থ্যান্ডার ক্লাবের সামনে প্যান্ডেলের কাজ চলছে ধুমছে। পুজোর বাকি দুটো দিন আর। প্রতিমার রঙ করাও শেষ। লাইটিং আর ডেকারেশনের কাজ চলছে এখন।
প্যান্ডেলের মাঝ বরাবর আধভাঙা একটা চেয়ারে বসে ড্যাবড্যাবে চোখে তাকিয়ে ছিলো পাঁচু। হতাশায় একটা দীর্ঘ নিশ্বাস বেরিয়ে এলো ওর নাক-মুখ-কান দিয়ে।
এর মধ্যেই ঢ্যাঁড়া, ট্যাঙরা, কচি, ভেন্ডি, গগেন্ডি নাচতে নাচতে হেইহেই করে প্যান্ডেলে ঢুকলো। কচি টা আবার বাঁশের ছুচ দিয়ে দাঁত খোচাচ্ছে, বদমাশটা নিশ্চয় কচি পাঠার মাংস দিয়ে লুচি খেয়ে আসলো পোদ্দারের হোটেল থেকে। আর এখন ওকে দেখিয়ে নেকামো। পাঁচুর পিলে জ্বরের পিত্তি টা জ্বলে গেলো। মন চাইলো হতভাগার টাক মাথায় গাট্টা মারার। কিন্তু না। মন অবশ, হতাশ। মনের উপর নাই কোন জোর।
হাসতে হাসতে হতভাগার দল চেয়ার টেনে গোল হয়ে বসলো পাঁচুকে ঘিরে। সবার হাতে হাতে ব্যাগ। পুজোর শপিং বোঝাই যাচ্ছে। মনটা দমে গেলো পাঁচুর। শপিং করার টাকা এখনো হাতে আসে নি। কবে আসবে তাও ঠিক নেই। পকেটের অবস্হা নৈব নৈব চ। ধুর কিছু ভালো লাগছে না। এত প্লান করে এখন নিজেই বসে বসে স্বপ্নে লুচি ভাজছে।
ঢ্যাঁড়া টা ফোরন কাটলো -কি পাঁচুদা শুনলাম অনেক নাকি কেনাকাটা করলে, তা কি কি কিনলে গো?
খোঁচা টা বুঝলো পাঁচু। পিলে জ্বরের পিত্তি জ্বলে গেলো ওর। তবুও হাসি মুখে উত্তর দিলো ; নারে সময় পাচ্ছি না শপিং এ যাওয়ার।
হ তা তো দেখতাছি, কত কামই করো তুমি সারাদিন। এমন ব্যস্ত তো আর কেউ নাই - ভেন্ডি বারুদ ঠেঁসে দেয় যেনো পাঁচুর মনে।
তবুও বেমালুম হজম করে নেয় পাঁচু। কিছু হয়নি এমন ভাব করে প্রশ্ন করে তোরা কি কি কিনলি রে। আমি তো কিছু কিনি নি, আমাকে কিছু দে তোরা।
অই ভাই আমরা তো মাইনষ্যের কাপড় কিনতে গেছিলাম, গন্ডারের না। হেঁ হেঁ হেঁ হা হা হা তীক্ষ্ণ বানে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেয় কচি।
টমেটোর মত লাল হয়ে যায় পাঁচুর মুখটা। আর সহ্য করতে পারে না। মনটা চায় কচিকে মেরে তক্তা বানায় দিবে।
ঠাঁটিয়ে চড় মারে সামনে বসা ট্যাঙরার গালে। সেকেন্ডে লাল হয়ে যায় ওর গাল। সবাই চুপ হয়ে যায়।
বেচারা ট্যাঙরা এতক্ষন একদম স্পিকটি নট ছিলো, তবুও পাঁচুর চড় টা ওর গালে কেনো বসলো?
