জয়া চৌধুরী

জয়া চৌধুরী
খন্ড

খন্ডের সমস্যায় প্রতি মুহূর্তে ভুগি। থলে হাতে
মাছওয়ালা র দ্বারস্থ যখন পোনা মাছের দাগা বা পেটি
বৃহৎ খন্ড না ব্লেডের মত পাতলা নমনীয় রমণীয় সে সমস্যা
আবার ধরুন কসাই ছেলেটি জানে রাং এর টুকরো থাক না থাক
আকার কিন্তু মাঝারি সই। ট্যাঁকে তেমন টাকা না থাকলে
সেনসেক্সের সূচকের মত খন্ড প্রলাপে ভুগি।
বচ্ছরকার উৎসবের ঘোরে ভুটাভুটির জন্য লাইনে দাঁড়াই
খন্ডের আক্রমণে সেখানেও একটা কিছু স্থির করি।
ও নেতার বায়োডাটা দেখে ফেখে কিছু হয় না মশাই! হাতের
মোবাইলে দ্রুত হিসেব কষে নিই লোকটার কোন খন্ডে
আমার তুলনামূলক কম ক্ষতি। আর যা হয়... মিউচুয়াল ফান্ডে
বিনিয়োগের ঝুঁকির মতই কখনো খন্ড জেতায় কখনো অন্ড সই।
মিছরি, নকুলদানা বাঁধা আমার ছোট্ট সিংহাসনে। তারপরেও সোহাগী বিবিকে
আলগোছে জমাদারনীর মাস মাইনে ফেলে দিই আঁজলায়। বুদ্ধ চৈতন্য নবী খৃষ্ট
মাথায় থাকুন। ওঁয়াদের তো আর সংসার চালাতে হয় না!
সমস্যা শুধু শেষের বেলায়। ছেলে তার মাষ্টার বেডরুম
গেস্টরুম রিডিংরুম ড্রইং ক্লিনিং বেদিং ফিশিং সব রুমের পরে
যখন মায়ের খন্ডে রুম তো দূর রুমাল ও দিতে রাজী হয় না।
তখন আবার ভাবি...
বরাবর আমরা খন্ডের সমস্যায় ভুগি

Previous Post Next Post