নিশিকান্ত রায়

দেবতার  মায়াবী খেলায়​

■ দেবতার 
মায়াবী খেলায়

পাথরেও আগুন ছিল এখন সেও নদী​
প্রশ্ন করেছি তাঁকেও।​
তাঁর বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছি।​
যেতে আসতে আলিঙ্গনে আলিঙ্গনে কেটেছে​
যৌবনের অনেকটুকুই।​
পাথর আমাকে ছুঁয়েছে ঠিকই কিন্তু বলেনি কিছুই।​
আমার সব কথা শুনেছে কিন্তু বলেনি কিছুই।​
আমার দগ্ধ বাড়ির ছাই ঢেউ তুলে​ নিয়ে গেছে নদী​
কিন্তু বলেনি কিছুই।
পাথর চুইয়ে আসা জলে জলে নদীর শরীর​
আমার গত জন্মের চিতাভস্মকেও নিয়ে গেছে দূরে।​ ​
ওই বন্দী জলের নির্বাক যৌবন অসহায় বয়ে যাচ্ছে।​
আমি জল নিয়েছি, মাটি নিয়েছি তার সাথে যা যা ইচ্ছে​
মিশিয়েছি আমার মনের মতোন -
তবুও রক্ষা হয়নি শেষটুকু।​
এখনও অবহেলা চারদিকে।​
অবিশ্বাসের কালো কাক ডেকে যায় রাতদিন।​
মানুষের পেট থেকে অমানুষ আজও বের হয়ে আসে।​
রোদ বৃষ্টি ঝড় জলোচ্ছ্বাস মহামারী এক নির্বোধ নগরের
সেপাই হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।​
বৃন্তচ্যুত ফুলের উৎসবে আমাকে হারিয়ে ফেলি ।​
আমাকে আজও দেখতে পাই না আমি
এবং ভুলে যাই, আমি মানুষ না দেবতা!
আমার দুপারেই শূণ্যতা ভরা মাঠ।​
মানুষ ও অসুরের সংঘাতে সংঘাতে ঢেকে গেছে পথ।​
সভ্য অসভ্যের লড়াইয়ের মাঝখানে স্বর্গের ছায়ার মিছিল-
দাঁড়িয়ে থাকে চুপচাপ।​
বারবার বিপন্ন হয়ে যায়​ মানুষ।
পশু ও অসুরের পরম্পরা ফিরে ফিরে আসে লোকালয়ে।​
কতটুকু গদ্য পদ্য হাহাকার নিয়ে মানুষেরা পণ্যময় হয়ে যায় -
তার হিসেব থাকে দেবতার কাছে।​


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.