মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

প্রগতিভবন

বাড়িটা আমারই, বেঢপ সাইজের
দেয়ালে ফাটল, পলেস্তেরা পড়েছে খসে
সময়প্রহারে ভিত নড়বড়ে
সংস্কারে সংস্কারে বহুদিন ...

কাঠামো ‌ভেঙ্গে ফেলা আজ সময়ের দাবি

অনিবার্য ভবিতব্য -
উঁকি মারছে রক্তাক্ত প্রান্তর
ধ্বংসের ভিতেই গড়ে ওঠে প্রগতিভবন।


বিচ্যূতি

বিচ্যূতি হঠাৎই ঘটে
সরলরৈখিক আলোও বেভুলো মনে মহাকাশে যায় বেঁকে
সৃষ্টির ফাঁকেই রয়ে গেছে অনিয়ম প্রপঞ্চ

পিচ্ছিল পথে হাঁটছে নরনারী
আচমকা ভ্রষ্টলগ্ন -
পান থেকে চুন খসে যায়


শ্রী শ্রী প্রজাপতয়ে নম

ভালোবাসায় ভিজে থাকতে চেয়েছিলাম
প্রলুব্ধ হই প্রজাপতি নিবন্ধনে -
হাতের বলয়ে এখন সে, ছুঁয়ে থাকি
ডানায় বর্ণিল আর দেখা মেলে না
সহসা প্রজাপতি বলে ওঠে, "হে পার্থ, যুদ্ধের রঙ সদাই ধূসর, জড়িয়ে পড়েছো তুমি‌ ... খরস্রোতে সাঁতার কেটে চলো ..."


মৃত্তিকা ঋণ 

মৃত্তিকার কাছে আমার যত ঋণ
শোধাতে কি পারি !
মনু নদী আজো তোলে ধ্বনি কুলুকুলু
তীরে পোঁতা নাড়ি জানে কাহন
মা ও মাটির মায়ায় ছড়িয়েছি শেকড়।

শ্মশানঘাটে পোড়ে মড়া, ছাই হয়ে উড়ে দেহ
জন্মস্মারক নাভি থেকে যায় তবু
মমতায় পলিমাটি তুলে নেয় কোলে।

দেনায় দেনায় বাড়ে শুধু দেনা
মৃত্তিকা, নিশ্চিত জানি আমি
সহসাই ফুরোবে এই দিন
মাটির পুতুল মাটিতে যায় মিশে
একদিন আমিও হয়ে যাব মৃত্তিকা
ফলাবো ফসল।

মৃত্তিকার কাছে মৃত্তিকা তবু ঋণী হয়ে থাকে।


মৃত্যু

আপেলটি বৃন্তচ্যূত হয়ে সহসা উর্ধমুখী গতি পেল
বিমূঢ় নিউটনচোখ চেয়ে চেয়ে দেখে
এমনটি তো হওয়ার কথা নয়-
সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স কোথা থেকে এলো!
ভাবতে ভাবতেই মর্গে রাখা খোলসে চোখ পড়ে
ভরহীন কোনকিছু কোথাও কি চলে যায়!


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.