সকালের স্নিগ্ধ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে সুমার বড় ভাল লাগে। ব্রাশ করতে করতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল সে।
"ও দিদিভাই.."- হঠাৎ ডাকটা শুনে হকচকিয়ে পেছন ফিরে তাকাল সুমা । না কোনও ভুল তো নয় ! স্পষ্ট শুনেছে। ঠাম্মার ই কন্ঠস্বর .. নিজের অজান্তেই যেন গলা দিয়ে আওয়াজ টা বেরিয়ে এলো- "ঠাম্মা...." । না... কেউ কোথাও নেই । মনের ভুল ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। মায়ের ও এই একই ভুল হয় । বুঝতে পারলো সে।
আসলে ব্যাপার টা খুবই স্বাভাবিক। একমাস হল চলে গেছে ঠাম্মা।মানুষটার ‘না-থাকা’ ব্যাপারটাতে এখনও সবাই অভ্যস্ত হতে পারছে না। জানা ছিল সবাইকার - যে বার্ধক্যের ভারে,রোগশয্যায় জর্জরিত কনকদেবীর আর বেশিদিন লড়বার ক্ষমতা নেই .... মন তৈরিও করে নিয়েছিল বাড়ির সবাই। কিন্তু সব জেনেও, সুমার চোখ এখনও ভিজে যায় ঠাম্মার কথা ভাবলে। জীবনের সবচাইতে কাছের আর প্রিয় মানুষটার চলে যাওয়া যে কখনই সুখকর হয়না!!
মা কে একবার ফোন করার চেষ্টা করলো, কিন্তু কল যাচ্ছেনা মায়ের ফোনে। ট্রেনের মধ্যে সিগনাল নেই মনে হয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মা বাবার পৌঁছে যাবার কথা। সুমা চেয়েছিল বাবা মা কে দার্জিলিং পাঠাতে। কিন্তু মঞ্জুদেবী, মানে সুমার মা যেতে চাইলেন পুরীতে। অনেকদিন বাদে জগন্নাথ দর্শন করতে চান তিনি। অতএব, মায়ের ইচ্ছা অনুসারে পুরীতেই হোটেল বুক করে ট্রেনের টিকিট কেটে দিয়েছে সুমা। যেখানেই যাক, বাবা-মায়ের একটা চেঞ্জ খুব দরকার... বিশেষ করে মায়ের তো বটেই। ঠাম্মা চলে যাওয়ার পর থেকে অনেক সমস্যায় ভুগে চলেছে মা... একটু কোথাও ঘুরে আসাটা খুব দরকার।
শাশুড়ি কনকদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনাগুলো ঘটতে শুরু করে। বাড়ির আনাচে কানাচে কনকদেবীকে দেখতে পান মঞ্জু।প্রথম প্রথম তবু অনেক আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনায় জমজমাট হয়েছিলো বাড়িটা। কিন্তু শ্রাদ্ধের কাজকর্ম মিটে যাবার পরে আরও বেশি ভয় পেতে শুরু করেন তিনি। কনকদেবী নাকি রোজ কোনও না কোনওভাবে দেখা দেন তাঁকে।
সুমাকে একদিন সকালে ফোন করে বললেন মঞ্জুদেবী.... - জানিস মামনি, ভজু-পুরোহিতের সঙ্গে কথা হলো কাল। ও পাঁজি দেখেছে। মায়ের মৃত্যুর সময়টা ভালো ছিলোনা। তোর ঠাম্মার আত্মা দোষ পেয়েছে রে।
- তাই? তা কি করণীয় সে ব্যাপারে?
- যজ্ঞ করতে হবে রে মামনি...
- হুম.... তা তো করতে হবেই। ঐ ভজুর পকেট বেশ ভালোমতই ভরবে তাতে....
- এমন করিস না মামনি... এসব একটু- আধটু মানতে হয়।
সুমা কোনওদিনই কোনওরকম কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয়। মায়ের কথা শুনে একটুও বিচলিত হয়নি সে। ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করেছে মা কে....
