পিউ মোটের ওপর খুব খুশি। ধরাবাঁধা রুটিন নেই । যখন তখন ঘুম, যখন তখন স্কাইপে জমিয়ে আড্ডা, নেটফ্লিক্সে ফাটিয়ে সিনেমা দেখা, গাবিয়ে খাওয়াদাওয়া, আর কি চাই! হ্যাঁ, মায়ের এটা ওটা নিয়ে খানিকটা ঘ্যানঘ্যানানি আর বাবার ওই "পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্য" জ্ঞানের বোতল থেকে অকারণ জ্ঞান ঝরানোটুকু বাদ দিলে বাকিটা বিন্দাস। অনলাইনে টুকটাক দু একটা ক্লাস? ও জাস্ট ইগনোর! শুধু একটাই মিসিং, ওই কলেজের কমন রুম আর ইউনিয়ন রুমের সিগারেটের রিং ওড়ানো আড্ডাটা। তবু পুষিয়ে যাচ্ছে । এমনিতে অকারণে বাইরে যাওয়া টাওয়া তার কোনোদিনই পোষায় না। তার চেয়ে বাড়িতে ইনটারনেটে টৈ টৈ করা অনেক বেটার। তার ফ্রেন্ড সার্কেলের কেউ কেউ ন্যাকামি করছে অবশ্য, এই ঘরবন্দী আইনে তারা নাকি হাঁপিয়ে যাচ্ছে । কে জানে বাবা, তার তো বরং মজাই মজা। দিনে গুনতি করে তিন থেকে চার রকম পোজের সেল্ফি তুলছে, ফেসবুকে, ইনস্টাগ্রামে, হোয়াটস্অ্যপ - এ পোস্টাচ্ছে , লাইক কমেন্ট -র বন্যায় ভাসছে। মজার টিকটক ভিডিও বানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ছাড়ছে। ওর ক্রাশ - ফ্রাশের ঝামেলা নেই বলে হাতে অঢেল সময়। তার ওপর সোনায় সোহাগা, প্রায় রোজই দুর্দান্ত সব মেনু। বিউটিশিয়ান মা পার্লার বন্ধ থাকার দরুন বাড়িটাকে প্রায় ফাইভ স্টার হোটেল বানিয়ে চিফ-সেফ হয়ে বসেছে। কী সব এক্সপেরিমেন্ট, আহা! মায়ের হেল্পার আবার বিজনেসম্যান বাবা। রান্নাঘরে সে এক হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড। মোটকথা পিউ বেশ মস্তিতে আছে।
#
মণিমালা থমথমে মুখে রাতে খাবার টেবিলে ছেলেকে বললেন,
----- একবারে বছরখানেকের খাবার দাবার, জিনিসপত্র মজুত করলি যে? আর কেউ কিনবে না? কেউ কেউ এমনটা করে বলেই না বাজারে জিনিসের দাম বাড়ে?
মলয় শুনে মায়ের ওপর খাপ্পা হয়ে উঠলো,
----- তোমার এই অতি সোস্যালিস্ট হওয়াটা এবার বন্ধ করো তো মা। ছোটবেলায় জ্ঞান দিয়েছো, শুনেছি, যেহেতু তোমার খবরদারিতে তখন বাঁচতে হতো। কিন্তু এখন দান উল্টেছে। এবার আমার দিন কিস্তিমাত করার । যা করছি, ফ্যামিলির ভালোর জন্যই করছি। আর তুমিও সেই ফ্যামিলিরই একজন।
কথাটা অকাট্য। তিনি এখন ছেলের হাততোলা।ছোট একটা হার্ডওয়ারের দোকান আর তিরিশ বছরের শিক্ষিত ছেলেকে রেখে স্বামী গত হয়েছেন আজ থেকে বছর পনেরো আগে। আর এই অল্পসময়ের ভেতরেই ছোট দোকানদার থেকে মলয় আজ কয়েক কোটির ব্যবসাদার। সিমেণ্ট রড থেকে ব্যবসা ছড়াতে ছড়াতে পেট্রোলপাম্প, রেশনের ডিলারশীপ হয়ে ওষুধের কারবার ছুঁয়ে হেল্থক্লিনিক অবধি পৌঁছে গেছে। টাকাই হয়ে উঠেছে ধ্যানজ্ঞান। তাতে সমানে সঙ্গত করেছে সঙ্গীতা, মলয়ের বৌ। মণিমালাকে অবশ্য পরিবারের চূড়োয় বসিয়ে রেখেছে পাথরের দেবতার মতো। সময়ে সময়ে ফুল জল বাতাসা বাঁধা। তবু মায়ের মন ---- হাড়মাংসমজ্জার আড়ালে একটা হৃদয় মাঝে মাঝেই খচখচ করে ওঠে। কোথা থেকে? কী করে? এত কিছু? প্রশ্নগুলো বুদ্বুদের মতো ভেসে ওঠে, ভেঙে যায়, আবার ভেসে ওঠে।
