ট। দশ মিনিটেই সামনে রাখা নিয়মাবলী পড়া হয়ে গিয়েছে। বাকি পঞ্চাশ মিনিট কি এভাবেই চুপচাপ বসে কাটবে? পাশের জনের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু শুরু করি কীভাবে? ভাবতে ভাবতেই সিটবেল্টটা খোলার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মেয়েটি জানতে চাইল ‘এনি প্রবলেম? ক্যান আই হেল্প ইউ?’
আমি বললাম, নো নো। যাক ইংরাজিতেই কথা বলছে সে। আমার বিদ্যা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারব, তবে হিন্দি হলে একটু ভালো হত। নাম জিজ্ঞাসা করলাম,
সে উত্তর দিল, মিনো... মানে বাংলায় আমরা বলি মিনু।
কথায় কথায় জানতে পারলাম সে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাড়ি ফিরছে। সেখানে চাকরি করে। তবে বেচারার মন ভীষণ খারাপ। লাগেজের ওভার ওয়েটের জন্য তাকে অতিরিক্ত বারো হাজার টাকা দিতে হয়েছে কোলকাতা এয়ারপোর্টে। অল্প সময়ের মধ্যেই মিনোর সাথে বেশ ভাব হয়ে গেল। ওর কাছেই শুনলাম খ্রিস্টমাসের দু’দিন আগে বাজার বন্ধ হয়ে যায় পুরো মিজোরামে। ঐ শেষ দিন নাকি বাজারে এত ভিড় হয় যে একটা পা রাখার জায়গা হয় না। তারমানে আমরা গিয়ে বাজার খোলা পাব। তবে এমনিতেই সাড়ে দশটার ফ্লাইট দেরি করে দুটো তিরিশে ছেড়েছে। সময় মতো পৌঁছাতে পারব তো! তিনটে পনেরো হবে, তখন ফ্লাইট মিজোর আকাশে উড়ছে। মিনুর পাশের জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখতেই বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। উপর থেকে পাহাড় ঘেরা অপরূপ মিজোরামকে দেখা যাচ্ছে ছবির মতো। চারিদিকে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা, মাঝে সরু সুতোর মতো বয়ে চলেছে নদী। এটাই কি তালং নদী! প্লেন যত নিচে নামতে লাগলো সেই ছবি যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগল। অবশেষে প্লেনের চাকা মিজোরামের মাটি স্পর্শ করল। প্লেনের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার আগে সামনে তাকিয়ে দেখলাম সূর্যটা ক্রমশ পাহাড়ের পিছনে লুকাচ্ছে। পড়ন্ত দুপুরে পাহাড়ের কোলে সূর্যের ঢলে পড়া, এছবি তো কত এঁকেছি ড্রয়িং খাতার পাতায়,কত দেখেছি পাহাড়ে ভ্রমণের সময়, তবু কেন যেন মনে হল এ ছবি একেবারে আলাদা নতুন! আসলে মিজোরাম সত্যিই তো একেবারেই আলাদা। ছিমছাম ছোট্ট এয়ারপোর্টের বুকে দাঁড়িয়ে ভাবছি এই তবে মিজোরাম! কত মন্দ কথা-ই না শুনেছি এর নামে।
লাগেজ নিয়ে এয়ারপোর্টের বাইরে এসে ফোন করতেই ‘পুঁইয়া’ ভাই এগিয়ে এসে ট্রলিটা হাতে নিল তারপর গাড়িতে। মিজোরামে আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে “অরিনি” হোটেলে। সবই অনলাইন বুক করা সরাসরি, কোনো সংস্থার মাধ্যমে নয়। তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যা বুঝলাম এই জায়গায় নিজে অনলাইন হোটেল বুককরা সত্যিই কঠিন ব্যাপার। সাইটে দেওয়া কোনো ফোন নাম্বারই কাজ করে না।
