রুমকি রায় দত্ত

ভ্রমণ ডায়েরির পাতা থেকে
মুক্তর শহর হাইদ্রাবাদঃ

ভারতবর্ষ সত্যিই বিচিত্র দেশ। আর এই বিচিত্রদেশের অতি বিচিত্র জনজাতি এই আমরা বলতে পারেন বাঙালিরা। খাই নাখাই বছরে ক’টাদিন ঘুরতে যাওয়া চাই। ঘোরার নেশা যে মাদকের থেকেও ভয়ঙ্কর সেটা এ নেশায় আসক্ত প্রতিটি মানুষই জানেন। না,এমন নয় যে এই বিশ্বের বাঙালিরাই একমাত্র ভ্রমণ প্রিয়। অনেক বিদেশি পর্যটকও সুদূর থেকে ছুটে আসেন আমাদের ভারতবর্ষকে দর্শন করতে, ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের মানুষও নজরে আসে, তবে এখনও পর্যন্ত যেখানেই ঘুরতে গিয়েছি সব জায়গার তুলনামূলক বাঙালির উপস্থিতিই বেশি চোখে পড়েছে। নেহাতই আমবাঙালি হলেও এ নেশার আসক্তিতে আমি ও আমার পরিবার রীতিমতো নেশারু হয়ে উঠেছি। বছরের প্রথমেই ঘুরে এসেছি রাঁচি। ক’টা মাস কেটেছে সবে। মনটা অস্থির হয়ে উঠল। বর্ষার প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়তেই মনে হল সমুদ্রের ডাক শুনতে পাচ্ছি। খুব ইচ্ছা হল বিস্তীর্ণ সমুদ্রতটে শুয়ে রাতের আকাশের তারা গুনি। অস্থির হয়ে উঠল মন সমুদ্রের ডাকে কিন্তু বললেই যে বেরিয়ে পড়া যায় না! প্রতিবন্ধকতাও তো আছে। প্রতিবার দেখেছি শুধু কটাদিন ঘোরা নয়, ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতিও এক রকম ঘোরার আনন্দ দেয়। কোনো ট্রাভেল এজেন্সি নয়, নিজেই সমস্তটা আয়োজন করি। তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে থেকেই অদ্ভুত এক প্রস্তুতি ভ্রমণের আস্বাদ নিতে নিতে বেশ কয়েকটা মাস কেটেও যায়। তার সাথে আগামী ভ্রমণ নিয়ে একটা কল্পনাভ্রমণ তো আছেই। ঠিক করলাম, সমুদ্র যখন ডেকেছে, তখন সমুদ্রেই যাব তবে, দীঘা বা পুরী নয়। বেশ কয়েকবছর পরপর পাহাড়, জঙ্গল, ঝরণা নিয়েই কেটেছে, ঐতিহাসিকস্থান দেখা হয়নি। অনেক ভেবে ঠিক করলাম হাইদ্রাবাদ যাব ইতিহাসের টানে আর বিশাখাপত্তনম যাব সমুদ্রের টানে। শুরু হল প্রস্তুতি। দুটোস্থানকে একসাথে জুড়ে একটা দিন দশেকের ভ্রমণ পরিকল্পনা। একে একে টিকিট কাটা। কোলকাতা থেকে সেকেন্দ্রাবাদ, সেখান থেকে রাতের ট্রেন খুঁজে বিশাখাপত্তনম,আরাকুর ট্রেনের টিকিট, আবার বিশাখাপত্তনম থেকে কোলকাতা ফেরার টিকিট। টিকিট কাটার আগেই পুরো প্ল্যান করে নিয়েছিলাম কোথায় কদিন থাকবো আর কি কি দেখবো।