না, কোনো উত্তরের প্রত্যাশা আর করেন না তিনি। অর্থমোহ মানুষকে অন্ধ করে, নিজের চারপাশে প্রাচীর তুলে ভেতরের মানবটাকে টিপে মারে, অন্যের সুখদুঃখে বীতস্পৃহ হয় ---- এসব জেনে বুঝেও কাউকে বলতে পারেন না কিছুই। এমনকি নাতনিটাকেও না। চোখের সামনে সে ধীরে ধীরে বড়ো হচ্ছে, বিলাসী- পরিশ্রমবিমুখ হচ্ছে, আত্মস্বার্থমগ্ন হচ্ছে, শুধু মানুষ হচ্ছে না। দু চারবার চেষ্টা করেছেন এই স্নেহের পুতুলটির ভেতর প্রাণসঞ্চার করতে, কিন্তু সঙ্গীতার তীব্র আপত্তির কাছে হার মেনে তিনি নিজের ঘরে নিজের ডায়েরির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবু সন্তানসন্ততির জন্য স্নেহটুকু বিসর্জন দিতে পারেন নি বলে মাঝে মাঝে ন্যায় অন্যায়ের কথা বলে ফেলেন। আজও সেভাবেই বলে লাঞ্ছিত হলেন এবং পরাজয় মেনে নিজের ঘরে ঢুকে ডায়েরি নিয়ে বসলেন। লিখলেন,
"দিন - বার - মাস সব থমকে গেছে, থমকে গেছে চলমান জীবন। একটা দাঁড়ের ওপর বসে পায়ের শেকলে নিরুপায় টান দিতে দিতে দানাপানি চিবোচ্ছি।
বেশ বুঝতে পারছি, আমার দেশ এই ভাইরাসকে মাঝে রেখে পরিষ্কার দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। কুড়ি পঁচিশ শতাংশ মানুষ পাহাড়প্রমাণ সম্পদ নিয়ে ভোগের চূড়োয় বসে, গৃহবন্দীত্ব পালনের নামে উচ্চকিত বিনোদনে মজেছে আর লকডাউন না মানতে চাওয়া মানুষজনের ঔদ্ধত্যকে ফাঁসিতে চড়াচ্ছে। আর পঁচাত্তর থেকে আশি শতাংশ নিম্নমধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষ নিজেদের রুজিরোজগারে টান পড়ছে দেখে, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আতঙ্কে ভাবতে বসেছে, যে, করোনাভীতু বড়োলোকগুলো আর সরকার মিলে তাদের পেটের ভাত মারছে। লকডাউন ভেঙে সেই ক্ষোভ উগরে দিতে চাইছে তারা। এ কেমন সঙ্কট! এর থেকে বেরোবার পথ কী? ...... আর কতদিনে, কতদিনে এই পৃথিবীর অন্নজলে সকলের সমান অংশ স্বীকৃত হবে..... " ধীরে ধীরে বিষণ্ণ অনুভবের গভীরে ডুবতে থাকলেন মণিমালা.....
#
হোয়াটস্অ্যাপ - এ তিনশো একত্রিশটা নোটিফিকেশন, ফেসবুক মেসেঞ্জারেও উপচে পড়ছে না দেখা মেসেজের সংখ্যা। পিউ মোবাইলটা অন করেই আবার অফ করে দিল। ভালো লাগছে না দেখতে। কম্পিউটারটাও একবারও অন করে নি। যে মেয়েটা দিনে চার পাঁচ রকম ড্রেস - মেক-আপ করে সেল্ফি আর টিকটকে মজে থাকতো, সে তিনদিন যাবৎ ওগুলোর দিকে ঘুরেও তাকায় নি। কী যে হয়েছে ওর নিজেও জানে না। অথচ ভেতরে ভেতরে কোথাও যে ভাঙন ধরছে, সেটা বেশ টের পাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্য যে, ঠাম্মার জন্য একটা দলা পাকানো কষ্ট উঠে আসছে ভেতর থেকে, মনে হচ্ছে সেই ছোট্টবেলার মতো ছুটে গিয়ে ঠাম্মার কোলে মাথা রেখে বলে, "ভালোবাসি তোমাকে ঠাম্মা, খুব ভালোবাসি।" কিন্তু সেটা ভীষণ ড্রামাবাজি হয়ে যাবে যে। বড়ো হবার সঙ্গে সঙ্গে মা আর ঠাম্মার ঠাণ্ডা লড়াইয়ে সে মায়ের পক্ষ নিয়ে ঠাম্মাকে কবেই তো একলা করে দিয়েছে।
