মাটিতে দাঁড়িয়ে
সত্যিই কি এ মাটি দুর্বল, বিশ্বাসহারা মাটি
যে ফুল ফোটে সূর্যের আলোতে, মাটির বুকে
সেও কি আজ কাটায় দিন আতঙ্কে ? কলকাঠি
নাড়ে এ যুগের ঘৃণ্যরোদ, ঝড়বৃষ্টি, সুখে অসুখে --
কে কোথায় দাঁড়িয়ে ? কোনটা কার নিবাস
রঙিন পাখায় ঢাকা ফুলের সৌহার্দ্য, সুবাস
যে রোদ মাথা থেকে ঝরায় শুধু ঘাম
পরিশ্রমের গড়ে তোলা ক্ষেত, হৃদয়ের ধাম
কেড়ে নিতে চাও তুমি, এ পৃথিবী নয় একা কারো
পবিত্র মাটিতে যতই ধর্মগাছ পোঁত, আরো, আরো
মিথ্যে মাটিতে দাঁড়িয়ে কেড়ে নিতে পার না তাদের আশ্রয়
আইন সে তো মানুষ কল্যাণে, কারও ক্ষতির কারণে নয়,
এসেছে কত শক, হুন, পাঠান, মোগল, ইংরেজ জাতি দল
সব বিলীন কালের গর্ভে, মানুষেরে করে অপমান
এ মাটিতে জন্মাল যে যুবক, এ মাটি আমৃত্যু ছায়াতল
মুর্খ রাজনীতি ছেড়ে জনস্বার্থে লাগাও ন্যায়ের সংবিধান ।
বাসভূমি
বিকেলের রঙে আলোকিত পেয়ারাতলায়
আড়ি পেতে শোনে ধূসর কাঠবিড়ালীর চোখ
গাছের মগডালে বাসা খুঁটে বেঁচে থাকা ছানা
কলকল স্বরে বহে যাওয়া নদীটির জল
ভিখারিনী মেয়েটির মাথায় কুড়ানো কাঠ
ক্ষুধার উনুনে রান্না হবে শোকের আহার
কেউ জানে, কোথা থেকে এসেছে এখানে
রুমেলা, নামের এক কচি মেয়েটির বাপ
আজও থিতু নেই, দুপাড়ের বনোয়ারী পাখি
পরিযায়ী, এক সময়ে আসে, ফিরেও যায়
তাদের তো নির্দিষ্ট কোন বাসভূমি নেই
আপন দেশে পরবাসী হয়ে থাকা এ জমিনেই ।
Tags:
একক কবিতা