মিছিলের ৮৮ সংখ্যা, "ভালবাসার আষাঢ় শ্রাবণ"। ঝরার নিয়তি নিয়ে জড়ো হলো যেসমস্ত মেঘ তাদের তো আকাশ বলে ছিলো না কিছুই, কোনোদিন। আকাশ হচ্ছে সূর্যের, আকাশ হচ্ছে চন্দ্রের, আকাশ হচ্ছে ধুমকেতুর , আকাশ হচ্ছে রামধনুর, আকাশ হচ্ছে ধর্মের অথবা পুঁজিবাদের কিংবা ফ্যাসিজমের। বড়জোর ইম্পোর্টেড রাফায়েল কে বেশ খানিকটা নীলচে অংশে নেটিভ ইমোশনের ক্ষেতিবাড়ি করতে লিজ দেওয়া যায় আরকি।
আমরা কোন হরিদাস পাল হে! যে আঙুল চোষা ছেড়ে এক আকাশে এক মাটিতে বাসা বাঁধার আশা ফোটাবো! পেটেন্ট থাকতে হয় পেটেন্ট, বুঝলেন ভায়া... এইসময়ে দাঁড়িয়ে শুয়ে বসে খেয়ে ঘুমিয়ে ঘোড়ায় চেপে বা ঘোড়া চালিয়ে টগবগ টগবগ ফুটতে ফুটতে সর্বোপরি পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে পালিয়ে যারা বিক্রি হয়ে যাওয়া আকাশ নিয়ে আকাশকুসুম লিখে চলেছেন তারা কেবল একাই নন, ভীষণ বোকা, ততোধিক ন্যাকাও। মিছিলের তরফ থেকে তাদের শব-চেতনায় রজনীগন্ধা, চন্দন ফোঁটা এবং তুলসীপাতা রেখে বরং কতিপয় পদাতিকদের সামনে আনা হলো যারা বর্ষা এবং প্রিয়জনের নাভিকমলে চুমু রাখার পাশাপাশি ঠোঁট নাড়াচ্ছেন সময়ে, অসময়ে এবং দুঃসময়েও ... হাত রাখছেন পৃথিবীটার রক্তাক্ত পিঠে... মলম জানা না থাক অন্তত কলম বুলিয়েই মানুষকে জিজ্ঞেস করছেন, "সামান্যও কি উপশম হলো? পায়ের তলায় মাটি টা কি অনুভূত হচ্ছে? আত্মায় জোর পাচ্ছ উঠে দাঁড়াবার? "
পড়তে পড়তে বিরক্তি লাগছে নিশ্চিত। সত্যিই তো এ কেমন অতিথি সম্পাদক! সহবত নেই, আতিথেয়তা জানে না, দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে এসে করজোড়ে বলতেও পারলো না " ভুল ত্রুটি হলে নিজগুণে মার্জনা করে দেবেন। আবার আসবেন, কেমন !"
জ্ঞাতার্থে এটুকুই শুধু বলবার, মিছিলে হাঁটতে গেলে আমন্ত্রণ বা আপ্যায়নের প্রত্যাশা রাখাটাই অমূলক। এই সাড়ে তিন হাত ভূমিতে আমরা প্রত্যেকেই সহযোদ্ধা। কুচকাওয়াজ হয়ে গেছে... এবার "আমি" কে খর্ব করে "আমাদের" হয়ে কিছু অন্তত লেখা!
জোর নেই, সাধ্যমতো, যেটুকু যা পারি, যেটুকু যা পারেন। চলুন না, একবার সবাই মিলে বলি... আমরা মীরজাফরকেও গোলাপ দিতে চাই!
চাই অন্ন বস্ত্র বাসস্থান, চাই শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান।চাই শান্তি। চাই স্বাধীনতার স্বাদ।