মোরগের তীক্ষ্ণ ডাকে ঘুম ভেঙে গেল মেয়েটির । খিলখিল করে হেসে উঠলো সে । তারপর জানালার দিকে তাকিয়ে মোরগটাকে ডাকলো । কিন্তু মোরগটা সাড়া দিল না । মেয়েটি মেঝেতে একটা মাদুরের উপর শুয়েছিল, জানালা থেকে প্রায় এক মিটার দূরে । সেখানে জানালার বাইরে উজ্জ্বল, টকটকে লাল ফুলে শোভিত ডালিমের একটা ডাল অস্থির ভাবে দুলছিল । বাতাসের ধাক্কায় ওর ডগাটা বারবার ছুঁয়ে যাচ্ছিল জানালার গ্রিল, অনেকটা খেলার ছলে । মোরগটা আবার ডেকে উঠলো । মেয়েটিও হেসে উঠল খিলখিল করে; বড্ড স্পষ্ট ও শিহরণ জাগানো সেই হাসি । হাসতে হাসতে আরও একবার মোরগটাকে সে ডাকলো । কিন্তু মোরগটা নির্বিকার, কোনো প্রতিক্রিয়া নেই । এরই মধ্যে একটা বুলবুলি উড়ে এসে তার পাশের জানালায় বসলো । বসে নির্ভয়ে, তিড়িং-বিড়িং করে উপর-নীচে লেজ দোলাতে দোলাতে বেশ কিছুক্ষণ গান গাইলো । তার গান শুনে আবার খিলখিল করে হেসে উঠলো মেয়েটি । কচি হাত দু’টো সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বুলবুলিটিকে কাছে ডাকলো । যদিও তার ডাক পাখিটার চোখে পড়লো না । তবে তার হাসির শব্দে কিছুক্ষণের জন্যে গান বন্ধ রাখল পাখিটা । সুন্দর গোল চোখ দু’টো ওই আওয়াজের দিকে ঘুরিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আওয়াজের উৎস সন্ধান করলো । কিন্তু জানালায় ছিল জাফরি-কাটা পর্দা, যাতে বাইরে থেকে কিছুই দেখা যায় না, তবে ভেতর থেকে বাইরে স্পষ্ট দেখা যায়। সেই জাফরি-কাটা জানালায় আটকে গেল তার দৃষ্টি । খানিকটা আশ্বস্ত হয়ে আবার গাইতে আরম্ভ করলো পাখিটা । মেয়েটিও আবার খিলখিল করে হেসে উঠলো । হাত নেড়ে নেড়ে পাখিটাকে কাছে ডাকলো । কিন্তু পাখিটা এবারও তাকে দেখতে পেল না । এরই মাঝে পাশের বাগান থেকে একটা মেয়ে-বুলবুলির কণ্ঠ ভেসে আসল । সঙ্গে সঙ্গে সুরেলা কণ্ঠে তার উত্তর দিল পাখিটা । তারপর ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে তার পাশে বসলো । অতঃপর দু’জনে মিলে আরও কিছুক্ষণ গান গাইলো ।