আমাদের এবারের ভ্রমণ সূচি অনুযায়ী আমরা প্রথম যাব হাইদ্রাবাদ, সেখান থেকে ভাইজ্যাক,আরাকু। হাইদ্রাবাদ থেকে ভাইজ্যাক যাওয়ার পথে বিজয়ওয়ারা বলে সুন্দর একটা ঐতিহাসিক জায়গা আছে,কিন্তু দশদিনের ভ্রমণে অনেক কষ্টেও ঐ স্থানকে ঢোকাতে পারলাম না বলে মনে একটা দুঃখ যদিও বাসা বেঁধেছিল,তবে ট্রেনে ওঠার পরেই অজানাকে জয় করতে যাওয়ার মতো এক বাঁধভাঙা আনন্দে সে দুঃখ কোথায় যেন উড়ে গেল ডানা মেলে। ট্রেনের দুলুনিভরা রাতের শেষে ভোর হল যখন,দেখলাম ট্রেন একটা স্টেশনে থেমেছে। অজানা পথে চলতে চলতে এমন ছোটো ছোটো অজানা স্টেশন দেখলে আমার কেমন যেন স্বপ্নের মতো সুন্দর মনে হয়! মনে কতশত গল্পেরা ভিড় করে! ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুর দিক সঙ্গে আবার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা, সকালটা বেশ হিমেল! হালকা একটা চাদরের নিচে লুকানো ওম ভরে নিতে নিতে কাচ দিয়ে বাইরে তাকাতেই দৃষ্টি স্নিগ্ধতায় হারাল। একটা মানুষ মাথা ঝুঁকিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। দূর থেকে হেঁটে আসছে দুটি স্কুল পড়ুয়া। নির্জনে পড়ে আছে একটা কাঠের বাঁকানো টানা চেয়ার। তার মাথার উপর থেকে ঝুলে আছে থোকা থোকা ঘন বেগুনি রঙের বোগেনভেলিয়া। ঐ গাছটার গা-ঘেষে দু’পাশে মাথা তুলে আছে সাদা বোগেনভেলিয়া। ফুলে ফুলে ভরে আছে গাছগুলো,মাঝে মাঝে জেগে আছে সবুজ পাতারা। হালকা হাওয়ায় দুলছে। তিরতির করে কাঁপছে। কাঁপছে আমার মনের ভিতরও, মনটা পাখি হয়ে উড়ে যেতে চাইছে। হাতে এক কাপ গরম চা ধরে চুমুক দিলাম,আর অমনি নড়ে উঠল ট্রেন। ট্রেনের চাকার ঘূরণ দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু একটু একটু করে পিছিয়ে যাচ্ছে গাছগুলো বসার বেঞ্চটা। দূর থেকে আসতে দেখেছিলাম যাদের, এক সময় তাদের পাশ দিয়ে গতি বাড়িয়ে ছুটতে শুরু করল ট্রেন।ওরাও তাকিয়ে দেখছে। ট্রেন দেখছে। আমি ওদের দেখছি,কিন্তু ওরা আমাকে দেখতে পাচ্ছে না। একটা সুন্দর লুকোচুরি খেলা যেন! দরজার ছোট্ট ফুটো দিয়ে দুনিয়া দেখার মতো। একটু একটু করে বেলা বাড়ছে। শীতের কুয়াশার স্তর ধীরে ধীরে সরে গিয়ে সূর্যকিরণ ছড়িয়ে পড়ছে। যেন একটা মোড়ক ছেড়ে জেগে উঠছে পৃথিবী! বেলা ন’টা প্রায়। প্রকৃতি দেখতে দেখতে ছুটে চলেছি। কখনও বিস্তীর্ণ ধূ ধূ ফাঁকা জমি,আবার কখনও সবুজের ছোঁয়া। এমনই এক রুক্ষ উঁচু-নিচু জমির মাঝে হঠাৎ নজরে এল ময়ূর। চোখের নিমেষে ছুটে চলে গেল কোথায়! ভাবলাম, ভুল দেখলাম না তো! এখানে এভাবে ময়ূর দেখা যায় জানা ছিল না। তবে এপথে প্রায় যাওয়া-আসা করেন,এমন এক সহযাত্রীর কাছে শুনলাম, দেখা যায়। তবে আমি ঠিকই দেখেছি।

প্রায় সাড়ে এগারোটার দিকে পৌঁছে গেলাম সেকেন্দ্রাবাদ। ভারতের বাণিজ্য আর তথ্যপ্রযুক্তি নগরী নামে পরিচিত এই স্থানকে বলা হয় হাইদ্রাবাদের ‘জমজ শহর’। এখান থেকে হাইদ্রাবাদের দূরত্ব ১০ কি.মি.। মাঝে রয়েছে কৃত্রিম লেক ‘হুশেন সাগর’। স্টেশনে নেমেই বেশ মজার দৃশ্য চোখে পড়ল। ভাসমান জনস্রোতের মুখে সাদা মাস্ক। মনে পড়ে গেল ব্যাগে রাখা মাস্কের কথা। আমাদের গুলো অবশ্য সেই কাপড়ের তৈরি। রোদ,জল,ধুলো থেকে বাঁচালেও জীবাণু কতটা আটকায় মনে অনেকটা সন্দেহ নিয়ে তাড়াতাড়ি পড়ে নিলাম,আর এমন ভাবে গা-বাঁচিয়ে চলতে লাগলাম যেন সবাই অচ্ছুত। এখন মনে পড়লে ভীষণ হাসি। কিন্তু সেই মুহূর্তে সত্যিই মনে হচ্ছিল,ভিড় থেকে বেড়িয়ে যেতে পারলে যেন বিপদ মুক্ত হয়ে যাব। যাইহোক, বাইরে এসে দেখলাম, অটো,ট্যাক্সি সবই আছে। একটু হেঁটে বাইরের দিকে এসে একটা অটো ঠিক করলাম। কাকাবাবু তেমনই বলে ছিলেন। কাকাবাবু শুনে সবাই ভাবছেন না তো সেই বিখ্যাত চরিত্রের কথা? না, এ কাকাবাবু আমাদের পরিচিত একজন। হাইদ্রাবাদের হিয়ামতনগরে থাকেন। কত্তামশাইয়ের কলিগের কাকা। অটো ছুটে চলল। বেশ কিছুটা পথ পেরিয়ে অটো ছুটতে শুরু করল দীর্ঘ এক সেতুর উপর দিয়ে। এমন সুন্দর সাজানো সেতু আগে কোথাও দেখিনি। পার্কের মতো সাজানো, বসার জায়গা ভিতরে।সবুজ ঘাসের গালিচা ঘেরা,মাঝে মাঝে মরশুমি ফুলের বাহার। বারবার মনে হচ্ছিল,জিনিসপত্র সঙ্গে না থাকলে নেমে যেতাম মাঝপথেই।


