কাজী রুনা লায়লা খানম

কাজী রুনা লায়লা খানম
জে এন ইউ, শাহিনবাগ এবং সর্বোপরি দিল্লীর ভোটের ফল যখন প্রমাণ করছে "জাতের নামে বজ্জাতি"র বিরুদ্ধে মানুষ আজ সঙ্ঘবদ্ধ। সোচ্চার। তখন দু হাজার ষাট সালে মুসলমানের সংখ্যা কি হবে তারই কাল্পনিক পরিসংখ্যান আবিষ্কার করার হাস্যকর চেষ্টা করা এবং তা প্রচার করার মাধ্যমে চিন্তাশক্তির উর্বরতা প্রমাণ ছাড়া আর কিছু যে হয় না এটা শিশুও বোঝে। চল্লিশ বছর পর কি হবে সেটা না ভেবে দেশে একটা কঠোর আইন প্রণয়ন করুন। দুটোর বেশি শিশু জন্মালে তার নাগরিকত্ব রাষ্ট্র দেবেনা। প্রয়োজনে জনক জননীর নাগরিকত্বও কেড়ে নেয়া হবে। কিন্তু আপনিও জানেন, আমিও জানি, তিনিও জানেন এটা করবে না সরকার। কারণ তাতে করে তো হিন্দু-মুসলিম খেলাটা চালিয়ে যাওয়া যাবে না।'মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ' কমে গেলে রাজনীতিটা হবে কি করে?

সবচেয়ে আশ্চর্য লাগলো আমার বন্ধুতালিকাভুক্ত একজন শিক্ষিতা, আলোকপ্রাপ্তা এবং একজন শিক্ষিত,সচেতন (তাঁরা নিজেকে তা ই মনে করেন) মানুষ সেই কাল্পনিক পরিসংখ্যানের লিঙ্ক শেয়ার করে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে কি কি হতে পারে, তার জন্য কি প্রিকরশন নেয়া উচিত সেসব বাৎলাচ্ছেন।কেউ কেউ তো আবার নিজের কৃষ্টি কালচার পর্যন্ত বিসর্জন থেকে আজ থেকেই হিজাব পরার নিদান দিচ্ছেন আমজনতাকে। বলি সারাক্ষণ মাথার মধ্যে বিদ্বেষ পুষে না রেখে একটু দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসুন না, সবাই মিলে সরকারকে বাধ্য করি জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনটা বলবৎ করতে। ওই যেমন আপনারা 'তিনতালাক 'আইনের সময় করেছেন, তিনশো সত্তর ধারা বাতিলের সময় করেছেন। এবারেও আসুন না। এতে দেশ বাঁচবে জনবিস্ফোরণের হাত থেকে। আপনারাও সেফ থাকবেন মুসলিম ফোবিয়া থেকে। প্লিজ একবারটি আসুন।কথা দিচ্ছি আমি নেতৃত্ব দেবো।আর যুগশঙ্খকেও বলিহারী। আরে ভাই, দেখছেন তো মানুষ জাত নয় ভাত চাইছে, কাজ চাইছে, নিরাপত্তা চাইছে, আইডেন্টিটি চাইছে। দিল্লী জাগছে। দেশ জাগছে। বরং এসব নিয়ে বলুন।


Previous Post Next Post