ওড টু দ্যাট ম্যান ...
(১)
আমাদের সমুদ্র দেখাতে পারেনি লোকটা।
সেভিংস ভেঙে উঠোনে বসালো লোহার একখানা টিউবওয়েল।
খুব করে চুরমার করলাম গত শতাব্দীর আর্সেনিক দূষণ, জলকষ্টের দিন।
ঘটাংঘট ঘটাংঘট...
উঠোনের পেটে জল আর জলের পিঠে হাতলের মায়া লেগে গেলো....
ভালবাসা নয়।
ভালবাসলে তো লোকে কতকিছু করে!
ঢালাই ছাদ...
ফিক্সড ডিপোজিট...
ইনসিওরেন্স...
আমাদের সমুদ্রও দেখাতে পারলো না লোকটা!
রাগ করে তাকে নদীতে রেখে আসলাম...
ঘরে ফিরে দেখি উঠোনটা সমুদ্র হয়ে গেছে,
একে একে ডুবে যাচ্ছে নিমপাতা, আগুন, লোহা...
আর টিউবওয়েল ধরে ধরে ভেসে উঠছে ভাই...
সেদিনও বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করে নি মা,
এগিয়ে দিয়েছে প্ল্যাকার্ড...
"সব বেকারের চাকরি চাই"।
(২)
আমি প্রথম পুরুষে লিখতে পারিনা।
কারণ একটাই,
উত্তম কিংবা মধ্যম পুরুষ চোখে দেখিনি।
যাদের দেখেছি, প্রত্যেকেই পুরুষ সিংহ।
অপত্যের মাংস ছিঁড়ে খায়...
যারা বুক দেখেই বুঝে যায় আমি সোমত্থ কি-না
এবং নিদান লেখে,
"অনূঢ়া কন্যা বিধবার দায়"।
(৩)
পায়েস পুড়িয়ে ফেলেছি পয়মন্ত দিনে।
কোনো মৃত্যুসংবাদে বিচলিত হই না এখন।
পাতায় পাতায় হবিষ্যি বেড়ে দেয় মা...
দিব্যি খাই, মালসা ভাঙি,
আর কবিতা লিখে লিখে প্রমাণ দিই যে
রাষ্ট্রীয় শোকের চেয়েও ভারী হয় ব্যক্তিগত জুন...
দু'মিনিট নীরবতা হোক আমার নামে...
পারলে,
আমাকে আমার থেকে মুক্ত করুন।
সৌমিতা চট্টরাজ
সুচিন্তিত মতামত দিন