নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত

 

স্রষ্টাকথা

[পূর্ব কথন-মুগা এক সাহসী বালক। তাদের বাছুরকে খেয়েছে এক অজগর। তাকে সে শিকার করার সুযোগ পেলেও করে না। কিরি খুব ভালো ছবি আঁকে।সাবুক বলে এক মন্ত্রী আছে।তার রাজার কাছে এক ওঝা আসে। রাজার শেষ উত্তরাধিকারী নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়। মুগা সাপ ধরবার জাল বানায়। তার গ্রামে সাবুক আসে।মুগার বাবা বোঝাতে চেষ্টা করে মুগা তেমন বুদ্ধিমান আর সাহসী নয়। তবু তারা মুগাকে তারা ধরে নিয়ে যায়। জাকুদের দল কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গুহার মানুষদের ধরে নিয়ে আসার জন্যে।সেখানে সে একটি মেয়ে কে দেখে অবাক হয়। যার নাম খুয়া। তাকে বাদ দিয়ে বাকিদের নিয়ে আসে। কিরি ঘুম ভেঙ্গে বুঝতে পারে তার পরিবারের কেউ কোথাও নেই। কেবল থিয়াম্মা উপুর হয়ে পরে আছে। মুগা কে হাত পা বেঁধে ঘোড়ায় করে সাবুকের দল নদী পার করে নিয়ে এসেছে। জাকুর দল চলে গেলে খুয়া গুহায় ফিরে দেখে ভাই কিরি থিয়াম্মার মৃতদেহ থেকে শকুন তাড়াচ্ছে। ​ ]

৯।।

রাতে খাবার ব্যবস্থা করে সাবুকের দল। জাকুজাকু খুব আনন্দের সাথে খাওয়ার পর রাতে জেগে পাহারা দেবার দায়িত্ব নেয়। তার বাবা ‘এক চোখ লুলু’ ঘুমিয়ে যায় সবার আগে।খুব নাক ডাকে তার। সবাই হাসতে থাকে। “এই নাক ডাকার আওয়াজ শুনে কোন জন্তু কাছে আসবে না” সাবুক মজা করে বলে।অট্টহাস্যে ফেটে পড়ে সবাই। মুগা, লিয়ানের হাঁদা ছেলে চুপ করে তাকিয়ে দ্যাখে। আর একজন চুপ করে থাকে।সেই চুপচাপ লোভী লোকটা। সে কিছুতেই মুগার চোখে চোখ রাখছে না। মুগার হাত পা খুলে দেওয়া হয়েছে। তার খাবার পছন্দ হয়নি। কিন্তু খুব খিদে পেয়েছিল,তাই খেয়ে নেয়।কি একটা বীজ, আধ সেদ্ধ,এই শস্যের বীজ তার অজানা। সে মাছ খায়। আগুনে সেঁকা মাছ তার খুব প্রিয়। শস্যের বীজ তার খেতে ভালো লাগে না। কচ্ছপের ডিম খেতে সে খুব ভালো বাসে। তাদের ঘরে মা মুগার জন্যেই গর্ত করে ​ কচ্ছপ পুষে রাখে। গর্তের পাশে বালির মধ্যে ডিম পাড়ে কচ্ছপ। ডিম তুলে ফাটিয়ে চট করে গিলে নেয় মুগা। একবার অনেকগুলো ডিম খেয়ে খুব শরীর খারাপ হয়ে ছিল। তাই নিয়ে সবাই হাসাহাসি করেছিল। আজ মুগার কেবল মার কথা মনে পড়ছে। মার পড়ে যাওয়াটা সে ভুলতে পারছে না। সে আকাশের দিকে তাকায়। তাদের গ্রামে অনেক বড় বড় গাছ থাকায় সে এতো বড় আকাশ দেখেনি। আকাশের এতো তারা সে জানতো না। আজ আকাশে সরু চাঁদ।আলো কম।​ ​