মিনিট পাঁচেক হবে তার বাবার নাক-ডাকা বন্ধ হয়েছে । ঘুমের মধ্যে দীর্ঘ লয়ে ঘড় ঘড় শব্দ তুলে ঘন ঘন দম নেন তিনি । সে জানে, বাবার নাক ডাকার সাথে মা ও ঘুমন্ত ভাইয়ের নাক ডাকার অনেক তফাৎ । মায়ের নাক ডাকা ছন্দময়; অনেকটা কাঠের ডেস্কে মৃদু টোকার মতো । আর ভাইয়েরটা বাতাসের মৃদু শাঁ শাঁ শব্দের মতো । তার দৃষ্টি তখনো জানালায় আটকে । বুলবুলি দু’টির মিষ্টি গান তখনো ভেসে আসছে পার্শ্ববর্তী বাগান থেকে । সে মন দিয়ে শুনছে সেই গান এবং তাল মিলিয়ে আনন্দে নাচছে । যদিও বুলবুলি দু’টি তার ডাকে সাড়া দেয়নি, তবুও সে আশা করে আছে, পাখি দু’টো আবারও আসবে। এসে তার পাশে জানালায় বসবে । এরই মাঝে মায়ের চেনা কন্ঠ কানে আসল । সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি ঘাড় ঘোরালো ভেতরের দিকে । মা বাবাকে বলছেন—শুয়ে থাকো । এত সকাল সকাল উঠছো কেন ? কপালে যা আছে তা তো ঘটবেই, বিধির লিখন অপেক্ষা করতে জানে ।
— না, আমাকে তৈরি হতে হবে ।
— এখনো অনেক সময় আছে, শুয়ে থাকো ।
— জানোই তো, একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি আর ঘুমোতে পারিনা ।
বাবা উঠতে যাচ্ছিলেন, মা বাবার হাতটা টেনে ধরলেন । মেয়েটি আবার খিলখিল করে হেসে উঠলো; যেন আশেপাশে কোথাও ঝনঝন করে একটা বাজনা বেজে উঠলো । তার ওই হাসির মধ্যে এক অদ্ভুত চৌম্বকত্ব ছিল । সেই আকর্ষণে বাবা ওর পাশে গিয়ে বসলেন । বাবাকে কাছে পেয়ে ওর মন খুশিতে ভরে গেল, খানিকটা বানের জলের মতো ছলছল করে উঠলো । আর তার উল্লাস ছড়িয়ে পড়ল আকাশে-বাতাসে । ছোট্ট দু’ হাতে তালি বাজাতে বাজাতে হাত দু’টো বাবার দিকে এগিয়ে দিল; যেন বাবাকে জড়িয়ে ধরতে চাইছে, বা চাইছে উড়ে যেতে । সে হেসে চলেছে আর তার সামনের ছোট্ট দাঁত দু’টো গোলাপি মাড়ির উপর মুক্তোর মতো চক্চক্ করছে । তার দীঘল-শুভ্র চোখের কালো মনি প্রচন্ড দাপুটে ও উজ্জ্বল । খুব কাছ থেকে বাবার নিঃশ্বাস অনুভব করল সে । তারপর নিজের মুখে অনেকখানি বাতাস ভরে নিল । ফলে তার দু’ গাল ফুলে একটা লালচে বল হয়ে গেল। সাথে একটা লালচে আভা ছড়িয়ে পড়ল তার কপালে । তারপর যেটুকু লালা ও বাতাস মুখের ভেতরে ছিল তার সবটুকুই ছুড়ে দিলো বাবার মুখে । এই একরত্তি বিজয়ে সে আবারও খিলখিল হেসে উঠলো । বাবাও হাসলেন । আহ্লাদ করে বললেন— পুঁচকে বাদর, এটা কী করলে তুমি?
