“ঘুমের দরজা ঠেলে” এমন কোটেশনে মন সত্যিই ভালো হয়ে যায়, চিন্ময় গুহর উদ্ধৃতি এটি, ঋণস্বীকার করেই বলছি এখন তো মানুষের মন না মতিই সব ।
ঘুমের দরজা ঠেলে শপিং মলের ভিতরে এসে দাঁড়িয়েছি। দেখছি হদ্দ গ্রাম থেকে শহরে এসেছে দুজন। শপিং মলে কসমেটিক গয়না কিনছে। কানে গলায় দিয়ে দেখছে, আর বরকে বলছে কেমন লাগছে, বর ইশারায় জানাচ্ছে লা জবাব, আমি ভাল করে দেখলাম জোৎস্নারানিকে। পেটাই শরীর কথাবার্তায় পূর্ববঙ্গীয় ছাপ, বলছে গ্রামে ফিরে যাবে না আর এই শহরেই ঝা ঝকঝকে একটা ফ্লাটে থাকবে ভাবলাম এখন তো মন না সব মতিভ্রম, বর বলছে সম্ভব নয়, তার ব্যবসা সব গ্রামে, শহরে এলে হালে পানি পাবে না, এবার ওরা হোটেলে খেতে যাবে। সারাদিন ঘুরবে, কেনাকাটা করবে । কথাগুলো জোড়ে জোড়ে বলছে, আশেপাশে কেউ শুনছে কিনা কুছু পরোয়া নেই । ওরা চলে যেতে আমি আরাকদিকে মন দিলাম, একজন বলছে বালক ভোলানাথ এসেছে, গায়ে ছাই ভস্ম মেখে আর একজন বলছে ওরা তো বহুরুপি!
আমি ভাবছি অন্য কথা এতদিন যা শুনেছি সব ভুল ! কিভাবে আকুল গাঙ হয় কথামালা, কি ভাবে শব্দ গুলো, দুঃখ হয়ে যায়, এগুলোর কোন ব্যাখ্যা হয় না কবিতায়, জানি না আমি, আপনি কি জানেন!
আমি ভাবছি অন্য কথা এতদিন যা শুনেছি সব ভুল ! কিভাবে আকুল গাঙ হয় কথামালা, কি ভাবে শব্দ গুলো, দুঃখ হয়ে যায়, এগুলোর কোন ব্যাখ্যা হয় না কবিতায়, জানি না আমি, আপনি কি জানেন!
আমি তো এতদিন জানতাম, প্রতিটি গৃহস্থ সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজলে ঘর মন্দির হয়ে যায়, আর ঘরণী হয়ে যায় লক্ষী পয়মন্ত। এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন মন না মতি মেগা সিরিয়াল গিলে নিচ্ছে প্রতিটি সন্ধ্যা, ৩৬৫টি গ্রাম ২৫৮শহর ঘুরে এসে আমার এই সিদ্ধান্ত, হবেই না কেন, নাইট্রোজেন সারে হাইব্রিড খেয়ে বড় হচ্ছি প্রতিদিন, রঙের গ্যারান্টি দিতে পারবো না দাদা, তবে জিনিসটা ভাল, সপিং মলে সারা বছর ধরে সেল ঠেলা গাড়িতে ফুলছাপ ব্রা শোকেসে সাজালেই হয়ে ওঠে জকি, গ্রামের মেয়েদের পর্যন্তও বোঝাতে হয় না আর।
শপিং মল থেকে বেরিয়ে দেখি, সামনে এক সেই বালক বহুরূপী। সবাই বলল , কেদুলীর মেলা ছেড়ে শহরে এসেছে ,সামান্য বেশী রোজগার হয় যদি, আর কেউ না চিনুক আমি তো চিনেছি, আপনিই তো, সেই শিশু ভোলানাথ, স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন , মর্তের মাটি নিয়ে স্বর্গ স্বর্গ খেলবেন বলে, আপনারও কি মন না মতিভ্রম ।
শপিং মল থেকে বেরিয়ে দেখি, সামনে এক সেই বালক বহুরূপী। সবাই বলল , কেদুলীর মেলা ছেড়ে শহরে এসেছে ,সামান্য বেশী রোজগার হয় যদি, আর কেউ না চিনুক আমি তো চিনেছি, আপনিই তো, সেই শিশু ভোলানাথ, স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন , মর্তের মাটি নিয়ে স্বর্গ স্বর্গ খেলবেন বলে, আপনারও কি মন না মতিভ্রম ।
এবার যদি ধর্মের ষাঁড় লেলিয়ে দিই পালাবার পথ পাবেন না আপনি, ধর্মের ষাঁড়ে দেশের গণতন্ত্র কাঁপছে এখন। গোটা দেশে একই ছবি, ভেবেছিলাম ষাঁড়ের চোখে লাল কাপড় বেধে দৌড় করবো আর বলবো , খাড় কাচতে সাবানের দরকার পরে , বুঝবে তখন , ঠিক তখনই কেউ যেন বললো কোন সময়ে দাঁড়িয়ে আছো দেখেছো,এখন মানুষের মন না মতিই সব যেমন রঙের কোন গ্যারান্টি নেই, বেশী কাচলে কিন্তু কিছুই থাকবে না।
Tags:
গদ্য