রুমকি রায় দত্ত

ভ্রমণ ডায়েরির পাতা থেকে /  রুমকি রায় দত্ত

মুক্তর শহর হাইদ্রাবাদঃ

এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডটাই তো বিস্ময়ের বিস্ময়। তার থেকেও বেশি বিস্মিত হই যখন এই আজব দুনিয়ার কথা ভাবি। ‘রামোজি ফিল্ম সিটি’ ভোরের আলিস্যি কাটিয়ে ঘুম থেকে ওঠা কঠিন ব্যাপার, যথারীতি শুরু হয়ে গেল হুটোপাটি। ঠিক সকাল ৮ টায় গাড়ি আসার কথা। কোনো রকমে স্নান সেরে, ধোসা দিয়ে টিফিন করে গিয়ে বসলাম গাড়িতে।

গাড়ি ছুটে চলল প্রধান রাস্তা ধরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেই আজব দুনিয়ার দিকে। গাড়ির কাচ দিয়ে বাইরে তাকালেই দেখতে পাচ্ছিলাম বোগেনভেলিয়ার শোভা। গাঢ় বেগুনি ,লাল বা সাদা গুচ্ছাকারে ফুটে আছে বোগেনভেলিয়া। ৪০-৪৫ মিনিট পর আমরা এসে দাঁড়ালাম আজব দুনিয়ার প্রবেশদ্বারের বাইরে।

টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে কি করব ভাবছি, এমন সময় দেখলাম,একটা বাস দাঁড়িয়ে আছে আর লাইন দিয়ে লোক সেই বাসে উঠছে, আমরাও গিয়ে দাঁড়ালাম। মিনিট কয়েকের মধ্যেই বাস আমাদের নিয়ে ছুটে চলল সেই দুনিয়ায়। বাস যেন এক রূপকথার দেশে ভেসে ভেসে চলছে। কখনও উপরে উঠে যাচ্ছে, আবার কখনও ঢাল বেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। নির্জন সবুজ ঘেরা রাস্তা। প্রায় মিনিট পনেরো পর আমরা এসে দাঁড়ালাম একটা ঝকঝকে বাসস্ট্যান্ডে। ফিল্ম সিটির স্টাফেদের কাছেই জানলাম, এখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু হবে। কিছুক্ষণ দাঁড়াতেই দেখলাম লাল রঙের, মাথায় ছাদ ছাড়া চারপাশ খোলা এক রকমের সুন্দর দেখতে বেশ কয়েকটা বাস পরপর এসে দাঁড়াল সেই স্ট্যান্ডে। এই বাসেই ঘুরে দেখতে হবে আমাদের পুরো ফিল্ম সিটি। বাসের সিট ভর্তি হতেই বাসগুলো ভ্রমণার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করছে। এমনই একটি বাসে আমরাও উঠে বসলাম। বাস আমাদের নিয়ে ফিল্ম সিটির ঝকঝকে রাস্তায় চলতে লাগল আর একজন গাইড আমাদের সমস্ত স্পট গুলোর বর্ণনা দিতে লাগল। কোথাও দু’পাশে সবুজ ঘাসের গালিচা মাঝে ধীর গতিতে ছুটে চলেছে আমাদের বাস। ঘুরতে লাগলাম আর অবাক হতে লাগলাম, যে জায়গাগুলো আমরা সিনামায় দেখেছি, সেগুলো আমাদের চোখের সামনে। প্রায় ২০০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই সিনামা শহরে কি নেই?—শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বে এতবড় ফিল্ম সিটিও নেই। বাইরে তাকাতে তাকাতে দেখলাম হঠাৎ প্রকৃতিটা কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ভারতের মাটি ছেড়ে আমরা হঠাৎ এসে পড়লাম বিদেশের মাটিতে। বাস্তবের সাথে এই সাজানো শহরের কোনো পার্থক্য নেই, হুবহু এক। সত্যিই যেন আমরা এই ছোট্ট বাসে চড়ে পাড়ি দিচ্ছি লন্ডন, প্যারিস—আরও আরও কত দেশে। ওই তো অয়ফেল টাওয়ারটা কেমন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। পাশের রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে আমাদের বাস।

ভ্রমণ ডায়েরির পাতা থেকে /  রুমকি রায় দত্ত

বাস বিদেশের অলিগলি ঘুরে এসে দাঁড়াল একটা বড় হলঘরের সামনে। আমাদের ১৫ মিনিট পর আবার এই বাসেই ফিরে আসতে বলা হল। একে একে নেমে গেলাম। হলে প্রবেশ করতেই অবাক হয়ে গেলাম। বিদেশের রাস্তা থেকে হঠাৎ যে রাজপ্রাসাদে এসে পড়ব বুঝতেই পারিনি। কে বলবে নকল?---থাম থেকে শুরু করে সিংহাসন,সব যেন সোনায় মোড়া। ছাদে থামে অপুর্ব কারুকার্য। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। সভায় বসে আছেন রাজামশাই সঙ্গে পারিষদ। রাজসভা চলছে। বেশ কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে আবার ফেরা বাসে। ঘুরতে এলে কি হবে? অনুশাসন মানতে হবে। শুধু ওই বাসেই নয়, ওই একই সিটে বসতে হবে সকলকে। আমরা বাসে ফিরতেই বাস আবার চলা শুরু করল। কিছুদূর গিয়ে এই বাস ছেড়ে আমরা গিয়ে উঠলাম একই রকম দেখতে আরেকটি বাসে। এই বাস আমাদের নিয়ে যাবে ফিল্ম সিটির অন্য অংশে।

দেখলাম দূরে একটা স্টেশন একটা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। অবিকল একটি আসল স্টেশন ও ট্রেন। এবার বুঝলাম নায়ক চলন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে নায়িকার হাত ধরে কিভাবে তুলে নেয়। চোখের সামনে ভেসে উঠল শাহরুখ খান ট্রেন থেকে হাত বাড়াচ্ছে আর কাজল ছুটতে ছুটতে এসে সেই হাত ধছে। শুধু স্টেশন নয়, এয়ারপোর্টও আছে। বাস এসে দাঁড়িয়ে পড়ল এয়ারপোর্টের সামনে। আমরা একে একে গিয়ে বসলাম প্লেনে। না জানি এই প্লেনের ভিতরেই কত হাইজ্যাকের স্যুটিং হয়েছে!

ভ্রমণ ডায়েরির পাতা থেকে /  রুমকি রায় দত্ত

এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে কিছুদূর যেতেই দেখি জেলখানার গারদ ধরে উন্মত্ত কয়েদিরা হুংকার দিচ্ছে। গারদের লোহার শিক ঠকঠক করে নড়ছে।---না, ভয় পায়নি কারণ ওরা যে সবাই নকল। কিন্তু সিনামাতে এদের দেখেই আমরা ভয় পাই। কিছুদূর গিয়েই আবার আমাদের বাস থেকে নেমে যেতে হল। এই বাসটার যাত্রাপথ এতটাই ছিল। ওখান থেকে আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম রাজস্থান, একে বারে হাওয়া মহলের সামনে। সেখানে অনবরত নেচে চলেছে রাজস্থানি শিল্পীরা, রাজস্থানি গানের আবহে ক্ষণিকের জন্যও মনে হয়নি এটা কৃত্রিম রাজস্থান। কি অদ্ভুত! এই দুনিয়ার স্তরে স্তরে লুকিয়ে বিস্ময়। এত বিস্ময় এখানে আসার আগে কল্পনাতেও ছিল না। পায়ে পায়ে নেমে এলাম নিচের বাগানে। যেন পৃথিবীতে স্বর্গ। বিরাট আকারের নৃত্যরত মূর্তি। দেখেই মনে হল আরে! এগুলো তো দেখেছি।----কোথায় আবার?----সিনামায়। নায়িকারা মূর্তি ঘিরে নাচ করে আর গান গায়। 

এবার গিয়ে চাপলাম তৃতীয় বাসে। এখনও কত বিস্ময়ই না বাকি। কিছুটা পথ ঘুরে বাস আমাদের নামিয়ে দিল। আমরা ভিতরে প্রবেশ করেই দেখলাম,ধ্যানমগ্ন মুণিঋষিদের,এটা যেন একটা পাতালপুরির গুহা। আমরা যত এগিয়ে যেতে লাগলাম, ততই প্রবেশ করতে লাগলাম রূপকথার দুনিয়ায়। একটা ছোট্ট খেলনা গাড়ি লাইনপাতা পথে এসে দাঁড়াল আমাদের সামনে, আমরা তাতে উঠে বসতেই আমাদের নিয়ে পাড়ি দিল হিমশীতল রূপকথার দেশে।প্রায় কুড়ি-পঁচিশ মিনিটের জন্য আমাদের মনটাও যেন শৈশবের আনন্দে ভরে উঠল। হারিয়ে গেলাম এক অচীনপুরীতে। যেখানে থাকে রাজকুমার আর রাজকুমারী, ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী। রাক্ষস রানী। যেখানে রাতের আকাশে টুপুটুপু ঝরে তারারা। এক অদ্ভুত স্বপ্নে দেখা দেশ। মাটির তলার দেশ দেখিয়ে গাড়ি আবার আমাদের নামিয়ে পাড়ি দিল অন্য যাত্রী নিয়ে। এরপর সবটা পায়ে হেঁটে। কোথাও ঝর্ণা, কৃত্রিম নদী। সুন্দর লম্বা গলার রাজহাস জল চিড়ে সাঁতার কেটে চলেছে। একটু বসা আবার চলা। 