পাশ দিয়ে বিড়াল যাচ্ছিলো চুপিচুপি। হয়ত চড়ের আওয়াজে ওইও ভিমরি খেয়েছিলো , ন্যানো সেকেন্ডের ব্যবধানে পাঁচু সাই করে বিড়ালের ব্যাকগ্রাউন্ডে কিক মেরে দিলো। কেউকেউ করে উঠলো। (বিড়াল কিভাবে কেউকেউ করলো?!) ভয়ের চোটে লেজ গুটিয়ে দৌড় দিলো দিকবেদিক।
থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হলো। সবাই তটষ্ট পরের থাপ্পর টা না জানি কার উপর পড়ে, কিছু হলেই দৌড়নোর জন্য রেডি সবাই।
না.... কিছু হলো না। পাঁচু থমথমে মুখে বসে রইলো। হাত দিয়ে ইশারা করলো কেটে পড়তে। তড়িঘড়ি করে সব পালালো।
টাকা পয়সা তো হাতে কিছুই নেই। না এভাবে তো চলে না। কি করা যায়, কি করা যায়। দুষ্ট বুদ্ধি আসতে বেশি সময় লাগে না, পাঁচুর তো আরো বেশি আসে। এবারো চলে এলো জলদি।ইউরেকা... "লটারী"। হ্যাঁ লটারী করে ভালো একটা পরিমান সটকে দেয়া যাবে বৈকি। কিন্তু "না" একা তো করা যাবে না। বদমাশগুলোকেও সঙ্গে নিতে হবে। তারপর সুযোগ বুঝেই 'লে হালুয়া '।
সন্ধ্যা হতেই তড়িঘড়ি করে সব এসে গেলো ক্লাবে। পাঁচুর জরুরি তলব তো আর অমান্য করা যায় না।সাহসও কারো নেই। গোল হয়ে বসেছে সবাই।
কি হইলো হঠাৎ এমন জরুরি তলব ক্যান -প্রশ্ন করে ঢ্যাঁড়া।
কত কাম বাকি আর তোমার শুধু আড্ডাবাজি -ফোড়ন কাটে গগেন্ডি।
পিলে জ্বরের পিত্তি জ্বলে উঠলো পাঁচুর।
এই যে বাটার জুতো দেখেছিস, এটা দিয়ে কেলিয়ে পিঠের চামড়া তুলে ফেলবো যদি আর একটাও বাজে কথা বলিস -ফুঁসে উঠে পাঁচু।
কাজের জন্যই তো ডেকেছি নাকি। কথা শোন, ভালো লাগলে থাক, নয়ত ফোট।
তো কও না ক্যান কি কইবা -ঢ্যাঁড়াও গলা চড়ায়।
চু--উ---প----একদম--চু---উ-----প।
নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে পাঁচু। মনে মনে ভাবে "না পাঁচু না, রাগ করিস না ; কুল ডাউন বেইবি "।
শোন পুজোতে লটারী করবো। বিনোদনের বড়ই অভাব। ষষ্টীতে লটারী হবে। আর যারা ৫ টা লটারী কিনবে তারা সপ্তমীর ড্যান্স-আরতির প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে -এক নিশ্বাসে বলে গেলো পাঁচু, পিট পিট করে চেয়ে রইলো বাকিদের দিকে।
বাকিরা মাথা চুলকে, নখ কামড়ে, ভুঁড়ু কুচকে ভাবতে লাগলো ব্যাপারটা।
দ্বিধা দ্বন্দ নিয়ে মুখ খুললো ভেন্ডি -করা যায়, ভালোই হবো কিন্তু গতবারের আগেরবার যেভাবে পাল্টি খায়ে একাই সব মাল সটকে দিলা তেমন হবো না তো?
আরে না না, কি যে বলিস, ওবার তো আমি নেয়নি টাকা, ল্যাঙচা দা মেরে দিলো। তোরা শুধু ভুল বুঝিস আমাকে -বলতে বলতে তেলতেলে মুখে ভেন্ডির মাথায় আদর করে পাঁচু।
ঠিক আছে করি তাইলে। কিন্তু যা হবে সবাই সমান ভাবে ভাগ করতে হইবো-বললো কচি।
ম্যাকলা হাসি দিলো পাঁচু, "নিশ্চই" ( মনে মনে কচির গুষ্টি উদ্ধার করলো, পারলে বলি দেয় ওকে তখনি)।
চল লেগে পড় তাহলে কাজে। হাতে মাত্র একদিন। কাজ সবাই ভাগ করে নে।
পরের ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই হয়ে গেলো কাজ কমপ্লিট। ১ হাজার টিকিট ছাপানো হলো। পোষ্টার করা হলো কিছু। সেঁটে দেয়া হলো পাড়ায়। টিকিটের দাম মাত্র ১০ টাকা। থ্যান্ডার ক্লাবের হইহুল্লোতে রাতেই সবাই জেনে গেলো লটারীর কথা।
পাঁচু দিলো শান্তির ঘুম। এবার টাকাই টাকা শুধু।
পরদিন সকাল থেকেই ধুমছে বিক্রি। বিকেল গড়াতেই লটারী সব শেষ। অগ্রিম অর্ডার পড়লো দু'শোর মতন। ৫০০ টিকিট বানিয়ে আনা হলো। টাকা দিয়ে ড্রয়ার ভর্তি। নাচানাচি শুরু করে দিলো ট্যাঙরা আর ভেন্ডি। দেখাদেখি বাকীরাও। পাঁচু শুধু মুচকি মুচকি হাসে। জিলাপির প্যাঁচ কষে মনে মনে।
বাকী যা টিকিট ছিলো ষষ্টীর দিন সকালেই বিক্রি হয়েগেলো। দুপুর নাগাদ সব ক্লোজ করা হলো। আর বিক্রি নয়। চল এবার সবাই পেট পুরে খাওয়া হবে আগে। হইহই করতে করতে চলে এলো সব পোদ্দারের হোটেলে। কচি পাঁঠার মাংসের টলটলে ঝোল আর গরম গরম সিদ্ধচালের ভাত, আলুভাজি দিয়ে দশাসই খাওয়া-দাওয়া হলো। তারপর ঠান্ডা দই। পেটে হাত বুলাতে বুলাতে কাউন্টারে গেলো পাঁচু বিল মেটাতে।
দাদু কি রেঁধেছো মাইরি, তোমার জবাব নেই -পাচুঁ চোখ বুজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়।
খবর তো পাচ্ছি সব, তোরাও যেভাবে মানুষের টাকা মেরে খাচ্ছিস তারও জবাব নেই -চশমার উপর দিয়ে বিদ্রুপের দৃষ্টিতে বলে পোদ্দার মশাই।
পিলে জ্বরের পিত্তি এবার শুধু পাঁচুর না পুরো গ্যাঙেরই জ্বলে উঠলো যেনো।
মানে..... মানে কি --পাঁচু তোতলাতে থাকে।
দেখো বুড়ো উল্টাপাল্টা বললে কিন্তু একদম ভালো হবে না -কচিও চেঁচায় উঠে।
কেনো রে কি করবি হতভাগার দল, সারাদিন তো ভ্যারেন্ডা ভাজিস, ভ্যাগাবন্ড সব গুলো -পোদ্দার মশাই গরম দেখায়।
ঢ্যাঁড়া মুখ টা পোদ্দার মশাইয়ের কানের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বলে, "দেখোবুড়ো আমাদের পিছে লাগতে এসো না, নয়ত দিদুন কে বলে দিবো পাশের বাড়ির রিংকু দিদার সাথে তোমার লোটপোট চলছে "।
এক মুহুর্তে চুপসে যায় পোদ্দার মশাই।
পাঁচুরা হাসতে হাসতে বের হয়ে আসে রাস্তায়। রওনা দেয় লটারীর পুরস্কার কিনতে।
মন খুলেই কেনাকাটা করে ওরা। ভালো ভালো জিনিস কেনে। কিছু বিশেষ পুরস্কারও রাখে। এই যেমন আধ কেজি আলু, এক পোয়া বেগুন, হারপিকের বোতল, বাথরুমের বদনা থেকে শুরু করে হাস্যকর সব জিনিস।এসব শুধুই মজার জন্য। কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়ে গেলো। দুই দিনের অনুষ্ঠান সহ অানুষঙ্গিক খবর মিলিয়ে গেলো প্রায় অাটহাজার ছয়শ পয়ত্রিশ টাকা আটআনা। বাকীটা নিজেদের।
কচি বললো পাঁচুদা টাকাটা অহনি ভাগ কইরা নেই, কি কও।
খেঁকিয়ে উঠলো পাঁচু। কেনো রে এত তাল কিসের তোর। অনুষ্ঠান শেষ কর আগে। ততক্ষণ সব জমা থাকবে আমার কাছে। রাতে হিসাব হবে নি।
ব্যাপারটা ভালো চোখে কেউ না দেখলেও গাট্টা খাওয়ার ভয়ে চেপে গেলো সবাই। শুধু কচি 'ঢ্যাড়া'কে কানে কানে বললো "নজর রাখিস, মতলব খারাপ ব্যাটার "।
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পাড়ায় হইচই। সেজেগুজে এসেছে সবাই। ষষ্ঠীপুজো হলো প্রথমে, তারপর আরতি। ঢাকের শব্দে সবাই মাতোয়ারা। হইহুল্লোরে শুরু হলো লটারীর খেল। কচি আর গগেন্ডি মিলে উপস্হাপনা করছে। বাকীরা ব্যস্ত সাহায্যে।
পাঁচু স্টেজের একপাশে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনা করছিলো। কিভাবে কেটে পড়া যায়। একবার বের হতে পারলে বাসে সোজা "বড়াগড়ে" চলে যাবে। কাল শপিংসেরে, ঠাকুর দেখে তারপর পরশু ফিরে আসবে। বড়জোর পোলাপান একটু চেঁচামেচি করবে, কথা বলা বন্ধ করবে ; আর কি করতে পারবে।ওতে ওর বয়েই গেলো। লাল টুকটুকে একটা পাঞ্জাবীর বহুদিনের সখ ওর। এবার সত্যি হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।
ষ্টেজ গরম। লটারী নিয়ে মাতোয়ারা সবাই। পাঁচু চুপিচুপি অন্ধকারের দিকে সরে গেলো। তারপর কিছুটা হেঁটে বাসুদেবের বাড়ি হয়ে সোজা নেমে গেলো দর্জি পাড়ার গলি ধরে। সবাই লটারীর ওখানে যাওয়াতে এদিক প্রায় ফাঁকা। চারদিকে অাবছা অন্ধকার। তাড়াতাড়ি পা চালালো ও। ঘুরপথে এসেছে নয়ত এতক্ষনে রিকশা নিয়ে চম্পট দেয়া যেতো। এ পথে পা ই সহায়।
হাঁটতে হাঁটতেই কানে এলো কোনো বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। একটা নয় দুজনের হয়ত। মারছে কেউ। থমকে দাঁড়িয়েও পা চালালো। ধুর, দুষ্টামি করেছে তাই হয়ত ওদের মা মারছে। না, থেমে গেলো পাঁচু। পুজোরদিন বাচ্চাগুলোকে মারছে কেনো। ব্যাপারটা পছন্দ হলো না পাঁচুর। নাক গলাতে হয় দেখি। এসে দাঁড়ালো বাশেঁর বেড়ার কাছে। দরিদ্র পরিবার বোঝাই যাচ্ছে। কান খাড়া করলো শুনতে কিহয় ভেতরে।
ভেতর থেকে কথা ভেসে আসছিলো কোনো মহিলার। হয়ত বাচ্চাগুলোর মায়ের।বিলাপ করে করে বলছিলো "কি করবি ক, ভগবান গরীব করেই পাঠায়সে আমাগো, পুজোর দিন যে তোগো কিছু কিনা দিমু সেই সামর্থ্যও নাই, ভগবান তুমি কি চোখে দেখো না আমাগো, নিয়া নেও আমাগো "। হু হু করে কাঁদতে লাগলো মহিলাটা।
পাঁচুর মনটা হঠাৎ ভীষন খারাপ হয়ে গেলো। কেনো যে এমন হয়, কেউ অনেক বড়লোক কেউবা দিন আনে দিনও খেতে পারে না। পাঁচু নিজের কথা ভাবে। বড়লোক না হলেও কত আরামে থাকে ওরা। আর এই মানুষগুলো দুমুঠো খেতেও পারেনা। আহা রে! দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। অজান্তেই পকেটে হাত চলে যায় ওর। যা ছিলো সব বের করে আনে। বেড়ার মাঝে খুঁজতেই একটা ফুটো পায় ও। টাকাটা পেঁচিয়ে ঢিল দেয়। বিছানার উপর পড়ে।
আবার হাঁটা শুরু করে ও। মনে মনে ভাবে,টাকাটা দেখার পর হয়ত অবাক হবে। পিচ্চি গুলোকে কিছু কিনে দিতে পারবে হয়ত।
মনে মনে ভীষন শান্তি অনুভব করে পাচুঁ। এইবার ও পুজোর সত্যিকারের আমেজ অনুভব করে নিজের মাঝে। খেয়াল নাই কোনদিকে যে হেঁটে চলে এসেছে। চাঁদের অল্প আলোয় সামনে একটা পুকুর দেখতে পেয়ে দাঁড়ায় কিজানি একটা গাছে ঠেস দিয়ে।
অনেক দূরের কোন পুজোর প্যান্ডেলের আলো দেখা যায়। পাঁচু স্বস্তি নিয়ে দাঁড়ায়। নিশ্বাস নেয় বুক ভরে।
অনেকক্ষন কেটে যায়। হঠাৎ পাঁচুর ষষ্ঠইন্দ্রিয় সজাগ হয়। কাদের যেনো পা টিপেটিপে আসার আওয়াজ। ঝট করে পিছনে ফিরে ও। চমকে উঠে। পাঁচ-ছয় জন যুদ্ধংদেহীরূপে ঘিরে ধরেছে ওকে। ওরে বাবা। ডাকাত নাকি! কাম সারছে। পিছনে তো পালানোরও জায়গা নেই। পিলে জ্বরের পিত্তিটা গলা দিয়ে বের হয়ে যাবে যেনো ভয়ে। সব ব্যাটাগুলো যে মুখ ঢাকা। এ্যাঁ !!
একসাথে অ্যাটাক করলো সবাই। হুমদাম কিল ঘুসি। কে কারে মারছে কোন ঠিক নাই । শেষে চারজন পাঁচুকে চ্যাঙদোলা করে ঝুলাতে লাগলো, এই বুঝি ফেলে দেয় পুকুরে।
একজন কোমরে হাত দিয়ে সর্দার ভাব নিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো -যা আছে দিয়ে দে এক্ষুনি।
পাঁচু হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো -কিচ্ছু নেই বিশ্বাস করুন, ছেড়ে দিন আমাকে, প্লিজ।
সর্দার এসে সার্চ করে দেখে সত্যি কিছু নেই।
হুকুম দিলো -ভাসান দে ওকে......
পাঁচু কেঁকিয়ে উঠলো শুধু ( চেনাচেনা লাগলো সর্দারের গলাটা)
এক.......দুই.........তিন..... বলেই সোজা ওকে পুকুরে ফেলে দিলো ।
তারপর সবাই ঝাঁপ দিলো পটাপট । আজ শিক্ষা দিবে ব্যাটাকে কষাচে...বহুদিনের সখ মেটাবে।
চুবা ব্যাটাকে....... কষে ধর ওকে... ধর...........।।।
সুচিন্তিত মতামত দিন