সেদিনও খাবার টেবিলে বাবার সঙ্গে ঠাম্মার তর্ক বিতর্কে পিউ বাবার পক্ষে দাঁড়িয়েই দুকথা শুনিয়ে, দুম করে খাবারের থালা ছুঁড়ে উঠে এসেছিল। বেসিনে হাত ধুতে ধুতে আড়চোখে ঠাম্মাকে নীরবে উঠে যেতে দেখেছিল। না, তাতে পিউয়ের কিছুই এসে যায় নি। মন তখন আধখানা দেখে রাখা সিনেমাটার দিকেই ছিল। টুকটাক কাজ সেরে ঠাম্মার ঘর পেরিয়ে নিজের ঘরে যাবার সময় একটু বিরক্তিতেই ঘরটার দিকে তাকিয়েছিল । ঠাম্মা লেখার টেবিলে মাথা গুঁজে বসে! স্ট্রাইক করলো হঠাৎ , শরীর খারাপ হলো না তো! ব্লাডপ্রেসারের রোগী। উত্তেজনায়.... পা টিপে টিপে পেছনে গিয়ে দেখে, সামনে খোলা ডায়েরি, মানুষটা মাথা কাত করে ঘুমিয়ে পড়েছে, চোখের কোণ বেয়ে শুকনো জলের দাগ। পিউয়ের মনটা অনেক দিন পর কেমন করে উঠলো । এই ঠাম্মাটাই তাকে ছোটবয়সে সোহাগে শাসনে আগলে রাখতো। সারা পৃথিবীর রূপকথা শোনাতো। চুলে বিলি কেটে ঘুম পাড়িয়ে দিতো।..... আস্তে করে খোলা ডায়েরিটা তুলে নিল পিউ। তারপর অজান্তেই ঢুকে পড়লো ঠাম্মার পৃথিবীতে.....
"যুধিষ্ঠির শরশয্যাশায়িত ভীষ্মকে জিজ্ঞাসা করলেন,
----- পিতামহ, নৃশংস মানুষের সংজ্ঞা কী?
ভীষ্ম প্রশান্ত কণ্ঠে উত্তর দিলেন,
----- যে ব্যক্তি উৎকৃষ্ট সব খাদ্যদ্রব্য, (চর্ব্য - চোষ্য - লেহ্য - পেয়), এবং উত্তম ভোগ্যদ্রব্য, অনেক চেয়ে থাকা ( অভুক্ত ও কোনো চাহিদা না মেটা) মানুষের মাঝখানে বসে নিশ্চিন্তে নির্দ্বিধায় উপভোগ করে, সেই ব্যক্তি হলেন নৃশংস।"
তারপর ঠাম্মার নিজের ব্যাখ্যা, একদিন
নৃশংসতায় ভরপুর হবে মনুষ্যত্ব, একথা জানতে তুমি মহাকাব্যকার! জানতে, মানুষ মানুষকে যত না যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারবে, তার চেয়ে বেশি মারবে বিষম বুদ্ধির বিষবাষ্প দিয়ে..... !
পিউ গোগ্রাসে গিলতে লাগলো ডায়েরির পাতাগুলো। নিজের পরিবার নিয়ে কী অকপট ভাবনা!
"আমার ছেলে মলয় সেই রাক্ষসগোত্রীয়, যে সমগ্র রাজ্যকে গিলে খেয়ে নিজের প্রাসাদে তার কঙ্কাল জমা করে। আমি পারি নি তাকে সত্যিকার বাঁচার মন্ত্রটা শেখাতে, তাই বুঝি তার ভেতরে কেবল যক্ষপুরীর সেই অনাদিকালের ব্যাঙটার মতো টিকে থাকার বাসনা! এতোদিনের কাজের লোক চাঁপা, হাতে পায়ে ধরে মাইনের টাকা কটা চাইলো, রোগা ছেলেটার পথ্য কিনবে বলে। লকডাউনে কাজ করায় নি বলে কিছুতেই দিল না! কী যে রক্তক্ষরণ অন্তরে, কাকে বোঝাই! কী করে বোঝাই ! কী অসহায়তা! হায় রে ভগ্ন শরীর, কতদিন, কতদিন এমনি করে পৃথিবীর অন্নজলে ভাগ বসাবো আর!..... "
পিউ হারিয়ে যেতে যেতে কতোবার ভাসলো, কতোবার উঠলো, কতোবার আছাড় খেলো, কতোবার ক্ষতবিক্ষত হলো! তারপর ডায়েরির শেষ লেখাটা ধরে যখন উঠে দাঁড়াতে গেল, দেখলো, ওর চেনা পিউটা মরে যাচ্ছে। আর তার বদলে ওর ভেতর থেকে উঠে আসছে অচেনা একটা পিউ। ঠিক যেমন ভিজে ছোলা ফাটিয়ে বেরিয়ে আসে অঙ্কুর! সব কিছু কেমন নতুন মনে হচ্ছে। এই পৃথিবীটা কি সে আগে দেখেছে কখনো! এতো আলো কোথা থেকে এলো!