বাবার দিকে নিষ্পলক চেয়ে, নিজের নাদুশনুদুশ পা দু’টো শূন্যে তুললো । তারপর দু’ হাতে একটা পা ধরে পা’টাকে টেনে মুখের কাছে আনল । তারপর বুড়ো আঙুলটা মুখে নিয়ে চুষল কিছুক্ষণ । ছেড়ে দিয়ে, একটু থেমে বিজয়ের অহংকার-ভরা চোখে বাবার দিকে তাকালো । তাকিয়ে মুখে শব্দ করলো, বব্-বব্-ব...। তারপর হিজলি-বাদামের মতো লাল বুড়ো আঙুলটা আবারও চুষতে আরম্ভ করলো ।
মা’র আলতো ধাক্কায় বাবা একটু সরে গেলেন । মা গোমড়া মুখে বিড়বিড় করে বললেন— ও আল্লাহ! সকাল সকাল এত যন্ত্রণা দিচ্ছ কেন ? আমরা কি এসব একটু ভুলে থাকতে পারবো না ? অন্তত ঘুমের সময়, একটু নিশ্চিন্তে ঘুমোতেও পারবো না ! একটু সরো, ওর কাপড়চোপড় পালটে দেবো ।
— এমন বিদঘুটে চেহারা নিয়ে মেয়েটার সামনে যেয়ো না তো । ও সব বোঝে । আমাদের সমস্যার মাঝে ওকে অযথা টেনে এনো না ।
মেয়ের জামাকাপড় পালটানোর জন্য মা যেই একটু ঝুঁকলেন, মায়ের ঘন চুল মেয়ের সামনে ঝুলে পড়ল এবং চারিদিক থেকে ওর মুখটা ঢেকে গেল । ফলে এক অদ্ভুত রকমের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ওর চোখেমুখে । পা’টা ছেড়ে দিয়ে এবার ও মায়ের এক গোছা চুল খামচে ধরল । তারপর টেনে তা মুখে নিল । মা তখন ওর কোমর থেকে ল্যাংগোটটা খুলছিলেন, হেসে বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন— দেখো, ও আজও বিছানা ভেজায়নি । আজ দিয়ে পরপর তিন দিন । আমি তো নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছিনা ।
— ওসব বলে ওর ভাগ্যটা নষ্ট করো না ।
— ওর বয়স সবে সাত মাস ।
হিসি করাবার জন্য মেয়েকে পটিতে বসিয়ে দিয়ে মা গেলেন দুধ আনতে । আর মেয়ে মাটিতে পা দিয়ে বাজনা বাজাতে লাগল । একটা বাটিতে দুধ নিয়ে এসে মা প্রায় কেঁদেই ফেললেন— এটাই শেষ বাটি, ঘরে আর দুধ নেই ।
— বলেছি না, ওর সামনে হাসি-মুখে কথা বলবে । ও সব বোঝে ।
— হুম...।
— তুমি আর কবে বুঝবে যে বাচ্চারা সব বুঝতে পারে?
— কী বুঝতে হবে আমাকে? ওর বয়স সবে সাত মাস আর ও সব বোঝে ? এটা পাগলামি নয় ? তোমার মাথা ঠিক নেই, বুঝলে !
ওর চোখ দু’টো থেকে আগের সেই ঔজ্জ্বল্য উধাও হয়ে গেছিল । ধীরে ধীরে এক অদ্ভুত বিষণ্ণতায় ঢেকে যাচ্ছিল চোখের দাপুটে মণি । বাবা আবার মুখে চওড়া হাসি নিয়ে এগিয়ে গেলেন । আদর করে মেয়ের মুখে ফুঁ দিলেন । ওর সুড়সুড়ি লাগলো; একটু পিছিয়ে গিয়ে ফিক করে হেসে উঠলো । বাবাও হাসলেন । তারপর মায়ের হাত থেকে দুধের বাটিটা ও নিজের হাতে নিল । ছোট ছোট আঙুলগুলো বাটিটার চারপাশে পেঁচিয়ে দিয়ে বাটিটা জাপটে ধরল । আর বাবা নিজের একটা হাত বাটির নীচে স্পর্শ না করেই কচুর পাতার মতো পেতে দিলেন যাতে বাটিটা পড়ে না যায় । মেয়েটি এক চুমুক দুধ খেয়ে মাথা উঁচু করলো । ওর উপরের ঠোঁটে তখন দুধের একটা চিকন সাদা দাগ পড়ে গেছিল । বাবার দিকে এমন ভাবে গর্ব ভরে তাকালো যেন বলতে চাইছে, দেখো, আমি কী না করতে পারি !
বাবা হেসে মেয়ের হাতে চুমু খেলেন— ওরে বাবা রে, আমার বীরকন্যাটা এখন বোতল ছাড়াই দুধ খেতে পারছে !