মোটামুটি পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম,হাইদ্রাবাদ হিয়ামতনগর। কাকাবাবু আমাদের জন্য একটা হোটেল বুকিং করেই রেখেছিলেন। সেখানে পৌঁছে দেখলাম,তিনি আমাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। অচেনা শহরে কেউ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন ভাবলেই মনটা কেমন যেন আনন্দে নেচে ওঠে। এক শ্বেতশুভ্র পোশাকে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালেন বৃদ্ধ মানুষটি। শ্রদ্ধায় অবনত হল চোখ। বড় রাস্তার উপরেই একটা সুন্দর ছিমছাম হোটেলে আমাদের তিনদিনের অস্থায়ী ঠিকানাটা নিশ্চিত হতেই মনে হল শহরটা যেন কত আপন! তিন দিন থাকি বা তিন মুহূর্ত ঘুরতে গেলে সেই জায়গাকে যদি মনে স্থান না দেওয়া যায়,তবে সে স্থানের দ্রষ্টব্য কোনো কিছুর সাথে মনের একাত্মতা ঘটে না। 

আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে কাকাবাবু ফিরে গেলেন বাড়িতে। দীর্ঘ ট্রেনযাত্রার ক্লান্তি মেটাতে আমরা স্নান সেরে হাইদ্রাবাদের বিখ্যাত খাবার দিয়ে জমিয়ে লাঞ্চটা করে নিলাম। ঘড়িতে তখন দুপুর দুটো। আপাতত ঐদিন আমাদের আর কোনো কাজ নেই। বিকেলটা পুরো পড়ে আছে। ঘন্টাখানেক রুমে বিশ্রাম নিয়ে, ঠিক তিনটের দিকে ঠিক করলাম হাঁটতে বেরব। হোটেলের রিসেপশন থেকে জানতে পারলাম,খুব কাছেই একটা পার্ক আছে। অটোতেই যাওয়া যাবে। লিফ্‌টে নিচে নামতেই সামনে স্টিলের রেলিং ঘেরা সরু বারান্দার গা-ঘেঁষে শুয়ে আছে কালো পিচের রাস্তা। সামনে দিয়ে ছুটে চলেছে বিভিন্ন যানবাহন। একটা অটোকে হাত দেখাতেই থেমে গেল। বললাম- লুম্বিনি পার্কে যাব। আর যদি কোনো দেখার জায়গা থাকে নিয়ে চলুন।

অটোড্রাইভার জানালেন,লুম্বিনি পার্কের আগে বিড়লামন্দির আছে। তিনি আমাদের সেখানে ছেড়ে দেবেন। সামনে একটা ঢালু বাঁধানো রাস্তা উপরের দিকে উঠে গিয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু মানুষ কেউ ঢাল বেয়ে নেমে আসছে,কেউ চড়াই পথে উপরে উঠছে। আমরাও চড়াই পথে পৌঁছালাম প্রবেশ দ্বারের সামনে। সিকিউরিটি চেকিং আছে। ক্যামেরা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। জমা রাখারা জায়গা আছে। সেখানে জমা রেখে এগিয়ে চললাম দুধসাদা মন্দিরের দিকে। মনোরম এই সৌন্দর্য কথায় বলা সম্ভাব নয়। অপূর্ব কারুকার্যের গায়ে আটকে যায় চোখ। সাদা রঙের গায়ে পড়ন্ত রোদের রং মনকে চুরি করে নিতে বাধ্য। সন্ধের আগেই পৌঁছাতে হবে পার্কে।খুব বেশি সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে এলাম বাইরে। নেমে আসছি উতরাই ধরে,হঠাৎ চোখ পড়ল নিকষ কালো এক বিশাল আকারের মূর্তির দিকে। নামার পথে বাঁ-হাতে দাঁড়িয়ে একহাত ঊর্ধে তুলে চক্রধরা,অন্যহাত নিচে। সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মুখ তুলে দেখলাম,সেই কালো বিষ্ণুমূর্তিকে। কেমন যেন, এক অনুভূতি হল। বুকের ভিতরটা শিরশির করছে যেন! ঐরকম কালো দীর্ঘাকার বিষ্ণুমূর্তিটি পড়ন্ত আলোতে যেন ভীষণ রহস্যময় মনে হল,ভীষণ জীবন্ত!


