◆ সায়ন্ন্যা দাশদত্ত / চিঠি দিও,​ ইচ্ছে হলে

সায়ন্ন্যা দাশদত্ত / চিঠি দিও,​ ইচ্ছে হলে
ভালোবাসা একসময় ছিল। আজ নাই। সে তেমন বড় কথা নয়। কোলাহলমুখর দিনগুলি ফেলে আসতে হয়। গোছগাছের সময় মেলেনা। সদ্য নেওয়া লেমোনেডের ফেনা বলে দিচ্ছে... আমার একটি প্রেমিকপ্রবর আছে। তাকে আমি ভালোবাসি। ইচ্ছে হলে চিঠি লিখি। ইচ্ছে হলে ছিঁড়ে ফেলে দিই। ইচ্ছে না হলে শতজন্মেও মুখ দেখিনা তার।​

সেও দেখেনা।​

​সেও সুদিব্য নিজের কাজে থাকে। রোজগার করে। সিনেমা করে। পরনারীতে আসক্ত হয়। কাব্য করে। রেজালা বানায়। গল্প বানায়। ঘর বানায়। বৌ পোষে। বেড়াল পোষে। গাছ লাগায়। ঘুম লাগায়। আসমানি বেডরুম আর দোলনার পাশে ইচ্ছেখুশি জানলাটানলা লাগিয়ে ফেলে মাঝে।​

​একাকিত্বে ঘুম না এলে পরে সংসার খুলে মন লাগায় দূরে। ফোন করে। নম্বর লাগায়। একেকবার একেক নম্বর।​

​​শূন্য তিন শূন্য তিন নয়.... যিনি থাকেন, জ্ঞান বলতে নেই। হালকা পাগল। চুটকি একটা মেয়ে। ফ্রক পরে। অঙ্ক শিখতে আসে। তিনটে কুড়ি।​ ঘোষ স্যারের ঘর।​

​এক দুই পাঁচ তিনটে চারটে নয়। এখানে থাকেন সুশীলা গৃহবধূ। শঙ্খ বাজান। সন্ধ্যেবাতি দেন। রান্না করেন। ধোপার সাথে তর্ক করেন রোজ। এদুনিয়ায় সংসারটুকুই সৎ। মানুষটানুষ মিথ্যে গল্পকথা।​

​একে শূন্য দুয়ে পক্ষ তিন। মধ্যবয়সী। চশমা পরেন চোখে। হাসতে কষ্ট হয়। সন্ধ্যে নামলে হাঁটতে বেরোন একা। কাঁচাপাকা চুল। ডান হাঁটুতে ব্যথা। ডাক্তারবাবু ঘুমের বড়ি দেন। ভালোই থাকেন মনে না পড়লে সব।​

এনাদের নিয়ে এই এক হয়েছে মুশকিল। ল্যাচ ঘোরাও। ক্যালেন্ডারে ষোলো। আষাঢ়স্য প্রথম দিবস এলো। চিঠিপত্রের যুগ নেই তো আর। ছবি তোলো। ছবির নিচে আষাঢ়। ছবির ভেতর মস্ত একলা ছাতা। ভিজতে ভিজতে চলে যাচ্ছে নারী। আষাঢ় এবং শ্রাবণে ভরা দিন। একলা কাটছে। একলা বাড়ছে ঋণ।

©সায়ন্ন্যা দাশদত্ত


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.