কক্ষপথ
ঘুম ভাঙ্গার পর
সব কাজের আগেই
কাগজ কলম নিয়ে বসতে হয়
প্রথমে তারিখ লিখি
তার পাশে মৃত্যু
তার পর সম্ভাব্য কারন
তার পর আনুমানিক সময়
তার পর সারাদিন ধরে
হাবিজাবি ফরমায়েশি
কুঁচো কুঁচো ঘটনা
ইত্যাদি প্রভৃতি
রোজ লিখি
পাতা ভরে
লেখা উপচে পড়ছে দেখলে
অরুনা রাগ করে
অরুনা অপচয় একদম মেনে নিতে পারে না
আমি তো আমার সারাটা জীবন অপচয়ই করলাম অরুনা
অরুনা আমার উপচে পড়া লেখা গুলো
তুলে নিয়ে যায়
জমিয়ে রাখে
লক্ষীপুজোর আগে দেখতে পাই
কাঁসার ছোট্ট বাটিতে
অল্প জলে গুলে
আমার উপচে পড়া লেখা গুলো
মাটিতে পেতে দেয় অরুনা
ঠিক আল্পনার মতো দেখায় সেসব।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অরুনা কাগজ পড়ে
আমি তখন লিখতে লিখতে ঢুলি মাঝেমধ্যে
ঘুমিয়ে পড়ি না কখনোই
তখন উনুনে কাগজ জ্বালিয়ে
অরুনা চা বানিয়ে আনে
মুখোমুখি আমি আর অরুনা
মাথার উপরে স্কাইস্ক্র্যাপার
তার উপরে বোমারু বিমানের দল
সারি বেঁধে উরে যায়
রাতের খবরের তর্জমা দেখে
অরুনা বিশ্বযুদ্ধের বাজি ধরে
আমি আশ্চর্য প্রদীপ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে
উন্মাদের মতো জাপটে ধরে
অরুনা কে চুমু খেয়ে ফেলি
অরুনা শান্ত হয়ে তাকিয়ে থাকে
আমার উপদ্রব গুলোর খুব যত্ন করে ও
অরুনা আমার অভ্যেসের মতো
অরুনা কে আমি ভালোবাসি
আর তাই রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে
মৃত্যুর পুরো কলামটা
কেঁটে বাদ দিয়ে দিই
ঠিক, রাষ্ট্র যেভাবে কাল মুসলমান বাদ দিলো ।।
সুচিন্তিত মতামত দিন