■ মন্দিরা ঘোষ / খড়িশজন্ম

খড়িশজন্ম

দুঃখে চুর চুর হয়ে যাবার পরেও একটা বিষপানের ঠোঁট মুছে রাখি নির্লিপ্তির বেড়া টপকে।না,কোনো​ অভিযোগের কৌণিক প্রতিফলন নয়,মেয়েজন্মের ধার ঘেঁষে বয়ে যাওয়া আজন্মের মাংসল নদীরেখায় কেন যে লোভের চকচকে মুদ্রারা ভেসে বেড়ায়!

ধারালো চাকতির ফলায় বিষ বিষ অক্ষর সাজাতে গিয়ে এবরো খেবড়ো রোজ!

কোনো না কোনো ভুলের নামতায়​ জুড়ে যায় নয় ছয়ের যোগ। অক্ষরের ঢেউ সামলে ডানা ছেঁড়া পাখি উড়তে চায় বিষের ধারালো ঠোক্কর মেখে। বুকের মাংসপিন্ড ভেদ করে যে অভিমান সহস্রনাগের মতো গর্জায়​ সেখানে মাসিকের কালশিটে দাগ।​ মোছা যায় না। নষ্ট দাগে অন্তর্বাস​ সপসপে হয়।​

ইচ্ছেরা লাল নীল হলুদ প্রজাপতি​ ​ হতে গেলে​ ছিঁড়ে যায় সাজ! শুধু একটা চোরা স্রোত​ নেমে আসে তলপেট​ ফুঁড়ে যাতে লুকিয়ে রাখা বিষাক্ত​ ফুলের নামরূপ!

​আগমনীর রোদে কালশিটে হয় শিউলির বোঁটা।শাদা মেঘে সরের মতো লেপ্টে থাকে পোড়া ঘায়ের যন্ত্রণা। প্রতিশোধের অশনি বুক ঠেলে ধাক্কা মারে। আজ শরতের বাতাসে কান পাতলে শোনা যায়​ অজস্র ঝন ঝন অস্ত্রের দেবীগর্জন।

​দুর্গার পায়ে আলতা নয়, কামদুনি,হাতরাসের রক্তের দাগ!দশ হাতে মণীষা নির্ভয়া আসিফাদের রক্তাক্ত ছেঁড়া প্রত্যঙ্গের অভিশাপ!​

আজ প্রতিটি ঈশ্বরীর আয়ুধঘরে মাপা হোক পৌরুষের আয়ুজ্বর।

মাটি নয়।মাতৃত্ব নয়। মাংসল গর্ভ যেখানে খিদের উল্লাস পাতে পুরুষের সন্ধিপাপ,সেখানে নারীর খড়িশজন্ম হোক।


■ পরিচিতি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.