- শোনও মা, তোমার মন এখন দুর্বল আছে। শেষ কটাদিন নিজে হাতে ঠাম্মার সেবা করেছ। আমি তো জানি.... বেশ অনেকদিন রাতে ভালো করে ঘুম হয়নি তোমার। যার ফলে শরীরও ঠিক নেই। তারপরে ঠাম্মার চলে যাওয়াতে মনের ভেতর গভীর কষ্টও আছে। সবকিছু মিলিয়ে মিশিয়ে এরকম একটা হ্যালুসিনেশন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। তোমার এখন একটা চেঞ্জ খুব দরকার।
মেয়ের কথামতো বেড়াতে যেতে রাজি হলেও, ঐ ঘটনাগুলো মনের ভুল বলে মানতে একেবারেই নারাজ মঞ্জুদেবী। তবে সুমার দৃঢ় বিশ্বাস, ঘুরে আসার পরে মা আসতে আসতে ঠিক স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাবা-মা না থাকলেও, এখন কটাদিন এই বাড়িতেই থাকবে ঠিক করেছে সুমা। উজ্জ্বল দিন সাতেকের ট্যুরে মুম্বাই গেছে। মাঝেমধ্যেই এখানে-ওখানে যেতে হয় ওকে। আর উজ্জ্বল না থাকলে সুমা রিকিকে নিয়ে এবাড়িতে চলে আসে বরাবর। এখান থেকে অফিস করে। সঙ্গে থাকে বিশ্বস্ত পরিচারিকা ঊর্মি।
শ্বশুড় শাশুড়ি শিলিগুড়িতে থাকেন। একা একা থাকতে কোনওদিনই অভ্যস্ত নয় সুমা। উজ্জ্বল না থাকলে ঐ ফাঁকা ফ্ল্যাটটা যেন গিলতে আসে সুমাকে। এখন যদিও এখানে মা-বাবা নেই, কিন্তু তাও- এখানকার প্রতিবেশীরা খুব ভালো। আশেপাশের বাড়ি থেকে চেনা মানুষদের কন্ঠস্বর ভেসে আসে। নিজেদের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে একে অপরের খোঁজ নেওয়া, নিয়মিত বাক্য বিনিময়- এসবের রেওয়াজ এপাড়ায় ভালোই আছে। আর এই ব্যাপারটাই প্রশান্তি দেয় সুমাকে।
ব্ল্যাক কফি বানানোর জন্যে রান্না ঘরে গেল সুমা। জল ফোটাতে বসানোর সময়ে আবার টের পেল, রান্নাঘরের দরজার ঠিক পাশ দিয়েই কেউ একটা বারান্দার দিকে চলে গেল যেন! ধবধবে সাদা শাড়িটাও যেন স্পষ্ট দেখতে পেল সে। কি হচ্ছে টা কি এসব? মায়ের মত শেষমেশ সে নিজেও যে ওরকম ইলিউশানের শিকার হচ্ছে এখন!
রিকি একটা প্রি-স্কুলে পড়ে। এই বাড়ি থেকে আধা ঘন্টার দূরত্ব। পাড়ার এক টোটো- চালক কে ঠিক করেছে সুমা স্কুলে যাতায়াতের জন্যে। যখনই তারা এখানে আসে- ঐ টোটো তেই স্কুলে নিয়ে যায় ঊর্মি রিকি কে। ওর স্কুলের টিফিন আর বইপত্র গুছিয়ে, ঊর্মিকে সব বুঝিয়ে দিয়ে অফিসের জন্যে রওনা দিলো সুমা।
অফিসে ঠিক পৌঁছানোর পরেই ঊর্মির ফোন। ফোনটা রিসিভ করে ওপ্রান্ত থেকে ঊর্মির উদ্বিগ্ন কন্ঠস্বর শুনে চমকে উঠলো সুমা।
- আরে এত হাঁফাচ্ছ কেন? হয়েছে টা কি বলবে তো! রিকি ঠিক আছে তো? স্কুলে নিয়ে গেছ?
- না গো দিদি... আজ নিয়ে যেতে পারিনি। বাবুকে স্কুলের জন্যে তৈরি করে বাইরের ঘরে গিয়ে ওর জুতো পালিশ করছিলাম, হঠাৎ শুনি- ঘরের মধ্যে বাবু কার সাথে যেন কথা বলছে!!... অমনি দৌড়ে গিয়ে দেখি- দিদার ঘরের আলনা থেকে একটা সাদা কাপড় কিভাবে যেন বাবুর ঐ ছাই রঙের ভাল্লুকটার গায়ে জড়িয়ে গেছে। আর বাবু ঐ ভাল্লুকটার সাথে কথা বলে চলেছে।
- সাদা কাপড় মানে... ঠাম্মার শাড়ি? সেগুলো তো সব মা যত্ন করে পুরনো আলমারিতে ..........
- হ্যাঁ গো দিদি। কাল রাতেই তোমাদের ঐ আলনা আমি গুছিয়েছি নিজে হাতে। কই? কোনও সাদা শাড়ি তো ছিলো না?
