আসছে পূজা মৈত্রর নতুন উপন্যাস

রোমন্থন (উত্তরপুরু)
কাহিনীর শুরু হয়েছিল ক্রিকেটের এক বিস্ময়কর বালক-প্রতিভাকে ঘিরে । নামী স্কুলের ক্রিকেট দলের নবনিযুক্ত কোচ তার দক্ষতা ও প্রতিভা লক্ষ করে তাকে বিশেষ যত্ন ও নজরে রেখে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় । একে ঘিরে স্বপ্ন দেখে নিজের বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার ইচ্ছা জেগে ওঠে তার। সে নিজেও ছিল একই রকম দক্ষ ব্যাটসম্যান ও বাংলার রাজ্যদলের নামকরা প্রাক্তন খেলোয়াড়, কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মুখেই বেটিং চক্রের মিথ্যা প্রচারের ফাঁদে পড়ে কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে সরে যেতে হয়েছিল । এদিকে খুব তাড়াতাড়িই আরও মধুর চমকের সঙ্গে সে আবিষ্কার করে যে এই ছেলেটির মা তারই কলেজ জীবনের প্রিয় বান্ধবী এবং একমুখী ভালবাসার পাত্রী । তারপর আরও জানা যায়, তাদেরই অন্য এক সহপাঠী, যে নিজেও এই মেয়েটির মতই লেখালেখির চর্চা করত, আর যাকে ভালবেসে এই কোচকে বন্ধুর বেশী আর কোনও মর্যাদা দিতে মেয়েটি রাজী হয়নি, তাকেই এই মেয়েটি বিয়ে করেছিল এবং এই বিস্ময়-বালক তাদেরই সন্তান। তবে পরে সেই ভদ্রলোক বলিউডের স্ক্রিপ্ট-রাইটার হিসেবে সুযোগ পায়, ক্রমশঃ নাম করে এবং বলিউডের নামকরা এক অভিনেত্রীর মোহে পড়ে ও ফলস্বরূপ প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ঐ অভিনেত্রীকেই বিয়ে করে । কোচ ছেলেটিকে সন্তানস্নেহে সবরকম যত্নে গড়ে তুলতে থাকে। এরপর গল্পের অনেকখানি ক্রিকেটের ও ক্রিকেট কোচিংয়ের ব্যাকরণ, খেলার মাঠের উত্তেজক পরিস্থিতি, ক্রিকেট রাজনীতি ও চক্রান্তকে ঘিরে আবর্তিত হয় । তার পাশাপাশি স্নেহ, প্রেম, অভিমান ও অনেক সূক্ষ্ম মানবিক অনুভবের ছোঁয়ার নিপুণ মোচড়ে অনেক আকর্ষক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি পেরিয়ে গল্প এগিয়ে চলে সর্বাঙ্গসুন্দর নিটোল রূপকথার মত এক সুখপ্রদ সমাপ্তির পথে।

তারপর....

কাহিনী থামে না। শুরু হয় নতুনভাবে নতুন পর্ব । প্রতিষ্ঠা ও স্বীকৃতির পাশাপাশি এগোতে থাকে ঈর্ষা ও চক্রান্ত, অবচ্ছিন্ন সম্পর্কে লাগে ফিরে দেখার রং, প্রতিভার বিকাশের পাশাপাশি জীবনের নিয়মেই ঘটে ব্যক্তিত্ব ও নিজস্বতার স্ফুরণ । আর অনিবার্যভাবে সব মেঘ সরে গিয়ে সূর্য ওঠে বারবার । 

সবশেষে মনে হয়, জীবন মানে ক্রিকেট, ক্রিকেট মানে জীবন: অনিশ্চয়তা আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একটানা লড়াই চালিয়ে এগিয়ে যেতে পারলেই পাওয়া যাবে জয়ের রাস্তা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.