চলতে চলতে পৌঁছে গেলাম পতঙ্গের দুনিয়ায়, যেখানে প্রজাপতিরা ডানা মেলে নেচে চলেছে। কখনও তারা ফুলের পাঁপড়িতে আবার কখনও তারা বাহারি গাছের পাতায়। কখনও বা ছুঁয়ে যাচ্ছে মাথা। ওদের উড়ার মাঝেই আমরা ঘুরে চলেছি ওদের রাজ্য। আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলেছে রঙিন প্রজাপতি।এভাবে পজাপতিদের মাঝে ঘোরার এক অপূর্ব অনুভূতি নিয়ে আবার চলা শুরু করলাম।

ভ্রমণ ডায়েরির পাতা থেকে /  রুমকি রায় দত্ত

তখনও জানি না এর থেকেও বিস্ময়কর কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষায় আছে। এসে ঢুকলাম পাখিদের রাজ্যে। সারি সারি পেঁপেগাছ,তাতে ঝুলছে কাঁচা পাকা পেঁপে। মাথার উপর দিয়ে এপাশে ওপাশে উড়ে চলেছে লাল-নীল-সবুজ রঙের বাহারি পাখি।এমনও হতে পারে! আমরা আর ওরা প্রকৃতির মাঝে এত কাছাকাছি! এত কাছ দিয়ে উড়ে চলেছে যেন মনে হচ্ছে মাথায় বুঝি এবার ওদের ডানার ছোঁয়া লাগবে।

এমন রাজ্যে দু-দন্ড জিরিয়ে নিয়ে আবার চলা শুরু নতুন কিছু দেখার জন্য। শুধু ঘোরাঘুরি নয়। কেনাকাটারও সুযোগ আছে। আছে স্থানে স্থানে হস্তশিল্পের দোকান। দাম একটু বেশি তবে সখের দামতো এখন আর ষোলো আনা নেই একটু বেশিই লাগে। ওদিকে দীর্ঘপথ হেঁটে নাড়ি-ভূঁড়ি তো একেবারে হজম হওয়ার জোগাড়। পথে যে দু’চারটে স্টল আছে সেখানে স্ন্যাক্স ছাড়া কিছুই মেলেনি। খাবারের খোঁজে কিছুটা হাঁটতেই দেখলাম বিরাট এক ফুডপ্লাজা। যেখানে বিরিয়ানী থেকে চায়নিজ সব ধরনের খাবারই মেলে। কুপন কেটে ঢুকে পড়লাম। দুপুরের আহার সেরে একটু জিরানো, কখনও চ্যাপলিনের পাশে বসে ছবি তোলা। সময় বয়ে যেতে লাগল। এতোদিন সিনামার মাঝে বাস্তবতা খুঁজেছি,এরপর খুঁজে পেলাম সিনামার পছনের বাস্তবতা। কিছু বাস্তব শুধু হাসি দেয়,---আপনার শুধু হাসি পাবে আর সিনামার পিছনের আসল রহস্যটা রহস্য থাকা ভালো।