আকাশের দিকে তাকিয়ে তার বাবার জন্যে চিন্তা হল। এরা কি বাবাকে খুব মেরেছে। আচ্ছা ​ বাবা কি এদের পেছন পেছন খুঁজতে খুঁজতে তাকে উদ্ধার করতে আসবে! নাকি বাবার সেই বোন যাকে নিয়ে গিয়েছিল রাজার লোকজন ,আর কোনদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি তেমনি হবে। হাঁটুতে মুখ গুঁজে কাঁদতে থাকে মুগা। তার পাশে লিয়ামের ছেলে হামাগুড়ি দিয়ে এসে বসে। লিয়ামের ছেলে খুব চুপচাপ। ওর নাম জানে না মুগা। মুগার পিঠে হাত দিয়ে বলে, “কাঁদিস না। কাল দেখবি তোর খারাপ লাগবে না।”মুগার রাগ করে তার হাত সরিয়ে দেয়।“সত্যি রে, কাঁদিস না মুগা।” লিয়ানের হাঁদা ছেলে পিঠে হাত বোলায়। মুগা অবাক হয়ে বলে , “ আমি কোনদিন আর মায়ের কাছে যেতে পারবো না তো। কি করে ভালো থাকব।” “ তুই ঘুমা , আয় আমি তোকে ঘুম পাড়িয়ে দিই।” মুগা অবাক হয়ে হাঁদা ছেলেটার দিকে তাকায়। এক মুখ অদ্ভুত হাসি। হাঁদা ছেলে তার মাথাতে হাত বুলিয়ে বিড়বিড় করতে থাকে। মুগার ঘুম ঘুম পায়। হাই তুলে মুগা হাত পা ছড়িয়ে দেয় মাটিতে গভীর ঘুম নেমে আসে। দূর থকে সাবুক ব্যাপার টা লক্ষ্য করে। তার মুখে খুব স্বস্তির হাসি ভেসে ওঠে।লোভী লোকটা​ যে খবর দিয়েছিল তার একটা ঠিক। এই হাঁদা ছেলে কষ্টে থাকা মানুষ কে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারে।মুগার ব্যাপারটা এতো তাড়াতাড়ি বোঝা যাবে না। তার জন্যে খারাপ লাগছে। মুগার বাবা চিরকাল অবাধ্য। একটু যদি মানিয়ে নিত। ওর বোনের জন্যে আজো রাগ করে আছে। সাবুক এবার একটু ঝিমানোর চেষ্টা করবে। এই অঞ্চলে কোন সাপ আছে কিনা জানা নেই। কুমীর নেই এটা জানে সাবুক। তবে,নেকড়ে বাঘ আর ভালুক আসতে পারে। একটু সতর্ক থাকতে হবে। জাকুজাকু আগুনের ধারে আরও সব যোদ্ধাদের সাথে গল্প করছে। ছেলেটা কে দিয়ে কাজ করানো যাবে। লোভী লোকটা একটা পাথরের ওপর বসে নদীর জল ধারার দিকে তাকিয়ে আছে। লোকটাকে ঠিক বুঝতে পারছে না সাবুক। নজর রাখতে হবে এর ওপর। খুব বিশ্বাস করা উচিৎ হবে না।

১০।।

খুয়া আগুনের পরিমাণ যাতে বেড়ে যায় তার ব্যবস্থা করল। প্রচুর শুকনো পাতা আর কাঠের কঞ্চি আগুনে গুঁজে দিল। শকুনরা দূরে গিয়ে বসল। আগুনে সব পশু পাখি ভয় পায়।

খুয়া আর কিরি দুজনে মিলে ধরে ধরে থিয়াম্মা কে ছোট গুহার মধ্যে নিয়ে গেল। খুয়া ভাই কে বলে তাড়াতাড়ি গুহার ছাদে উঠবার জন্যে ওদের সবাই কে কোথায় ধরে নিয়ে গিয়েছে সেটা জানা দরকার। ফিরিয়ে আনতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে। গুহার মাথায় কিরি উঠে যায়। সে চারিদিকে তাকিয়ে কিছু দেখতে পায় না।চিৎকার করে বলে,“ কোথায় রে দিদি, মা রা বোধহয় খুব দূরে চলে গেছে।” খুয়া আরও উদ্বিগ্ন হয়। সে দ্রুত গুহার ওপরে উঠে আসে। নদীর ধারে কোন মানুষ নেই। কিন্তু এরা তো নদীর দিকেই গেল। চিন্তায় পড়ে গেল খুয়া। তাহলে সে কিভাবে নিয়ে আসবে সবাই কে। তবে কি এরা ফিরে আসবে! নাকি অন্য কোন পথে তারা এগিয়ে গেল।খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে খুয়ার দুজনে চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকল।

