ঈশ্বরযাত্রা
৬।।
তোমার অন্দরে যাবার এত আনন্দ!
সারাটা পথ অজস্র সলমাগাছ কবিতাপাঠ গানচুমকি
সবুজ নববর্ষে রঙিনদূর অজস্র শালিখ, গণবিবাহের রোদ পোহাচ্ছে
তাদের ডানামাঠ গানের সরগম, আলপথের বাহুতে সূর্যমন্ত্রবীজ
তোমার অন্দরে যাবার আনন্দ এমন মারকাটারি যে আমার মতো
একজন কবিতা-ছুতোর অবধি সারাতে শিখছে চাঁদের সাইকেল
৭।।
তুমি সেরা বসন্তনোলক
অপরাহ্ন পরা গোধূলি মসলিন, তারানগরের বাক্যাংশে একাই তুমুল নগরায়ন
তোমার কক্ষপথের অট্টালিকারা, নায়িকাদের কোমরের মতো মাপমতো উজ্জ্বল!
তুমিভক্ত এক খ্যাপা মৌমাছি আমি, মৌচাকের ছাদে বসে তোমার যতোমত রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছি
আর তুমি? একটু একটু মুচকি আমাকে আর হেসে গড়িয়ে তোমার কোমরের বাঁক মেলে দিচ্ছে ডালপালা ততোপথ
৮।।
চোখ আছে, দেখতে পাইনে তোমাকে। আছে ওষ্ঠ, চুম্বন পারিনে টের
অক্ষরপাঠ হয়নি, তাই তো তোমার বইবিপণীতে প্রবেশের নেই অধিকার
ভিক্ষাপাত্রে বসবাস কাঙালের। তা’বলে একবার আসবে না অলাতদুপুরে?
অমৃততরুমূল তুমি আত্মশিব। যতোই তছনছ হোক বৃষ্টিকমল
কথাকলির শেষপ্রান্তে আছে জানি একরাশ আদরচূর্ণ বরাভয়
৯।।
অনেক কথা জমে আছে আমাদের
তিনজনে দীনসংসারের ছেঁড়াফাটা বৈভব রেখেছি জমিয়ে দীর্ঘকাল। এক মাঘে যায় না শীত, তাই দু’দুখানা কাঁথাকাল
প্রার্থনা এইটুকু
অবেলায় সোয়েটারফুলের চাবি যেন খুঁজে পায় তরঙ্গজনের সেলাইকল
১০।।
অবাক কাণ্ড! দ্যাখা হল কিন্তু
কুসুম আসন জলের গেলাস
মেয়ের বাবা হাসিমুখে সাজিয়ে
আমি চোখ আমি শুধু বৃষ্টি, কথা
গ্রীষ্মশেষ বর্ষাঘোর কাটতে না
সেই থেকে দীনকুটিরে জাগ্রত