বর্ষাজন্ম
কথা চলে আসে বর্ষার ভাঁজ খোলে
আধেক রোদের হাতকাটা বিপদ
দেখেনি মানুষ
নিরন্তর আলোকে যে গাছ দেখেছে
হারানোর বিজ্ঞপ্তি
গত রাতে তার ছিল অনর্গল চিৎকার
ক্ষতের গভীর থেকে মেঘের ঘ্রাণ শহরের রাজপথ ছেড়ে-
একাগ্রচিত্তে মুক্তাগাছার দৃশ্যমান জানলায়
গম্ভীর হয় মেয়ের ভ্রু-পল্লব
ঘরের টানে সেবিকার এ্যপ্রোন
গালভরতি জল ঢেলে কয়েকটি দুঃসময় দূরে খুব দূরে
শেষরাতে বর্ষা দেখেছিল মস্করার একেকটি ক্ষুধাকাতর ভোরে
যেখানে ফুরিয়ে যাচ্ছে মাটির ঋণ ও
মেয়ের গলায় থাকা একেকটি বর্ষাজন্ম
অভিযোগ করতে করতে আজ রাতেই
হবে দিকচিহ্নহীন।
একলা সময়
যেদিন ছুটির দিন থাকবে অন্তরঙ্গ গলায়
যেদিন পাখি ডাকবে উড়ন ভোরবেলায়
তেমন দিনেই চলে যেও তুমি দূরে
দূরের বাড়ির দূরের হাওয়া ঘিরে
সেদিন বাঁচব আলোর দিকে হেসে
আলোর বুকে জলের দেয়াল ঘেঁষে
এমন করেই ভাবছে যারা ভাবুক
ভাবছি শুধু ভাবনারা সব থাকুক।
দূরের বাড়ির দূরের হাওয়া ঘিরে
সেদিন বাঁচব আলোর দিকে হেসে
আলোর বুকে জলের দেয়াল ঘেঁষে
এমন করেই ভাবছে যারা ভাবুক
ভাবছি শুধু ভাবনারা সব থাকুক।
খেয়ালি নাচন
অমোঘ শোকে শুকনো পাতা মনন ছাড়া
ঠোঁট ছোঁয়ালে ধানের বাড়ি সবুজ হারা
মেয়ে বেলার নরম মাঠে দুঃখ যতই
শীতপুকুরে গল্প খোলে আঙুল ওই।
বিরতিহীন রোদের খেলা জানলা দিয়ে
খেয়াল করে কে ভেসে যায় নতুন নিয়ে
বলতো তুই লাল সবুজে কোন মুহূর্ত?
কোন বিকেলে মাঠ জেনেছে বালির শর্ত?
জেগে উঠার আশার ছায়া কেউ দেখে না
ঢেকুর তোলা দিনের বেলা কেউ নড়ে না
এমনি করে সাঁঝের আগে মুখের ভাষা
নিঃস্ব হয়ে দেয় বাড়িয়ে ভয়ের পাশা।
জল নদীতে অসীম কালো বদলে গিয়ে
আবেগ ভরা সুখের কোলে চোখ জুড়িয়ে
গভীর ঋণে শান্তি প্রিয় দূর দেয়াল
ভালবাসায় আলোর পথে বাঁচে খেয়াল।
হাতছানিতে আসবে তুমি বুকের কাছে?
মনের যত গাঢ় আদর বাজুক ধাঁচে
এই শহরে কাগজ রেখে একটু লেখ
আসবে যারা সব হটিয়ে তাদের দেখ।
◆ লেখক পরিচিতি
সুচিন্তিত মতামত দিন