বাবার এই আহ্লাদে মেয়েটিও হেসে উঠলো । এরই মাঝে মা মেঝেতে পাতা আরেকটা মাদুরে গিয়ে বসলেন। পরিস্থিতির ভারে তাঁর মাথা নুইয়ে পড়ছিল, তাই দু’হাতে মাথা ধরে বসেছিলেন । আর তাঁর কন্ঠ কান্নায় বুজে আসছিল । বাবা আন্দাজ করতে পারছিলেন, এই অবুঝ শিশুর দুধ, তিন বছরের ছেলের খাবার, তাদের দু’বেলা দু’মুঠো ভাত আর নেকড়ের মতো ওঁত পেতে থাকা অন্ধকার ভবিষৎ স্ত্রীর মগজে ঘুরপাক খাচ্ছে । কান্না জড়ানো কণ্ঠেই বললেন— তোমার জন্য চা বানিয়ে আনছি ?
— এখন কিছুই খাওয়া যাবে না । ডাক্তার খালি পেটে যেতে বলেছেন ।
স্বামীর দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে— তুমি ওটা বিক্রি করবে না ।
স্বামী রেগে মুখ বাঁকালেন— কী বললে ! আমরা কি শিশু ? চাইলেই তো আর ছেলে-মানুষি করা যায় না । আমি ওদের কথা দিয়েছি ।
— তুমি ওটা বিক্রি করবে না, বলে দিলাম ।
— কিন্তু গতকালও তো তুমি রাজি ছিলে ।
এবার স্বামীর দিকে সামান্য এগিয়ে গিয়ে একই মাদুরের উপর মেয়ের পাশে বসলেন— কাল রাতে আমি এক ফোঁটাও ঘুমাইনি । সারা রাত ধরে ভেবেছি । তুমি ঘুমিয়ে পড়ার পর শুধুই কেঁদেছি; ভোর চারটে পর্যন্ত কেঁদেছি । তোমার ক’টা কিডনি আছে বলো ? দু’টোর বেশি তো নয় । মানলাম তুমি এখন যুবক, বেশ শক্ত-সমর্থ । কিন্তু চার-পাঁচ বছর পর, দশ বছর পর, তখন কী হবে ? কোনো কারণে তোমার অন্য কিডনিটা যদি নষ্ট হয়ে যায় তখন কী করবে ? ধুকেধুকে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে ? অধিকাংশ মানুষ এখন কিডনি-রোগে আক্রান্ত । কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে এমন লোকের সংখ্যাও ইদানীং কম নয় । তাহলে কী করে তুমি কিডনি বিক্রির কথা ভাবছ ! তাছাড়া একটা কিডনির দাম কত ? একটা কিডনি বেচে তুমি ক’ টাকা হাতে পাবে ? আর যা পাবে তা দিয়ে ক’ মাসই বা চলা যাবে ? খুব বেশি হলে চার মাস, রাতে আমি শুয়ে শুয়ে হিসেব করে দেখেছি । তারপর কী বেচবে ? চোখ ? না, এসব বেচা-বিক্রি আর নয় । টিভি, ফ্রিজ, খাট, কার্পেট, এসি সব বেচে শেষ । এখন আমাদেরকে মাটিতে শুতে হয় । যথেষ্ট হয়েছে, আর না !
— তাহলে কি ছেলে-মেয়েকে না খাইয়ে মারবো?
— রাজা’কে আমি আলি ভাইয়ের মায়ের হাতে তুলে দেব ।
স্ত্রীর এ কথা শুনে চমকে উঠলেন, নিজের কানকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি— কী বললে, কিডনির বদলে আমরা সন্তান বিক্রি করবো ? এটা ভাবলে কী করে তুমি !