হোটেল থেকে আমাদের জন্য দুটি গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। একটির ড্রাইভার পুঁইয়া জি আরেকজন অল্পবয়সের জোচং। দুজনেই মিজোরামের স্থানীয় মানুষ। পুঁইয়া জির গাড়িতে বসেছি সবে, হঠাৎ একটা ফোন এল ‘ আপলোগ কাঁহা হ্যয়? গাড়ি লেকে খাড়ে হুঁ এয়ারপোর্টকে বাহার’। মানে? চমকে উঠলাম আমরা। আমাদের সহযাত্রী পরিবারটি তো উলটো দিকের পার্কিং এ দাঁড়ানো গাড়িটিতে চেপে গিয়েছে ইতিমধ্যে! তবে ইনি কে? তবে যা শুনেছিলাম মিজোরাম সম্পর্কে সেটাই কি ঠিক! ওরা কি কিডন্যাপড? ক্ষণিকের জন্য কেমন যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। নেমে পড়লাম গাড়ি থেকে। আমাদের মুখের অবস্থা দেখে পুঁইয়া জি কিছু আন্দাজ করলেন হয়তো। দেখলাম ওনার মধ্যে নিজেদের প্রমাণ করার কি ভীষণ তাগিদ। বললেন, ‘ডোন্ট ওঅ্যরি’। তারপর আমাদের সোজা পার্কিং এর বাইরে দাঁড়ানো ওনার সঙ্গী গাড়িটির কাছে নিয়ে গেলেন। দেখলাম ওরা নিশ্চন্তে বসে আছে গাড়ির ভিতর। আসলে একটা গন্ডগোল বোধহয় হোটেলেই ঘটেছে। ওরা দ্বিতীয় কোনো ড্রাইভারকেও আমাদের নাম্বার দিয়ে স্টেশনে পাঠিয়েছে। যাই হোক গাড়ি ছুটে চলেছে লেংপুই এয়ারপোর্ট থেকে মিজোরামের রাজধানী আইজলের পথে। ঘন্টাখানেকের রাস্তা। আঁকাবাঁকা পথের কোথাও বাঁপাশে কোথাও ডানে ভেজা ভেজা সবুজ বুকে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় আর খাঁজে খাঁজে বাঁশ বা কাঠের খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে আছে টিনের তৈরি মিজো হাউস। এদৃশ্য ঠিক কলমে প্রকাশের নয়। যদিও প্রচ্ছন্ন একটা দারিদ্রতার চিহ্ন রয়েছে তবু মনমোহিনী প্রকৃতি এখানে উদার হস্তে বিতরণ করেছে সবুজ।
পথের পাশে ছোট্ট একটা দোকানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল গাড়ি। একমুখ বলিরেখা নিয়ে বসে আছে এক মিজো মহিলা। পুঁইয়াজি টাকা এগিয়ে দিয়ে বলল,’তাম্বুল’। মহিলা টাকা নিয়ে এগিয়ে দিল ছোট প্যাকেটে কাটা গুটিকয় সুপারি। এখানে সুপারিকে তাম্বুল বলে। আইজলে ঢোকার মিনিট দশেক আগেই হঠাৎ আকাশের দিকে চোখ যেতেই স্তম্ভিত হয়ে গেলাম! পাহাড়ের কোলে একটি আকাশ কেমন লালচে রঙে সেজেছে। সন্ধে হয়ে আসছে। রাস্তার অবস্থা খুব ভালো নয়। ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মত মিজোরাম যে উপেক্ষিত সেটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। হঠাৎ আবার গাড়ি দাঁড়েতেই দেখলাম সামনে সুদীর্ঘ গাড়ির লাইন। সেখানেই শুনলাম,সন্ধের মুখে এমন একটু হয় তবে তেইশে ডিসেম্বর বলে আরও বেশি। সব গাড়ি ফিরে আসছে আগামী কয়েকদিন আর কোনো গাড়ি বাইরে বেরোবে না। