দীর্ঘ সাতমাসের এ যাপন চিত্র মা দুর্গার চালচিত্রে স্থান পাবে কিনা জানি না ! তবে ভুক্তভোগী মাত্রই জানে-
ওদিকে নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ, শিউলি ফুটছে, হাওয়ায় দুলছে গোছা গোছা কাশফুল...। পুজোর ঢাকে কাঠি। এইতো সেদিন, ট্রেলারে যা দেখলাম তা যদি সত্য হয়, না জানি কত বড় বিপদ ওৎ পেতে থাকবে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে...। একটি বিশেষ ব্যান্ডের দোকানে জুতো কেনার জন্য শয়ে শয়ে মানুষের গুঁতোগুঁতি....। তবেকি আমরা দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে শপিং মল থেকে প্যান্ডেল হপিং চালিয়ে যাব! সেখানেই জমেছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। এমনিতেই করোনা সংক্রমনের গ্রাফ রোজই ঊর্ধ্বমুখী, বিশ্বে প্রথমস্থানে ভারত প্রায় একটানা আশিদিন ধরে। ইতিমধ্যেই আমরা হারিয়েছি বহু প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাকে। এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে আরো একটু সচেতনতা, আরো একটু বিধি-নিষেধ কি আরোপ করা যেত না? বাড়িতে বসেই কি মাকে ডাকা যায় না? ওই যে আগেই বলেছি রাজনীতিই একমাত্র চলেছে দুরন্ত গতিতে, সামনে নির্বাচন, আর ভোট বড় বালাই!
ধর্মতো ধারণ করে আর উৎসব মেলায় মানুষকে তবে এহেন পরিস্থিতিতে এ কেমন উৎসব, যা সমগ্র মানুষের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে? কেরল আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে ওনামের আগে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার। ওনামের পর দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র কে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে কেরল, এখন তার দৈনিক সংক্রমণ প্রায় বারোহাজার। আমরা কি কেরল থেকে শিক্ষা নেব না?
'চ'য়ে - চালা উড়ে গেছে আমফানেহোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষটি লালমার্কার দিয়ে গোল গোল দাগ দেয় ক্যালেন্ডারের পাতায়, চোদ্দদিন যেন চোদ্দ বছর। হুটার বাজিয়ে শুনশান রাস্তায় ছুটে যায় পুলিশেরগাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স আর শববাহী অমর্ত্য রথ...। গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেকটা জল, 'পতিত পাবনী গঙ্গে' হয়েছেন অচ্ছুৎ! এ কোন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা...? কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে মাছে-ভাতে বাঙালির অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন? তবে হ্যাঁ বাঙালির আর কিছু চলুক বা না চলুক, দিব্য চলছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড...। যেখানে বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক, স্যানিটাইজার আবশ্যিক আর ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছয় ফুট দূরত্ব, সেখানে সম্মিলিত প্রয়াসে হাজার হাজার প্রতিবাদী রোজ ব্যারিকেড ভাঙছে, পাথর ছুঁড়ছে, চোর-পুলিশ খেলছে, সমস্বরে গাইছে 'কানামাছি ভোঁভোঁ/ যাকে পাবি তাকে ছোঁ'।
চ'য়ে - কতদিন হাঁড়ি চড়েনি উনুনে
চ'য়ে - লক্ষ্মী হলো চঞ্চলা
চ'য়ে - ধর্ষিতা চাঁদমনির দেহ
রাতারাতি পুড়িয়ে ফেলা।
ওদিকে নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ, শিউলি ফুটছে, হাওয়ায় দুলছে গোছা গোছা কাশফুল...। পুজোর ঢাকে কাঠি। এইতো সেদিন, ট্রেলারে যা দেখলাম তা যদি সত্য হয়, না জানি কত বড় বিপদ ওৎ পেতে থাকবে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে...। একটি বিশেষ ব্যান্ডের দোকানে জুতো কেনার জন্য শয়ে শয়ে মানুষের গুঁতোগুঁতি....। তবেকি আমরা দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে শপিং মল থেকে প্যান্ডেল হপিং চালিয়ে যাব! সেখানেই জমেছে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। এমনিতেই করোনা সংক্রমনের গ্রাফ রোজই ঊর্ধ্বমুখী, বিশ্বে প্রথমস্থানে ভারত প্রায় একটানা আশিদিন ধরে। ইতিমধ্যেই আমরা হারিয়েছি বহু প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাকে। এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে আরো একটু সচেতনতা, আরো একটু বিধি-নিষেধ কি আরোপ করা যেত না? বাড়িতে বসেই কি মাকে ডাকা যায় না? ওই যে আগেই বলেছি রাজনীতিই একমাত্র চলেছে দুরন্ত গতিতে, সামনে নির্বাচন, আর ভোট বড় বালাই!
ধর্মতো ধারণ করে আর উৎসব মেলায় মানুষকে তবে এহেন পরিস্থিতিতে এ কেমন উৎসব, যা সমগ্র মানুষের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে? কেরল আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে ওনামের আগে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার। ওনামের পর দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র কে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে কেরল, এখন তার দৈনিক সংক্রমণ প্রায় বারোহাজার। আমরা কি কেরল থেকে শিক্ষা নেব না?
রামকৃষ্ণ মিশন ও তো একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সেখানেও পুজো হবে তবে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে ভক্তদের মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষেধ। এরপরও যদি আমরা সচেতন না হই, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর কিছু!
সময় এসেছে নর্মাল থেকে নিউ নর্মালের, সচেতনতা থেকে অতি সচেতনতার, আমাদের অভ্যাস পাল্টানোর আর কবীর সুমনের সাথে গলা মেলানোর....
"ছেড়েছ তো অনেক কিছুই পুরনো অভ্যেস
অসুখ-বিসুখ হওয়ার পরে জিলিপি সন্দেশ
ছেড়েছ তো অনেক কিছুই পুরনো বোলচাল
পুরনো ঘর ফুরোনো ঘর কুড়ানো জঞ্জাল
হাল ছেড়ো না
হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে
দেখা হবে তোমায় আমায় অন্য গানের ভোরে"
সমীরণ চক্রবর্তী
কলকাতা
কলকাতা
বাস্তব অনুভব থেকে খুব সুন্দর লেখা। অভিনন্দন।
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন