
শীতকাল, সুপর্ণা ইত্যাদি
১।
স্টেডি বয়ফ্রেন্ড। তবু স্ট্যাটাস 'সিংগল' লেখে
যেসব মেয়েরা
আমি তাদের ঘেন্না করি
নিয়মমাফিক খাওয়া-চোদা-ডিস্ক-রেস্তোঁরায়
বিকল্প সঙ্গীর খোঁজে উৎকীর্ণ খরগোশের গ্রীবা
আত্মায় মিশে থাকা পয়মন্ত বেড়াল
আর কালশিটে আকাশ থেকে গলায় দড়ি
লটকে-পড়া চাঁদ
ওরা জ্যোৎস্নার দিকে আড়চোখে জিভ ভ্যাঙায়
ডাইনে-বাঁয়ে দোল খায় মায়াবী লাশ...
গড়ফা স্টেট ব্যাংক মোড় পেরোতেই শহিদবেদি
১৯৭১। ঘাতক পুলিশের হাতে খুন হয়েছিল
তিন যুবক
টেক-স্যাভি ছেলেমেয়েরা ক্রিসমাসের উচ্ছল
রাতে বেরিয়ে পড়েছে 'ডিজে-নাইট'
কভার করবে বলে
'শীতের সনেটগুচ্ছ' নেই। স্পর্ধা উধাও। একাকী
চিলেকোঠায় দুয়েকটা নির্বোধ আরেকবার
ছুঁতে চাইছে বন্দুক। তাদের কাটা আস্তিন
ভাসে হাওয়ায়!
২।
একলা মানুষ জলের কিনারে হাঁটে
মৃত জল শুধু কালপুরুষের ছায়া
হরতুকি বনে পাতা ঝরে যায় রোজ
তারা খসে পড়ে ব্যথাতুর ভোররাতে
কার যেন এসে দাঁড়াবার কথা ছিল
ত্রিফলার আলো মাথা হেঁট করে রাখে
গতজন্মের ঠিকানা বদলে গেছে
ভুল দরজায় কড়া-নেড়ে-যাওয়া লোক
বোঝেনি, কপাট খুলবে না কোনো দিন
জং-ধরা তালা, ভাঙা নেমপ্লেট আজও
অপরূপ এক পলাতক রূপকথা
এই পৃথিবীতে ফিরে আসবে না আর!
৩।
তোমার কবিতা পাঠ শুনিনি কখনও
আধঘন্টা দেরি করে ঢুকেছি সভায়
তোমার কথা-বলায় দিগন্তের তারা-খসা আলো
আমি সে আলোয় পুড়ে গেছি
কবে তুমি হাত ধরবে? অসুখের দিন
কবে তুমি মেলে দেবে ঠান্ডা জলপটি!
ঠিকানা আমার, মুছে গেছে :
আজ সেই ঘরহারা ক্লান্ত পথিকের দরবারে
তুমি এসো শান্ত ঝড়, লন্ডভন্ড করে দিয়ে যাও...
৪।
তোমার হৃদয় এক প্লাস্টিকের খোল
"মেড ইন চায়না" লেখা। ভিতরে সার্কিট
ভরা আছে!
এসেছে শীতকাল। ফাটা তোশকের নীচে
কুঁকড়ে শুয়ে আছে আত্মা...যে আমায়
কার্নিশের ধারে
ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দিতে চেয়েছিল,
সে কোথাও নেই, ছেঁড়া পতাকা দিগন্তে দোল খায়!
আমি অন্ধকারের সন্তান
আমরা নিঃস্বতার ছেলেমেয়ে...
৫।
ভেসে-যাওয়া মুখবন্দী বোতলে হাতচিঠি রাখা ছিল
যে-রংমশাল, তার আগুনের ফুলকি নিভে গেছে
মুহূর্ত, অপেক্ষা থেকে খসে-পড়া দুয়েকটা তারা
উল্কা হয়ে জ্বলে যায়। ঘটে-যাওয়া মুহূর্তের ভুল
আবার তারই কথা ছাইয়ের স্তূপের নীচ থেকে
তুলে আনতে চায়। ওই চুল-ত্বক, অপার্থিব হাসি
স্বপ্নে হাতড়াই। দম-আটকে মরে যাবার আগে
আমার শেষরাতের ঘুম ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়...
