হেমন্ত পারাবার
কতযুগ ধরে কেন যে চেয়েছি
গাঢ বসন্ত কাল ,
খয়েরি পাতায় সুখেতে জড়ানো
প্রাচীন গাছের ডাল।
তৃষ্ণার চোখ চেটে চেটে খাবে
গোধূলির মেটে আলো,
নদীজল মাখে বিষাদের তাপ -
ভরা রাত্রির কালো।
চেয়েছি যখন শীতের দুপুর
ঘুঘু চরা বুনো ছায়ায়,
হাওয়ায় ওড়ানো শুকনো রোদের
কষ্ট মাখানো মায়ায়।
চুমুকে চুমুকে দুঃখের স্রোত
ওষ্ঠ করেছে পান
ভুলতে চেযেও কেন ভুলে গেছে
মধুমাস ভরা গান।
জীবনে এখন পঞ্চম ঋতু
প্রাচীন পাতারা ঝরে
ঘরে ফিরে গেছে জলপাখি দল
কোলাহল সারা করে।
ছাদের কিনারে অভিসার বেলা
থমকে গেছে সে কবে
গোধূলির আলো ক্ষীণ এক স্মৃতি
ফেলে গেছে কিছু তবে?
ষষ্ঠ ঋতুটি অধরাই থাকে
তারার আলোর বেশে
কে যেন আসবে বলে চলে গেছে
পাতা ঝরা কাল শেষে।
প্রতীক্ষা দিন গাঢ় থেকে গাঢ়
অপরাহ্ণের পারে-
অনন্ত -প্রেম , শুদ্ধ ভিখারি
হেমন্ত- পারাবারে।
■ পরিচিতি
সুচিন্তিত মতামত দিন