#
মলয় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। সঙ্গীতা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ডাইনিংএর দরজায়। লকডাউন কাল রাত থেকে আরো বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে..... টেবিলে পড়ে থাকা চিঠিটা আরেকবার তুলে নিল মলয়। দুচোখে ঘন কুয়াশা। অক্ষরগুলো শুধু ঝাপসা লাগছে না, অচেনাও মনে হচ্ছে ! পিউ লিখেছে? সেই অবুঝ, জেদি, শিশুর মতো পিউ ! ঝুঁকে পড়লো, চিঠিটায়, তন্ন তন্ন করে খুঁজতে লাগলো.... কোথাও কোনোভাবে যদি তাকে ছুঁতে পারে ! সঙ্গীতা গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বললো জোরে পড়ো....
"বাবা, ওরা হাঁটছে। খিদে তেষ্টা পেটে নিয়ে হাঁটছে। মেঘরোদ্দুর মাথায় নিয়ে হাঁটছে। লকডাউনে হাঁটছে। ওদের জীবনে লকডাউনটাই একমাত্র সত্যি বাবা। খাদ্যে লকডাউন, বস্ত্রে লকডাউন, বাসস্থানে লকডাউন, যাতায়াতে লকডাউন, শিক্ষায় লকডাউন, চেতনায় লকডাউন, এমনকি মনের অনুভূতিগুলোতেও লকডাউন। শুধু আজ নয়, যুগ যুগ ধরে সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং আর ইকনমিক ডিস্ট্যান্সিং দিয়েই আমরা ওদের জীবনটাকে লক করে দিয়েছি। ওরা তাই অনন্তকাল ধরে কেবলই তালামারা পায়ে ছিঁচড়ে ছিঁচড়ে হেঁটে চলেছে বাবা। আমরা ওদের যানবাহনের ব্যবস্থা করি নি কখনো। জানি তুমি বলবে, "করোনার মার তো প্রকৃতির মার, মানুষ অসহায়"। হ্যাঁ বাবা। ঠিক তাই। রাজারাজড়া, আমির ওমরাহ, মন্ত্রীশান্ত্রী, কোটিপতি অযুতপতি সব্বাই ওই বটতলার ভিখিরি খোঁড়াবসনের মতোই অসহায়। তাহলে কেন এতসব! কীসের এতোসব! তুমি ভাবছো, মেয়ের বুঝি সন্ন্যাসবুদ্ধি এলো! না বাবা, আমি ওসব সন্ন্যাস, ত্যাগ তিতিক্ষা, বৈরাগ্য বুঝি না। আফটার অল কিছুই বুঝি না। ঠাম্মার ডায়েরিটা শুধু আমাকে বললো, "করোনা যদি সত্যিই সমাজের নিয়মনীতিতে আঘাত করে, তাহলে ভাঙনের পরে একটা নতুন সমাজের দিকে আমাদের হেঁটে যেতে হবে।" আমি তার প্রস্তুতি শুরু করতে চললাম বাবা। কী করবো, কী পারবো জানি না, শুধু জানি আমাকে এগোতে হবে। ওই শেকলপায়ে হেঁটে যাওয়া মানুষগুলোর শেকল খুলতে খুলতে এগোতে হবে। লকডাউনের শেষে ভোরের আলোমাখা সমুদ্রস্নানে যাবার রাস্তাটা সব্বাইকে চিনিয়ে দিতে হবে। বিশ্বাস রাখলাম মনে, আমি একা নই, আমার সাথে হাঁটবে তোমরাও ------ তুমি, মা, আমার বন্ধুরা সবাই।
ঠাম্মাকে বোলো, আমি তাঁরই নাতনি। ডায়েরিতে যেপথ ঠাম্মা দীর্ঘদিন ধরে এঁকে রেখেছে, আমি সেই নকশা ধরেই এগোবো ----- কিছুতেই আর পথভ্রষ্ট হবো না। ডায়েরিটা আমি নিয়ে গেলাম। ভালো থেকো। ভালো থাকবো।
বাই দ্য ওয়ে, তোমার ভাঁড়ারে জমানো চালডাল গুলো চাঁপা মাসিদের বস্তি থেকে লোকেরা নিতে আসবে। দিয়ে দিও।
ইতি পিউ।