দিনমণি অস্তাচলে যেতে বসেছেন। সারাদিন হেঁটে ক্লান্ত আমরা সোজা হোটেলে। আগেরদিন লুম্বিনি পার্ক থেকে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ শহরের রাস্তায় হেঁটে ছিলাম। কিন্তু ক্লান্ট শরীর ফেরার পর শুধু সাদা বিছানার কোলে মাথা রাখতে চাইছিল। রাতের খাবার রুমেই নেওয়া হল। স্পেশাল অর্ডার দেওয়া ছিল। হাইদ্রাবাদের বিশেষ বিরিয়ানি। সত্যি বলছি এরপরের দু’বছর আমি অন্য কোনো বিরিয়ানি খাইনি সেই অনন্য স্বাদটা হারিয়ে ফেলার ভয়ে। প্রায় দেড় দিন কিভাবে যেন কেটে গেল। পরের দিন চার্মিনার,নিজাম প্যালেস আর গোলকুন্ডা ফোর্ট দেখব আমরা। লুম্বিনি পার্কের লাইট এ্যান্ড সাউন্ডের দৌলতে হাইদ্রাবেদের ইতিহাস আগের দিনই জেনেছিলাম, কিন্তু গোলকুণ্ডার নাম মনে হতেই একটা প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ যেন ঘুরে ফিরে বেরাতে শুরু করল সমস্ত ইন্দ্রিয় জুড়ে। যদিও ইতিহাস আমাকে খুব একটা আকর্ষণ করে না, মিউজিয়ামের প্রতিও আকর্ষণ প্রায় নেই বললেই চলে। তবু ঐতিহাসিক স্থানে ঘুরতে এসে এগুলো দেখব না বললে তো চলে না। পরদিন সকালে পথচলতি একটা অটো নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমরা। এখানে লোকাল স্পট দেখার জন্য আলাদা গাড়ি ভাড়ার প্রয়োজন নেই। তবে মিটারের ভাড়ায় এঁরা যেতে চান না। আমরা দিন হিসাবে ভাড়া করে নিলাম। অটো হিমতনগর ছেড়ে ঘিঞ্জি অলিগলি তে প্রবেশ করল। এই অঞ্চলটা প্রাচীন হাইদ্রাবাদের ঐতিহ্যের বাহক। অটো এসে দাঁড়াল চারমিনারের সামনে। সেই চারমিনার, সিগারেটের প্যাকেটে যার ছবি দেখতে দেখতে বড় হয়েছি আমরা। সেই চারমিনারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি ভাবতেই কিরকম যেন একটা শিহরণ হল মনে। রাস্তার মাঝে প্রাচীন স্থাপত্যের অহঙ্কার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কুতুব শাহি বংশের পঞ্চম সুলতান ‘ মহম্মদ কুলি কুতুব শাহ’ এই স্থাপত্যটি নির্মানের পরিকল্পনা নিলে পারস্য থেকে স্থপতি এনে চারটি মিনার যুক্ত এই স্থাপত্য নির্মান করা হয়। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ১৬০ ফুট। মিনারের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য সরু ১৪৯ টি ধাপ যুক্ত প্যাঁচালো সিঁড়ি আছে। এই সিঁড়ি বেয়ে মিনারের ভিতরে পৌঁছানো বেশ দুর্গম বলেই মনে হল আমার। বিশেষ করে মসৃণ,পিচ্ছিল সংকীর্ণ ও উঁচু ধাপ যুক্ত এই সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসা সত্যিই কঠিন। খালি পা ছাড়া ব্যালেন্স বিগড়ানোর ষোলোআনা চান্স। চারটি মিনারই ব্যালকনি দিয়ে সংযুক্ত। ভিতরের দিকে মিনারের গায়ে খচিত নক্সা চোখের সাথে মনেরও তৃপ্তি আনবে। বেশ কিছুটা সময় ইতিহাসের সাথে থাকলেও ঠিক তৎকালিন সময়ে পৌঁছাতে পারলাম না আমি। আসলে ইতিহাসের গর্ভে পৌঁছাতে গেলে যে গভীর ভালোবাসা লাগে, আমি ইতিহাসকে ঠিক ততটা ভালো বাসতে পারিনি। স্থাপত্যের কারুকার্যের প্রতি মুগ্ধতাই আমার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।

ভ্রমণ ডায়েরির পাতা থেকে /  রুমকি রায় দত্ত

মিনার থেকে নেমে দেখলাম সংলগ্ন বাজারে গালার চুড়ির ছড়াছড়ি। বিখ্যাত লাদ বাজার। গালার বালার বিখ্যাত জায়গা। অটোওয়ালা দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমরা এগিয়ে গেলাম নিজাম মিউজিয়াম পথে। দুপুরে গোলকুণ্ডা যাব, কারণ ওখানে সন্ধের পর সেই ঐতিহাসিক লাইট এ্যান্ড সাউন্ড হয়। ১৯৩৬ সালে হাইদ্রবাদের নিজাম ওসমান আলি খাঁ ও সপ্তম আসফ জাহ তাঁদের রজতজয়ন্তীতে যে সকল উপহার পেয়েছিলেন,সেই সব সামগ্রী এই মিউজিয়ামে শোভা পাচ্ছে। পুরো মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে প্রায় ঘন্টা দুয়েক সময় কোথা দিয়ে যেন কেটে গেল। মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে আমরা ছুটে চললাম গোলকুণ্ডা দুর্গের পথে।


Previous Post Next Post