বিশ্বজিৎ দেব

বিশ্বজিৎ দেব
বাংলা কবিতা 

কে যে তুমি দিন লেখো,রাত লেখো
পাতায় পাতায়, কাজলের কালিতে লেখো ফোঁটা ফোঁটা চোখের বর্ননা, অস্পষ্টতা 
সরে গেলে দেখি কাঠের আদল, দেহের দুরত্বগুলি মেপে নেয় পরিধির ছায়া 

বর্ননার শেষটুকু তাই আলিখিত ফেলে নদী চলে যায়, ভাঙনের পরিসর থাকে
সাপে কাটা নসীবের মতো গ্রাম থাকে লোহার বাসর, ভাটিদেশ থাকে  ....


আবক্ষ 

টুকরোগুলো ছড়ানো ছেটানো
প্যারিসের প্লাস্টারে মোড়া 
আবক্ষ গোঙানো

এর বেশি আর কোন ব্যঞ্জনা নেই
তারা খসা রাতে কোন বর্ননাও নেই তার

শিল্পকলা ফেলে এই অভিমানে চলে যাচ্ছে
বিমূর্ত পাথর চলে যাচ্ছে
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদা ছেনি কাটা বাংলার শাখানদীগুলি 
আমাদের নির্বাচিত লোকালয় থেকে দুরে

যেখানে আকাশ  
অর্থহীন ইতিহাস খুঁজে 
চোরা প্লাস্টার, সাদা মেঘ আসে...


নবপত্রিকা 

নতুন করে কান্না লেখো নতুন করে নদী
নতুন করে জন্ম লেখো নতুন করে হৃদি 

অভিমান তার রয়ে গেছে যায় একা
শ্যাওলা জড়ানো তন্তুর পোকা
মরে গিয়ে যায় উড়ে তার পায় 
যন্ত্রণা যতো বোকা 

আমি তো তোমারই আকাশ
জানালায় দেখা অজানার রেখা
থেমে গেছে এসে বন্দর একা
বাতিঘর ঘীরে রাত নামে যার 
অবয়ব ঘীরে সঙ, ঈশানের কোনে
লিখে যায় রেখে বিদ্যুৎ তার বাঁকা.....  

নতুন করে সাগর লেখো
নতুন করে নোনা
নতুন করে অতল লেখো
নতুন করে চেনা

Previous Post Next Post