■ ১
তোমাদের শীত করে দেখি
পুঁটলির চাদর খুলে কিছুটাও জড়ালে পরে
খানিক জাড় কমে ভেবে বলি ও দিদি পরে নাও
পরে নাও বেশ
সেই কোন সকালে ছেড়েছ বালিশের ওম
আমি বুঝি আমি ঠিক বুঝি গো কতটুকু
চোখের পাতা আটকায় আঠার মতন
এ জীবনে সুখ ছিল কতটুকু
এ জীবন সুখ দেয় কী আর
সেই তো শেষ প্রহরের কনকনে ওষ ক্ষেত পাড়ে
আলপথ বেয়ে হাঁটা চটিটায় ফকফকা ওঠে বায়ু
উফ শীতে হাড় কালি ছ্যাপ চাদরের তলে
আমি বুঝি আমি বুঝি গো কত বড় শুষ্ক এ ধরা তল
শিশিরেই এতটুকু ভেজা ভেজা
■ ২
বেতের চেয়ারখানা টুকটাক বেত খুলে ঝুলেছে বাঁধন
এতটুকু খোলা স্রেফ ব্যালকনি
কনকনে বাতাসও মুক্তির তাপ দেয় কত পল
আমাদের এতটুকু একফালি বাড়িঘর
ওপাশের জানালার কড়িকাঠ ঝাপসা কাচের প্রাচীর
কে কার কেউ নেই কেউ নয় ওমহীন গ্যাঞ্জাম
নিচে ওই পড়ে আছে ও যে কে যে ওই উচুঁ
থাক থেকে কেন গেলে ছেড়ে ঘর
ভাবে বুঝি মরণের পারে আছে নিজের আপন
ধুস বোকা কেউ নেই সেখানে কেউ নেই এখানে
একা একা বওয়া ক্রুশ বাওয়া জর্ডন থাকে খ্রীষ্ট
ইলোই ইলোই ইয়ামা সবক্তানি .....
■ ৩
সব পথ মিশে যায় রাজপথে
তাই তুমি ভাবো আজও বুড়োকেলে বই পড়ে
আমাদের দেখা হয় সিট্রানেলার গন্ধে
দুই হাত ছড়িয়ে টেনে নিই তেজ
পৌনে এক ঘণ্টা পর ছুঁড়ে দাও চাইবার দুইহাত
এখানে ছায়া ছায়া বিল্ডিং এসো যাই
যেইখানে ভরা রোদ হেঁটে হেঁটে কতখানি এগোলাম
যতখানি টেনে নিলে বুকের গভীরে
আমাদের দেখাশোনা পথে পথে
■ ৪
নিবিড় চোখ কই চোখ আছে বড় বড় কোটরেই
গোড়ালির ফাটাময় ধুলোবালি
চারপাশ ঘুম ভেঙে উঠছে খাটালের ভাইয়া বাহিরে
বাসি মুখে একগাল হাসি হেসে
টাইম নেই আড় ভাঙ্গা ভোর ভোর শহর দেখে
সেখানেও সুয্যি লাল লাল
ধুর বাপু ওসবের ফুরসৎ নাই ঠিক নাকি, ও মাসি?
টেইম নেই ক্ষুধা পায় চা পাবে বৌদির বাড়ি গেলে
এতকটা বাসুন সেরে তরকারি কাটলেই চা পাবে এক কাপ
পরেশ ও দেয় নাকো অতখানি গোটা গুটি পাঁচ টাকা ছুঁড়ে দিলে
তার ওপর থিন দেয় নিজে থেকে ছয় টাকা
দেবে না কী নালাতে!
তার চেয়ে চুমুকেই প্রাণ জুড়ায়
সুচিন্তিত মতামত দিন