■ লেখক পরিচিতি
১।
স্টেডি বয়ফ্রেন্ড। তবু স্ট্যাটাস 'সিংগল' লেখে
যেসব মেয়েরা
আমি তাদের ঘেন্না করি
নিয়মমাফিক খাওয়া-চোদা-ডিস্ক-রেস্তোঁরায়
বিকল্প সঙ্গীর খোঁজে উৎকীর্ণ খরগোশের গ্রীবা
আত্মায় মিশে থাকা পয়মন্ত বেড়াল
আর কালশিটে আকাশ থেকে গলায় দড়ি
লটকে-পড়া চাঁদ
ওরা জ্যোৎস্নার দিকে আড়চোখে জিভ ভ্যাঙায়
ডাইনে-বাঁয়ে দোল খায় মায়াবী লাশ...
গড়ফা স্টেট ব্যাংক মোড় পেরোতেই শহিদবেদি
১৯৭১। ঘাতক পুলিশের হাতে খুন হয়েছিল
তিন যুবক
টেক-স্যাভি ছেলেমেয়েরা ক্রিসমাসের উচ্ছল
রাতে বেরিয়ে পড়েছে 'ডিজে-নাইট'
কভার করবে বলে
'শীতের সনেটগুচ্ছ' নেই। স্পর্ধা উধাও। একাকী
চিলেকোঠায় দুয়েকটা নির্বোধ আরেকবার
ছুঁতে চাইছে বন্দুক। তাদের কাটা আস্তিন
ভাসে হাওয়ায়!
২।
একলা মানুষ জলের কিনারে হাঁটে
মৃত জল শুধু কালপুরুষের ছায়া
হরতুকি বনে পাতা ঝরে যায় রোজ
তারা খসে পড়ে ব্যথাতুর ভোররাতে
কার যেন এসে দাঁড়াবার কথা ছিল
ত্রিফলার আলো মাথা হেঁট করে রাখে
গতজন্মের ঠিকানা বদলে গেছে
ভুল দরজায় কড়া-নেড়ে-যাওয়া লোক
বোঝেনি, কপাট খুলবে না কোনো দিন
জং-ধরা তালা, ভাঙা নেমপ্লেট আজও
অপরূপ এক পলাতক রূপকথা
এই পৃথিবীতে ফিরে আসবে না আর!
৩।
তোমার কবিতা পাঠ শুনিনি কখনও
আধঘন্টা দেরি করে ঢুকেছি সভায়
তোমার কথা-বলায় দিগন্তের তারা-খসা আলো
আমি সে আলোয় পুড়ে গেছি
কবে তুমি হাত ধরবে? অসুখের দিন
কবে তুমি মেলে দেবে ঠান্ডা জলপটি!
ঠিকানা আমার, মুছে গেছে :
আজ সেই ঘরহারা ক্লান্ত পথিকের দরবারে
তুমি এসো শান্ত ঝড়, লন্ডভন্ড করে দিয়ে যাও...
৪।
তোমার হৃদয় এক প্লাস্টিকের খোল
"মেড ইন চায়না" লেখা। ভিতরে সার্কিট
ভরা আছে!
এসেছে শীতকাল। ফাটা তোশকের নীচে
কুঁকড়ে শুয়ে আছে আত্মা...যে আমায়
কার্নিশের ধারে
ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দিতে চেয়েছিল,
সে কোথাও নেই, ছেঁড়া পতাকা দিগন্তে দোল খায়!
আমি অন্ধকারের সন্তান
আমরা নিঃস্বতার ছেলেমেয়ে...
৫।
ভেসে-যাওয়া মুখবন্দী বোতলে হাতচিঠি রাখা ছিল
যে-রংমশাল, তার আগুনের ফুলকি নিভে গেছে
মুহূর্ত, অপেক্ষা থেকে খসে-পড়া দুয়েকটা তারা
উল্কা হয়ে জ্বলে যায়। ঘটে-যাওয়া মুহূর্তের ভুল
আবার তারই কথা ছাইয়ের স্তূপের নীচ থেকে
তুলে আনতে চায়। ওই চুল-ত্বক, অপার্থিব হাসি
স্বপ্নে হাতড়াই। দম-আটকে মরে যাবার আগে
আমার শেষরাতের ঘুম ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়...
■ লেখক পরিচিতি
সুচিন্তিত মতামত দিন