বৃষ্টির প্রতি একটা পরোক্ষ সমর্থন আমার সবসময়ই রয়েছে। বৃষ্টির আগের মেঘলা আকাশ যেন তার স্বভাবজাত গাম্ভীর্য ভেঙে হঠাৎ উচ্ছলতায় বৃষ্টিতে ঝরে পড়তে দেয়। আমি বৃৃষ্টির উচ্ছলতা খুুঁজি। সদাস্থির গাছগুলির উঁচু মাথার নড়াচড়ায় প্রাণের আভাস পাই আমি। ঝড় অথবা বৃষ্টির সময় কোন বন্ধ ঘরে আটকে থাকা আমার কাছে শাস্তির মতো।
কিন্তু বৃষ্টি মানে আশ্রয়েরও অভাব। আমাদের চারপাশ আমাদের দায়িত্ব যেন মুহূর্তে অস্বীকার করে। গতকাল এই বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতেই হয়তো একটা ফড়িং ঘরে উড়ে এসেছিল। প্রথম তার দিকে চোখ পড়ে তার ডানার শব্দে। তার গায়ের হলুদ কালো রং আর চারটি ডানা যেন এক অদ্ভুত দৃঢ়তা প্রকাশ করে। পতঙ্গের প্রতি এক স্বভাবজাত ভয় থেকে এই উপস্থিতি আমায় অস্বস্তিতে ফেলে। ঘরের আলোই তার নির্বাচিত স্থান বুঝতে পেরে বাকি সময়টা যতটা পেরেছি নিজেকে সরিয়ে সরিয়ে রেখেছি। আজ সকালে তার কথা আর আমার মনে ছিল না। তার দেখা হয়নি তার দৃঢ়তা তার সঙ্গেই ছিল কি না।
আজ আরেকটা মেঘলা দিন। আবারও আকাশের মুখে না হাসির ইঙ্গিত না উচ্ছলতার। কয়েক মুহূর্ত জানলার সামনে দাঁড়াতেই আরেকবার ডানার আওয়াজ পেলাম। আমার সেই গতরাতের ফড়িং বেরিয়ে গেল। অনেকটা দুুু্র্বল। বাইরের আলোয় সে যেন মুক্তি পেল। আজকের সকালটার মতো সেও আমার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করেনি। হয়তো আমার ঘরের আলো-অন্ধকার ওর মনের জোর অনেকটা ভেঙে দিয়েছিল।
সুচিন্তিত মতামত দিন