কিরির খিদে পেয়েছে। খুয়াকে বলতে সাহস করছে না। খুয়ার পায়ের ক্ষত দিয়ে রক্ত বার হচ্ছে, খুব ব্যাথাও করছে। আচমকা কিরি চিৎকার করল, “ঐ দ্যাখ দিদি, পূষন পূষন... ঐ দ্যাখ দুলে​ দুলে হাঁটছে।” কিরি আর খুয়া কে পূষন খুব স্নেহ করে। খুয়া দেখতে পেল। নদীর জল কমে যাওয়া জায়গাটা দিয়ে বিরাট আকারের, পূষন,বারিক, মা, আরও সবাই ধীরে ধীরে পার হচ্ছে। খুয়ার খুব কান্না পাচ্ছে। কিরি কে নজর রাখতে বসিয়ে রেখে খুয়া গুহার সামনে লাফ দিয়ে নামে। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ফিনকি দিয়ে পড়ে। নজর দেয় না সে। শকুনগুলো ছোটগুহার ভেতরে ঢুকে গেছে।তাকালও না খুয়া। বড় গুহাতে একটি ছোট ছোট অস্ত্রগুলো কে একটা চামড়ার মধ্যে এক সাথে করল। বিষ থাকে যে গর্তে সেখানে হাত দিয়ে নিশ্চিন্ত হল, সব গুলো আছে।এবার পায়ের ক্ষতটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে ।রক্তপাত যাতে আর না হয় সেই জন্যে একটা বাঁধন লাগবে। ভালো চওড়া আর পাতলা চামড়া লাগবে। সব কিছু খুঁজে দেখে পেল না খুয়া। থিয়াম্মার কোমরে একটা লম্বা আছে। সে নিজেই অবাক হচ্ছে। থিয়াম্মার মরে যাওয়া নিয়ে দুঃখ হচ্ছে না। থিয়াম্মার দেহ ছোট গুহাতে​ আছে। তিনটে শকুন ঢুকেছে। খুয়া কে দেখে তারা বিরাট পাখা ছাপটিয়ে উড়ে গেল। খুয়া ছোট ছোট নুড়ি খুব দক্ষতার সাথে ছুঁড়ে দিতে পারে। সে দুটো শকুনের গায়ে নুড়ি ছুঁড়ে মারতে সক্ষম হল। খুয়ার নাকে সেই বাজে গন্ধটা অনেক দিন পরে এলো। থিয়াম্মার দেহ থেকে আসছে। ওদের শিকার উৎসব হবার একদিন পর থেকে এই গন্ধে চারিপাশ ভরে যায়। পূষন খুব অপছন্দ করে। আগে পূষন খুয়া কে কোলে করে নদীর ধারের নীল ফুলের বড় গাছটার ওপরে বসে থাকত। পূষন রাতে ঘুমায় না। তারা দ্যাখে। কোন গাছের শিকড় খেতে ভালো পূষন জানে। তাই খুয়াও জানে। হলুদ রঙ কিরি পূষনের কাছ থেকেই শিখেছে। থিয়াম্মার দিকে তাকিয়ে খুয়ার বুক কেঁপে যায়। গোটা মুখটা শকুনে খুঁটে খেয়েছে। পায়ের আঙুল নেই। খুয়ার আর সময় নেই সে দ্রুত থিয়াম্মা কোমরে হাত দেয়। টান মেরে খুলে নেয় চামড়ার কোমর বন্ধ। কাঠ কয়লা দিয়ে জায়গাটা পুড়িয়ে নিলে ভালো হত। মা থাকলে খুব ভালো করে দেয়। যদিও খুয়া খুব কান্নাকাটি করে। এর আগে একজন হাত ধরত আর একজন পা। মা লাল কাঠকয়লা বিষিয়ে যাওয়া পিঠের ক্ষত তে চেপে ধরেছিল। খুব চিৎকার করেছিল খুয়া। কিন্তু এখন আর সে সব করা যাবে না। তাকেই ব্যবস্থা করতে হবে। বকের পালক মাথায় পরা ছেলেটা কে একেবারে মাথা ভেঙ্গে দিতে পারলে তবে শান্তি হবে খুয়ার। আগুনের মধ্যে থেকে খুঁজে বার করে তার ক্ষতের সমান জলন্ত কাঠের টুকরো। লাল হয়ে জ্বলছে। মাথার চুলের মধ্যে থাকা সজারুর কাঁটাটা দিয়ে গেঁথে তোলে লাল অগ্নিখন্ড। চেপে ধরে ক্ষতের ওপর। সারা শরীর জুড়ে দগ্ধ হবার যন্ত্রণা। সরিয়ে নেয়। বাঁশের নলে যে অল্প জল অবশিষ্ট ছিল, সেটা ঢেলে দেয়। কিছুক্ষন আরাম। আবার জ্বলতে থাকে। কিরি দ্রুত নেমে আসে। “ দিদি দিদি--- ওরা ওইপাড়ের নদীর ধার দিয়ে যাচ্ছে।চল তাড়াতাড়ি ” কিরির উত্তেজিত চিৎকার।“ কোন দিকে যাচ্ছে।” ব্যথা চেপে খুয়া বলে ।“ যে দিকে নদীর জল যাচ্ছে সেদিকে না। অন্যদিকে...”কিরি অবাক হয়ে দিদির পাএর দিকে তাকায়। চামড়ার পট্টি বাঁধছে খুয়া। ঠিক মতো হচ্ছে না। কিরি বুঝতে পারে দিদির খুব ব্যথা। সে দিদি পট্টি বাঁধার কাজে সাহায্য করে। খুয়ার ব্যাথা হলেও সে বুঝতে পারে এবার যুদ্ধ করার সময় তার খুব অসুবিধা হবে না। ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​