— না, আমরা ওকে বিক্রি করছি না । আমি কথা বলেছি উনার সাথে । উনি এবং উনার স্বামী, তাঁরা দু’জনেই কাগজে সই করতে রাজি আছেন । সেই চুক্তি অনুযায়ী চাইলেই আমরা আমাদের মেয়েকে, যখন অবস্থা একটু স্বচ্ছল হবে ফেরৎ নিতে পারবো । তাছাড়া তিনি বলেছেন, রাজা’র সাথে আমরাও যদি তাঁর বাড়িতে গিয়ে থাকি, তাতে আপত্তির কিছু নেই। তিনি কিছুই মনে করবেন না । বরং খুশিই হবেন । চার ছেলে দেশ ছাড়ার পর তাঁর বিশাল বাড়িটা এখন খাঁ খাঁ করছে । দোতলা-বাড়ি; উপর-তলা পুরোটাই ফাঁকা, চার-চারটা শোবার ঘর একেবারেই খালি । তারাও চায় বাড়িটা একটু প্রাণ ফিরে পাক ।
— আমি মেয়েকে বেচতে পারবো না ।
— বেশ । তবে তোমাকে যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে; হয় আমাকে, না হয় কিডনি-বিক্রি । যদি হাসপাতালে যাও তাহলে ফিরে এসে আর আমার দেখা পাবে না ।
[আল্-আ-দা-ব, সংখ্যা ২০০২- ১১/১২, পৃষ্ঠা ১০৮ – ১১০]
[ মাহমুদ সায়িদ ইরাকি ঔপন্যাসিক। থাকেন আমেরিকাতে । তাঁর উপন্যাস ও ছোটগল্প সংকলনের সংখ্যা ২০-এর অধিক । প্রথম গল্প সংকলন ‘বূর সা‘য়ীদ ওয়া ক়াস়াস় উখ়রা’(সায়িদ-বন্দর এবং অন্যান্য গল্প) প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে । ১৯৬৩ সালে ইরাক সরকার তার দু’টি উপন্যাস নষ্ট করে দেয় । অতঃপর ১৯৬৮ সালে ‘আল্-ইক়া’ ওয়াল্-হাজিস’ এবং ১৯৭০ সালে ‘যান্ক়াহ্ বিন বারাকাহ্’ নামে তাঁর আরও দু’টি উপন্যাস বাজেয়াপ্ত করা হয় । পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ‘আত়্-ত়া’নাহ্’ এবং ২০১০ সালে ‘ওয়াদিউল্ গ়ায্লান’ নামের আরও দু’টি উপন্যাসকে বাগদাদ সংস্কৃতি সংসদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে । সাদ্দাম হোসেনের বা’থ়্ পার্টির শাসনামলে তাঁকে বেশ ক’বার কারাবরণ করতে হয় । ফলে ১৯৮৫ সালে তিনি পাকাপোক্ত ভাবে ইরাক ত্যাগ করেন । ‘নিহাইয়াতুন্ নাহার’ (দ্য এন্ড অব দ্য ডে লাইট ১৯৯৬, উপন্যাস), ‘ত়ুইয়ূরুল্ হ়ুব্বি ওয়াল্-হ়ার্বি’ (দ্য বার্ডস অব লাভ এন্ড ওয়ার ১৯৯৭, ছোটগল্প সংকলন), ‘আল্-মাওতুল্ জামীল’ (দ্য বিউটিফুল ডেথ ১৯৯৮, উপন্যাস), ‘আদ়্-দ়াল্লান’ (টু লস্ট সোল ২০০৩, উপন্যাস) তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি । তবে তাঁর সর্বাধিক বিখ্যাত ও অমর কীর্তি হল ‘সাদ্দাম সিটি’ (অনূদিত ২০০৩, আরবি নাম- ‘আনাল্-লাযী ‘আরা’ ১৯৮১) উপন্যাসটি । আল্-আ-দা-ব ২০০২-১১/১২ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘স়াবাহ়ুন্ মুর্রুন্’ (তিক্ত সকাল) নামের এই ছোটগল্পে তিনি বর্তমান সময়ের সংকটময় আর্থসামাজিক প্রেক্ষিতে দারিদ্র্যের কাছে পিতামাতার নৈতিকতা ও বাৎসল্যের অসহায় আত্মসমর্পণ ও দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তুলেছেন ।]আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
Tags:
অনুবাদ