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই দেখলাম এক মজার দৃশ্য। পেট্রলপাম্পের সমনেই ব্ল্যাকে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল। আমাদের হোটেল আইজলেরে আপার খাটুয়া বলে একটি জায়গায়,যেখানে হাঁটা দূরত্বেই আছে রাজভবন। আইজল পৌঁছে বুঝলাম সন্ধে হলেই এখানে বাজার-হাট বন্ধ হয়ে যায়। চারিদিকে বন্ধ দোকান রাস্তাও বেশ ফাঁকা। সাড়েছ’টা নাগাদ হোটেলে পৌঁছালাম। রাস্তার একেবারে উপরেই। ভিতরে যেতেই একটি ছেলে এসে আমাদের জিনিস নিয়ে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল। হোটেলের সব ঘরই নিচে। সুন্দর বিশাল বড় রুম। বসার আর ঘুমানোর জায়গা আলাদা। প্রতিবারের মত এবারও তাই হল। পথের ক্লান্তি মোটেও কাবু করতে পারেনি। জিনিস রুমে রেখেই সবাই চলে গেলাম উপরে রিসেপশনে। একটু রাস্তায় হাঁটব। হোটেলের ম্যানেজার জানালেন, ‘কুছ খরিদনা হ্যয় তো আজ হি খরিদ লি জিয়ে। কাল সে ফার্স্ট ডিসেম্বর তক দুকান বাজার বন্ধ রহেগা’। মানে? আমরা তবে বাজার করব কি করে? বললাম চব্বিশ তারিখও খোলা থাকবে না? সে জানাল পুরো বড়দিনের ছুটির দশদিন এখানে সব বন্ধ থাকে। ঘুরতে যেতে পারব তো? না সে বিষয়ে সংশয় নেই, কারণ পুঁইয়া জি আমাদের হোটেলে ড্রপ করার সময় একটা গাছের পাকা পেঁপে দিয়েছেন আর বলেছেন কাল এসে আমাদের ঘুরতে নিয়ে যাবেন।
পাহাড়ের গা কেটে কংক্রিটের শহরে কালো পিচের রাস্তায় নিঝুম শীতল সন্ধ্যা। সোয়াটারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটছি আমরা। এ তো শুধু হাঁটা নয়, সন্ধের মিজোরামকে যেন গায়ে মাখছি। শুকনো খাবারের সাথে খুশির আবেশ পকেটে ভরে হোটেলে ফেরার পর কীভাবে যেন কেটে গেল একটা রাত!
সুন্দর একটা নরম ঘুমের সমাপ্তি ঘটল ধোঁয়াওঠা চায়ের কাপের সাথে। স্নান, ব্রেকফাস্ট সেরে রাস্তায় এসে দাঁড়াতেই দেখলাম, গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জোচং আর আরেকজন। পুঁইয়াজি পাঠিয়েছেন। আমাদের গন্তব্য ‘রেইক হিল’। ঘন্টাখানেকের রাস্তা। গাড়ি ছুটছে নিঃস্তব্ধ সবুজের মাঝ দিয়ে। এত ঘুরেছি পাহাড়ে কিন্তু এত সুন্দর পথ সত্যিই কোথাও দেখিনি! এখানে পথ নিজেই দর্শনীয়। দু’পাশে ঘন সবুজ গাছের সারি নিবিড় ছায়াঘেরা অরণ্য পথ, মাঝে মাঝে ঠিক ছবির মত জেগে থাকা জনপদ গুটিকয় টিনের বাড়ি সবুজ গাছে ঘেরা। একটা ছোট্ট লোহার পাতের ব্রিজ পেরিয়ে থেমে গেল গাড়ি। আমরা নেমে ব্রিজের উপর এসে দাঁড়ালাম। ঘন সবুজ স্বচ্ছ কাচের মত বয়ে চলেছে ‘তালং নদী’। অপরূপা শুধু নদী নয়, তার দুইপাড় কী যে ভীষণ সুন্দর বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দূরে, আরও দূরে শুধু দৃষ্টি হারাতে চায়! নদীর সাথে একাত্মতা আমার চিরকালের। কান পাতলেই মনে হয় যেন ডাকছে ‘আয়, ছুঁয়ে যা আমায়’। তালং ও আমায় ডাকল। ইচ্ছার এক প্রবল শক্তি আছে। যাকে স্পর্শ করা যায়না,তাকে মন দিয়ে অনায়াসেই স্পর্শকরা যায়। আর মাত্র কিছুটা পথ পেরিয়ে গাড়ি এসে দাঁড়াল সবুজে ঘেরা একটা সুন্দর কটেজ কম্পাউন্ডের মধ্যে। এটাই রেইক ট্যুরিস্ট লজ। সব কটেজে তালা লাগানো। খ্রিস্টমাসের ছুটিতে লজ বন্ধ থাকে। মনে পড়ে গেল ফোন করেছিলাম এখানে। জোচং বলল, ‘রেইক হিল’ সামনে। প্রায় দু’কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যেতে হবে জঙ্গলের পথে। আমরা হাঁটা শুরু করলাম। সরু মাটির চড়াই রাস্তা জঙ্গলের বুক চিঁড়ে এগিয়ে গিয়েছে সামনের পথে। আমরা হাঁটছি দু’পাশে ঘন জঙ্গল। এ জঙ্গলের প্রকৃতি আমাদের কিচ্ছু জানা নেই। শুধু নিজেদের নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কিছুই কানে আসছে না। মাঝে মাঝে একটা কি যেন পাখি দূর থেকে ডেকে চলেছে। একটা প্রতিধবনির মত গোটা জঙ্গল ঘুরে সে ডাক যেন এসে ধাক্কা মারছে আমাদের কর্ণকূহরে। পথ বেশ চড়াই।পায়ের পাশিতে টান ধরছে, বুকেও মাঝে মাঝে চাপ লাগছে। একটু দাঁড়িয়ে আবার হাঁটছি আমরা। সহযাত্রী পরিবারের দু’জন আর পারল না। আমরা দুজন, আমার ছেলে আর রূপাদির মেয়ে এগিয়ে চললাম। সবার থেকে নিজেকে ক্ষণিক আড়াল করে কান পাতলাম জঙ্গলের বুকে। একটা গাছের ঝুঁকে পড়া ডালে হাত বুলিয়ে রেখে দিলাম স্পর্শ। অজস্র ফিসফিস যেন বাতাসে উড়ছে। মনে হল দু’হাতে আঁকড়ে ধরি এ বৃহৎ জঙ্গল, মিশে যায় এই নিঃশব্দ প্রকৃতির মাঝে। এক কি.মি. হাঁটার পর দেখলাম জঙ্গলের মাঝে রয়েছে একটি কবরস্থান আর একটি খালি জিপ দাঁড়িয়ে। সামনে দুটো রাস্তা। তারই একটা ধরে আরও সামনে দুই কি.মি আন্দাজ এসেগিয়েছি প্রায়। সামনে পথ বন্ধ আর এগোনোর জায়গা নেই। একটা বিশাল অর্ধাকৃতি গুহা পাহাড়ি পথের শেষে পথ আটকে দাঁড়িয়ে। বুঝতে পারলাম না ঠিক কোন পথে এগোলে নিচের অনন্ত বিস্তৃত ভ্যালিটি দেখতে পাব। কেমন যেন গা টা ছমছম করে উঠল। না এবার ফিরতে হবে সেই দু’কিলোমিটার পথ।
লজের রেস্টুরেন্টে ঘন দুধের চা পান করে ফেরার পথে ছুটে চললাম। এবারে ক্ষণিকের জন্য আমাদের ড্রাইভার চেঞ্জ হল। আসলে জোচং একজন খুব ভালো গায়ক। পাহাড়ি বনপথ,ঢালের রাস্তা, দু’ধারে গাছের সারি, ছুটে চলেছি আমরা জোচং গেয়ে চলেছে সুন্দর পাহাড়ি সুরে মিজো ভাষায়। সুরের কাছে সব ভাষা মিলামিশে এক। জোচং একেবারেই হিন্দি জানে না তবে অরিজিৎ সিং এর একটা হিন্দিগান শিখেছে, মানে বোঝে না গানের তবে সুরটা ওর খুব প্রিয়।
ক্রমশ...।