১১।।

পূষন খুব ধীরে হাঁটে। সে জানে এক ধাক্কা দিলেই সামনের এই ছেলেটি ছিটকে পড়ে যাবে। যে কোন অস্ত্র পূষন ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু করবে না। সে দুলে দুলে হাঁটে। বারিক ও দুলে দুলে হাঁটে। বারিক পূষনের ঠিক পেছনে। একদম সামনে খুয়ার মা ক্ষেমা। ক্ষেমা বারে বারে ঝগড়া করছে। তার পেছনে তিনজন মেয়ের মধ্যে একটি আসন্ন প্রসবা। তাকে জন্যেই ঝগড়া করছে ক্ষেমা। রোদ উঠে যাবে দ্রুত । আরও কষ্ট হবে। খুয়ার জন্যে চিন্তা হচ্ছে পূষনের । সে আবার তাদের বাঁচাতে না চলে আসে। এতো জনের সাথে খুয়া পারবে না। বকের পালক মাথায় দেওয়া ছেলেটা কে দেখে পূষন বুঝতে পারছে, এই ছেলেটি বুদ্ধিমান। সে বয়সে ছোট হলেও সকলে তার কথা মেনে চলে। মাথায় সাদা বকের বড় পালকের জন্যে তাকে বেশ লাগছে। তার মাথার ঝুঁটির চুল বেশ ঘন। টান করে বাঁধা। অন্যদের মত আলুথালু নয়। নিজের ব্যাপারে বেশ যত্ন আছে ছেলেটার। পায়ের পাঞ্জা বেশ চওড়া। আঙুল গুলো ফাঁকফাঁক। কাদার মধ্যে বেশী হাঁটলে পায়ের আঙুল এমন হয়। কিন্তু কোমর বেশ সরু। সেই জন্যে এতো ক্ষিপ্র।কৃষ্ণ চামড়ার ওপর বুকে সাদা সাদা পাখীর হাড় দিয়ে তৈরি বক্ষকবচ আঁট হয়ে বসে আছে ছেলেটির গায়ে। থুতনিতে একটা ছোট কাটা দাগ। তার মানে খুব বেশী সংঘর্ষ করেনি ছেলেটি। কিংবা খুব নিখুঁত তার কাজ, কেউ আঘাত করার আগে প্রতিরোধ করতে পারে। ছেলেটিকে বেশ লাগছে পূষনের।

আসন্ন প্রসবা যে মেয়েটি আছে তার পক্ষে হাঁটা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। হয়ত সময় হয়ে এসেছে। ক্ষেমা কেবল পেছন​ ঘুরে ঘুরে দেখছে। এইখানে প্রসব হলে কি হবে তাই নিয়ে সে খুব চিন্তিত । সে আবার তার সানুনাসিক স্বরে চিৎকার করে বলতে শুরু করে। “তোমরা আমাদের শিশুর মরে যাবার কারণ হবে। আকাশ থেকে বাজের দেবতা তোমাদের শিশুদের সব পুড়িয়ে দেবে, দেখো সব শিশু তোমাদের ছটপট করতে করতে মরবে”। বকের পালক পরা ছেলেটা কোন উত্তর এখনো দেয় নি। হঠাৎ এক মুখ হেসে বলে,“ তোমার ঐ অভিশম্পাতে আমরা কেউ ভয় পাচ্ছি না। আমাদের রাজা ঐ গুমগুম করা দেবতা কে জব্দ করে দেবেন।কথা না বলে তাড়াতাড়ি হাঁটো। গিয়ে ভালো খেতে পাবে।” পেছন থেকে পাতলা অস্ত্র নিয়ে হাঁটা ছেলেটা বলল, “ সর্দার জাকু, আমরা এই মেয়েটাকে বরং মেরে ফেলি। বড্ড কথা বলে”। ক্ষেমা চিৎকার করে অভিশাপ করেই যায়। জাকু মাথা নাড়ায়। মেরে ফেলা যাবে না। যতজন কে নিয়ে যাওয়া যাবে তত লাভ। তাছাড়া মনে হচ্ছে এই মেয়েটায় ওদের দলের প্রধান। যদিও সেই বুড়িকে মেরে ফেলা গেছে। কিন্তু একে নিয়ে গেলে রাজা খুশি হবে। রাগী মেয়েদের কে দমন করার একটা আনন্দ ও পাবে। জাকুর চিন্তা প্রসব হয়ে গেলে কি হবে! ​


■ আগের পর্বগুলো পড়ুন ■ পরিচিতি


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.