ঊর্মির ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সে নিজেও কম অবাক হয়নি এটা শুনে... এটা কি করে সম্ভব? আলমারির বাইরে এখন ঠাম্মার কোনও শাড়ি নেই। তালাবন্ধ আলমারি থেকে শাড়ি কে বের করলো? আর সেটা আবার রিকির টেডি বিয়ার টার গায়ে জড়ালোই বা কে?
ঊর্মি এবার প্রায় কেঁদেই ফেললো......
- তুমি এখনই বাড়ি এসো দিদি!! আমার বড্ড ভয় করছে একা বাবুকে নিয়ে থাকতে।
অগত্যা আর উপায় না দেখে ছুটি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে এলো সুমা। ঠাম্মার ঘরে গিয়ে ঐ সাদা থান টা দেখে তার নিজেরও গা ছমছম করতে শুরু করলো। সত্যিই তো! এই বাড়িতে এলে এঘরেই সে বেশি থাকে.... এমনকি আজ সকালেই অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছে এখানে। শাড়িটা তো এর আগে তারও চোখে পড়েনি!
দেওয়ালে টাঙানো কনকদেবীর ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো সুমা। হাসিমাখা শান্ত, স্নিগ্ধ মুখটা যেন অনেককিছু বলতে চায়। বলার তো আগেও কত কথা ছিল, মানুষটার জীবদ্দশায়! কিন্তু শোনবার জন্য কেউ ছিলো কি? সেই পঁচিশ বছর বয়সে স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিন সন্তান কে বুকে করে আগলে মানুষ করেছেন তিনি। কত ঝড়-ঝাপটা, তিরষ্কার, প্রলোভন- সবকিছু উপেক্ষা করে লড়াই করে গেছেন বছরের পর বছর। সন্তানদের সমস্ত অভাব অভিযোগ সামলাতে সামলাতেই জীবনের বেশীরভাগ সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। মানুষটার নিজেরও যে কিছু চাওয়ার থাকতে পারে- সেকথা আর ভেবে দেখা প্রয়োজন মনে করেনি কেউ।
শেষের দিকে কনক দেবীর স্মৃতিবিলোপ ঘটেছিলো। অনেকসময়ই ছেলে, মেয়ে বা বৌমাদের চিনতে পারতেন না তিনি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই- যে সুমাকে কোনওদিন চিনতে ভুল করেননি তার ঠাম্মা। একদিন অস্ফুটে এক আব্দার করে ফেলেছিলেন সুমার কাছে....
"আমাকে ইলিশ মাছ খাওয়াবি দিদিভাই? বড্ড খেতে ইচ্ছে করছে.."
সুমা তাঁর হাতে হাত রেখে আশ্বাস দিলেও- ঠাম্মার সেই ছোট্ট সাধটি পূরণ করতে পারেনি সে। তার বাবা মাকে বলামাত্রই তাঁরা প্রতিবাদ করে উঠেছিলেন... গোঁড়া ব্রাহ্মণ বাড়ির বিধবা মানুষ... এতগুলো বছর ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে এসেছেন। এখন জীবনের অন্তিম অধ্যায়ে অচেতন অবস্থায় তাঁর নিয়মভঙ্গ করিয়ে পাপের ভাগীদার হতে চান না তাঁরা। অনেক অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলো সুমা- যে মানু্ষটা চলেই যাবে কিছুদিন পরে... এসব ফালতু ভিত্তিহীন নিয়মরক্ষা করার জন্যে তার ছোট্ট সাধটুকু পূর্ণ হবেনা?
কিন্তু সুমার সব যুক্তি ঐসব ঠুনকো গোঁড়ামির কাছে হার মেনেছে। এমনকি সুমার কাকা, কাকিমা, পিসি- সবাইমিলে একত্র হয়ে তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলো তখন।
অবশেষে সুমা ঠিকই করে ফেলেছিলো... সবাইকার অলক্ষ্যে চুপিচুপি একদিন বাড়ি থেকে রেঁধে এনে ঠাম্মাকে ইলিশ খাওয়াবেই সে। কিন্তু সে সুযোগ আর পায়নি সুমা। তার আগেই হঠাৎ করে পরলোকে পারি দিলেন বৃদ্ধা।
- দিদি, তুমি কি বাইরে যাচ্ছ?
- আবার সেই উদ্বিগ্ন কন্ঠে প্রশ্ন করলো ঊর্মি।
- কোনও ভয় নেই। আমি একটু স্টেশনের কাছে মাছের বাজারে যাচ্ছি। এক্ষুণি চলে আসবো ।
- কিন্তু দিদি! .....