বেরিয়ে কিছুটা সামনে এগোতেই পেয়ে গেলাম লুম্বিনি পার্কের অটো। খুব বেশি দূর নয় বিড়লা মন্দির থেকে। হুসেন সাগরের কিনারা ধরে গড়ে উঠেছে সুন্দর একটা পার্ক। প্রবেশ পথে সিকিউরিটি চেকিং সেরে একটা কাউন্টার থেকে লাইট এ্যন্ড সাউন্ডের টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। বেঞ্চে বসে, সবুজ ঘাসে পা রেখে দূরের ঐ লেকের জলের দিগন্ত ছোঁয়া সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যেন সন্ধে নেমে এল। লেকের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সেই বিশ্বের সব থেকে উঁচু বৌদ্ধমূর্তি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ভেবেছিলাম দূর থেকেই দেখব,কিন্তু শেষ মুহূর্তে মনে হল গেলে হত! দেখলাম একটা স্পিডবোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দ্রুত হেঁটে এগিয়ে গেলাম। জানলাম এটাই ঐ দিনের শেষ স্পিডবোর্ড। তাড়াতাড়ি টিকিট কেটে উঠে পড়লাম। দু’পাশে জলকেটে সুন্দর ছুটে চলেছে স্পিডবোট। ছোটো ছোটো তরঙ্গের গায়ে ঠিকরে পড়ছে আলো।যতক্ষণ পাড়ের কাছে ছিলাম,পার্কের আলো,বোট যত এগোতে লাগল বুদ্ধমূর্তির চারপাশ থেকে ছড়িয়ে পড়া আলো। ভেসে যাচ্ছে তরঙ্গের সঙ্গে। পৌঁছে গেলাম সেই বুদ্ধমূর্তির পাদদেশে। পনেরো মিটার উচ্চতার একটা বাঁধানো স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে আঠারো মিটার উচ্চতার সাদা বুদ্ধমূর্তি।চারিদিক থেকে আলো এসে পড়ছে ঐ মূর্তির গায়ে। তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন.টি.রামারাও স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই বুদ্ধমূর্তিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একটি অখন্ড পাথরের গায়ে খোদায় করে তৈরি করা হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ বুদ্ধমূর্তি। হাইদ্রাবাদ থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. দূরে নালগোন্ডার কাছে পাওয়া যায় এমনই এক সাদা গ্রানাইট পাথর। প্রায় ১০০ জন শ্রমিকের সহায়তায় নির্মিত হয় ৩৫০ টন ওজনের এই মূর্তিটি। মূর্তির বেসমেন্টে আঁকা আছে বিভিন্ন চিত্র। এই বিশাল ওজনের মুর্তি জলপথে লেকের মাঝে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় কিছু মানুষের। সন্ধের পরে অপূর্ব মায়াময় হয়ে ওঠে এইস্থান।


বেশি সময় থাকা যাবে না, লাইট এ্যন্ড সাউন্ডের টিকিট কাটা আছে। কিছুক্ষণ ঘুরেই ফিরে এলাম বোটে। ঘন কালো হুসেন সাগরের বুকে ভেসে ফিরতে ফিরতে পিছনে ফিরে দেখলাম অপূর্ব মোহময় লাগছে মূর্তিটাকে। একটা হালকা বেগুনি শোভামন্ডিত বিশালাকার বুদ্ধমূর্তি যেন হাত তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন শান্তির বাণী। 

খোলা আকাশের নিচে শুরু হল লাইট এ্যন্ড সাউন্ড শো। হাইদ্রাবাদের ইতিহাস ফুটে উঠতে লাগল। একটি ঘন্টা কোথা দিয়ে যেন কেটে গেল। এবার হোটেলে ফেরার পালা। পরেরদিনটা কাটবে কোথায়?...সে কথা পরের পর্বে বলব।

ক্রমশ...

Previous Post Next Post