► মনোনীতা চক্রবর্তী / 'পিয়া তো সে নয়না লাগে রে..'

মনোনীতা চক্রবর্তী / 'পিয়া তো সে নয়না লাগে রে..'
তুমি এলে। আবার ফিরে গেলে। আবার এলে। আমি ফিরিয়ে দিলাম এবার। আমি একছুটে জরিপ করলাম নিজেকে। আয়না খুব সুন্দর। আয়নারা উলটো করে বুঝিয়ে দেয় সোজা যত সত্যি। আকাশে মেঘ। কেউ বলছে আমি কী কষ্ট করে 'শান্তি' এঁকেছিলাম আর ও কিনা তাতে আগুন ধরিয়ে দিল। 

কেউ মায়ের ছবি-স্মৃতি নিয়ে গ্লিসারিন ছাড়াই আবেগ ছড়াচ্ছেন। কেউ আবার কাস্তে নিয়ে ধান কাটার ছবি তুলতে ব্যস্ত।আবার কেউ টোটো চালিয়ে কী যে মাথামুণ্ডু বোঝাতে চাইছেন,তিনিই জানেন। আসলে, এত-এত ছাতা দিলেন মহারাজ, খানিক গর্জন,খানিক ঝমঝম না-হলে হয়! আগুন জ্বালালে নেভানোর কৌশল মুঠোয় রাখাটাও আর্ট বাবুয়া ! ক'জন পারে! আসলে, গর্জন বা ডাক যাই-ই বলি না , আসলে ক'জনই-বা পারে মেঘলাদিনের গান লিখতে! না, রামদাসি মলহার বা মিঞা কি-ও নয়। মেঘলাদিন মানেই বিছানার নোনতা গল্প নয়, কষে-কষাতে জমিয়ে খানাপিনা নয়। কবির শব্দের কনিষ্ক হওয়ার ইতিহাস অথবা রুপকথাও থাকে বই-কি। শব্দের দু'গালে এখন মেলানিনের বাড়বাড়ন্ত নেই। আন্ডার-আই-এ অহেতুক কনসিলার লাগানোর ঝামেলা নেই। স্টেপ,লেয়ার এসবের বালাই নেই। শব্দেরা এখন 'কনিষ্ক'। আয়নাটাও বেজায় বায়না ধরেছে যে এখন থেকে ও দেখবে, কিন্তু দেখাবে না আর কিছুই। 

এদিকে আমার উড়ান আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। আয়নার সামনে যেতেই দেখি কবি আয়নার দিকে তাকিয়ে হো হো-হাহা-হিহি করে হাসছেন, ঘর জুড়ে একটা যৌথ-ঘ্রাণ উড়ছে... দস্যি চাদরে রুপকথা আনমনে এঁকে চলেছে মেহেরুন্নিসা..
অথচ, আয়নার গায়ের কোথাও লেগে নেই কবি ও অথবা কবির হাসি...কবি প্রকাণ্ড শরীর দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন আয়না...

এবারে তোমাকে ফিরিয়ে আমিও ফিরে গেলাম। ফিরে গেলাম একটা-একটা করে কাটা মুণ্ডু  কুড়িয়ে গোছাবো বলে, প্রতিটি শব্দের সাথে জুড়তে হবে না?

শব্দেরা এখন কনিষ্ক যে!




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.