- ঠিক আছে। রিকিকে রেডি করে নাও.. তোমরাও চলো আমার সাথে।
রাস্তায় যেতে যেতে একটু ইতস্তত করে ঊর্মি বললো....
- তোমায় একটা কথা বলবো দিদি?
- বলো...
- বলি কি! মাসীমা কিন্তু খুব ভুল কিছু বলেন নি। তোমাদের বাড়িতে দোষ কাটানোর পুজোটা করিয়ে নেওয়াই ভালো।
- চুপ করো....
- আমি ভুল কি বললাম দিদি? দিদার আত্মা শান্তি পাক- তুমি কি চাও না?
সুমা কোনও উত্তর দিলো না। শান্তি ঠিক কে বা কারা পাবে? ঠাম্মার আত্মা? নাকি বাড়ির লোক? ঠাম্মা যদি এরকম অশরীরী রূপেই থাকতে চায় তাদের কাছে.... খুব কি অসুবিধা হয়ে যাবে সবাইকার? ভাবতে ভাবতে মন টা আরও বিষণ্ণ হয়ে গেল সুমার।
বাজার ঘুরে এক বিক্রেতার কাছে ইলিশের সন্ধান পাওয়া গেল অবশেষে। বাড়িতে এসে চটপট দুপিস মাছ ভেজে নিয়ে, প্লেটে সাজিয়ে ঠাম্মার ছবির সামনে রেখে এলো সুমা।
রবিবার সকাল। আজ আর অত তাড়াতাড়ি উঠতে ইচ্ছে করছেনা। জানালা দিয়ে বিরক্তিকর আলো এসে চোখে পড়ছে। হঠাৎ সস্নেহে কেউ যেন জানালার পর্দাটা টান টান করে আলোটা ঢেকে দিয়ে আরামের আবেশে ভরিয়ে দিলো সুমাকে। সেই স্নেহমাখা চেনা গন্ধটা ঘুমের ঘোরে টের পেলো সে। সেই চেনা ভালোবাসা জড়ানো হাতটা তার কপালে এসে স্পর্শ করলো যেন! আরও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেলো সুমা।
- দিদি, ও দিদি.... অনেক বেলা হলো যে! শরীর খারাপ নাকি গো?
ঊর্মির ডাকে ধরফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লো সুমা। ঠাম্মার ঘ্রাণ টা এখনও টের পাচ্ছে সে।
- মাসীমা অনেকক্ষণ ধরে ফোন করছেন তোমাকে। তোমাকে না পেয়ে আমার ফোনে করেছিলো। বললাম তুমি ঘুমাচ্ছ....
ফোনে মায়ের চারটে মিস্ড কল দেখে কল ব্যাক করলো সুমা।
- কি রে? তোকে কতক্ষণ ধরে ফোন করার চেষ্টা করছি... তুই নাকি ঘুমোচ্ছিলি এতক্ষণ? শরীর ঠিক আছে তো?
- হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে। কালকে ব্যাক করছো তো! গজা কিনেছ বেশি করে?
- ফালতু কথা ছাড়... ঊর্মি সব বলেছে আমাকে।
- কি ব্যাপারে?
- কি আবার? আমার মতই ভয় পাচ্ছে ও.... আমার কথা তো বিশ্বাস হচ্ছিলো না তোদের!!
- আমি কি সেটা বলেছি নাকি?
- আর কারোর কোনও কথা মানছিনা আমি। বাড়ি গিয়েই আগে পুরোহিতকে খবর দেব আমি। দোষ কাটানোটা আগে দরকার। যজ্ঞ করাতেই হবে বাড়িতে।
- করাও যা খুশি... তোমাদের বাড়ি, তোমাদের ডিসিশান...বলেই ফোনটা কেটে দিলো সুমা।
ঠাম্মা হয়তো এখনও তাদেরকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়। বুঝতে পারছে সুমা। কিন্তু এবাড়ির লোকজন আর ঐ পরলোকগত আত্মাকে চায়না। কনকদেবীকে তাড়ানোর যজ্ঞে কিছুতেই সবাইকার সাথে সামিল হতে পারবেনা সুমা। থাকবেইনা সেদিন সে ঐ বাড়িতে। তবে হ্যাঁ.. ঠাম্মার সেই শেষ ইচ্ছেটা সুমা পূর্ণ করতে পেরেছে।
সেদিন ঠাম্মার ছবির সামনে প্লেটটা রেখে আসার কিছু সময় পরে আবার সেই ঘরে গেছিলো সে। তখন আর মাছের পিসগুলো প্লেটের মধ্যে ছিলো না।