শর্মিষ্ঠা ঘোষ

গল্পটা উলু এবং খাগড়ার
গল্পটা উলু এবং খাগড়ার। তারপর তাদের দেখা হোল বেনাবনে। কোন হালার পুত মুক্তো ছড়িয়েছিল সে ব্যাটাকে একবার বাগে পেলে হয়। সে যা হোক , জাহান্নম রচনায় কোন অনুস্বার বিসর্গ ছিল না। চন্দ্রবিন্দুটি যথাযথ শোভায় ঝিকিমিকি চাঁদ ঝিলিমিলি তারা। খোলা জানালায় তখন চুমু চুমু উৎসব। 

সব্ দিখানে কে লিয়ে বস্। সব হাততালি আর ঈর্ষাখালি বালির পুকুরে ভাসান দিতে দিতে গোল মটুসোটু একটা মুনিয়া এসে বসল গ্রিলের শিকে। তাকে আরো অনায়াস দিতে গতায়াতে কেটে দেওয়া হোল লোহা। গারদ কি আর যে ঝনঝন থাকবে তখন খালি কথাকলি তখন মোহ ঘুঙুর। তখন পঞ্চমী চাঁদ তখন হলুদ পাঞ্জাবী তখন পলাশ ফুটুক না ফুটুক ভ্যালেন্টাইন দিন। হলুদ সোয়েটারে সস্তা ভুটিয়া মার্কেট তখন আরো এমনি এমনি সব পীরিতি কাজলে নবঘন রাধেশ্যাম তখন বৃষ্টি নামলে এক ছাতা ঘনঘন রিমঝিম মেরা কুছ্ সামান তুমহারে পাশ ... 

তারপর একটা নদীর পার ভাঙছে তো ভাঙছেই মাটি সরে সরে যাচ্ছে পা ছুঁচ্ছে পাঁক আর ঘোলাজল বাহার আটকে গেছে পৌনে বসন্তে। তার ডট্ ডট্ রাস্তা ভুলে ঢুকে পড়ল কানা গলিতে আর কড়া ঝিম্ ঝিম্ মাথা ধরা একলা একলা উদ্ভ্রান্তের মত ছুটছে তো ছুটছেই ... দরজাটা কেউ নিয়ে রেখে গেছে কোথায় তার আর পর নেই ... না না সীমান্ত জুড়ে ঘর বাঁধা হারিয়ে যাওয়া ফুরোচ্ছে না তো নাই ...।



Previous Post Next Post