দিনযাপন
বড় ভয় নিয়ে বাঁচা – আতঙ্ক নিঃশ্বাসে?
জগতের সব রং কালো হয়ে যায় ত্রাসে।
শিকার ও শিকারীর নাম পরিচয় জেনে
কিছু প্রতিবাদী গলা আছে নভ বিদারণে।
রক্তের রং লাল যদি তাজা বয়ে চলে;
সেই রং হয় কালো মৃতদেহ বাসী হলে।
কার আছে অনুমতি অনন্ত মৃগয়ার?
কার কাছে প্রাণ নাশ খোলে স্বর্গের দ্বার?
সবাই সবটা জানি করি না জানার ভান।
নিরপেক্ষতা পায় খুঁজে নয়া অভিধান।
কতগুলো মৃতদেহে প্রমাণ গ্রাহ্য হবে?
অনুপাত কত হলে অপরাধী চেনা যাবে?
নিরপেক্ষতা আজ পতাকার কাছে বাঁধা,
ধর্মের ধ্বজা তাই সুলভ মূল্যে সাধা।
তার মাঝে কিছু কথা মাথা কুরে কুরে খায়,
তার মাঝে শৈশব অকালে হারিয়ে যায়।
তার মাঝে কত ব্যথা বেবাক বিস্মরণে –
মৌলবাদানুবাদে মুছে যায় প্রতি ক্ষণে।
তার মাঝে কিছু লাশ পরিসংখ্যানে ভাসে;
আমাদের প্রতিবাদ অলীক দেওয়ালে হাসে।
এই ভাবে সব বোধ ভোঁতা হয়ে যেতে জানে,
আমরা যতই খুঁজি মানবিকতার মানে!
চক্র
সহস্রার নাগাল পাওয়া একে দুর্গম
তার ওপর মূলাধার বড়ো মোহময়।
হয়তো বা ছেড়ে আসা খুব কিছু নয়,
তবুও কি সত্যি তাকে ছেড়ে আসতে চাও?
ঘুরেফিরে কাটা ঘুড়ি মাটিতেই পড়ে,
বিষ ওঠে নাড়ি বেয়ে অমৃতের খোঁজে,
নামে কোন রসায়নে মণিপুর ছেড়ে?
তুমি বলো সংসার বীরের আবাস
পরমাত্মা – তিনিও বলহীনের লভ্য নন।
কিন্তু ‘বীরভোগ্যা বসুন্ধরা’র স্পর্ধাবাণী?
তাই দিয়ে বসুধাকে বেঁধে রেখে ফেলে,
প্রকৃতি পূজারি হয়েও তাকেই কাঁদাও?
সেই কান্না শুধু কেন নারী চোখ খোঁজে?
রক্তস্নান যেন তার অমোঘ নিয়তি!
এত অশ্রু, তবু কৈ প্লাবন কোথায়?
প্রলয় ঘটাতে পারি, কিন্তু বড়ো মায়া,
হাত-পা-মুখ-মন বাঁধা তার কাছে।
আক্রোশে ছুঁড়ে ফেলি কাঁচের বাসন –
তারপর আতঙ্কে নিজেই সাফ করি
পাছে কোনও পদাঘাতী পা কেটে যায়।
ক্ষমা করা অকর্তব্য জেনেও বারবার
শুশ্রুষা করে চলি স্বার্থপরতার,
কামনার বিষপান অমৃত জেনে।
শুভমস্তু
শুভ হোক নতুন সকাল যদিও কিছুই শুভ নয়
পশু বলি বন্ধ হতে পারে নারী মাংস ভোজ্য থেকে যায়।
মন্দিরে ঘণ্টা ধ্বনি বুঝি চিত্কার ঢাকবার ছল
ভোরের আজান দিয়ে কেউ হাতে তোলে খোলা তরোয়াল।
কোমলকে পায়ে ফেলে দলা প্রবলের মানবাধিকার –!
উভয়েরই শ্রেণীভাগ আছে সংখ্যায় লঘু কিংবা ভার।
পুরুষ সে পেশিবল বোঝে, আর শুধু আধিপত্য চায়;
আত্মসুখে ডুবে যেতে গিয়ে ধর্মকে বর্ম বানায়।
ধর্ম তো অজুহাত শুধু দেবালয়ে দানবের বাস,
মানুষ? সে যে দলের হোক আসলে তো পতাকার দাস।
লাশ নিয়ে সওয়াল জবাব – এটা দেখো ওটা কেন ভুলে?
এর বেলা মোমবাতি আছে ওর বেলা উঠেছিলে জ্বলে?
শিখিনি বাছাই অশ্রুপাত নীতিহীন নীতি কথা বলে।
এরা হলে গগন ফাটানো ভুলে যেতে হবে ওরা হলে।
শিখিনি বাছাই প্রতিবাদ; গলা চিরে চিৎকার করি
কামদুনি হলে যতখানি কাশ্মীরে তত আর্তনাদ!
তবু সেই স্রোতে ভেসে থাকি অতলে চাই না যেতে তাই,
রক্তে ডুবিয়ে পেনখানি কবিতায় আগুন ঝরাই...
গর্ভগৃহ
মুখে রঙের আস্তরণ
দেহে উন্মোচনের ইশারা;
আদিম পসারিণী-
নাকি আবহমানের দাসী?
পতিতপাবনী আজ নর্দমার বিকল্প
কোষে কোষে কর্কটের কড়া নাড়া
ফুলের রেণুও আছে চোরা আক্রমণে!
হে উপবীতধারী, গর্ভবাস
কি এর চেয়েও মলিন?
কত উদ্দেশ্যহীন শুক্রকোষ
প্রতিমুহূর্তে উৎক্ষিপ্ত হয়
দাসত্ব, পসার কিংবা একক প্রতিরোধকে
দলবদ্ধ হিংসায় ধ্বস্ত করে ।
সৃজন বেদনাময় নয় বলেই
বীর্যবান, তুমি এত ধ্বংসপ্রিয় !
অনর্থক নির্মাণের খেলা বিশ্বময়-
ঈশ্বরের নামে, কবিতার নামে,
সৌন্দর্যের নামে—নির্মাণের বিপণন ।
সেই নমাস ছিলাম অকৃত্রিম পবিত্রতায়।
বড় ভয় নিয়ে বাঁচা – আতঙ্ক নিঃশ্বাসে?
জগতের সব রং কালো হয়ে যায় ত্রাসে।
শিকার ও শিকারীর নাম পরিচয় জেনে
কিছু প্রতিবাদী গলা আছে নভ বিদারণে।
রক্তের রং লাল যদি তাজা বয়ে চলে;
সেই রং হয় কালো মৃতদেহ বাসী হলে।
কার আছে অনুমতি অনন্ত মৃগয়ার?
কার কাছে প্রাণ নাশ খোলে স্বর্গের দ্বার?
সবাই সবটা জানি করি না জানার ভান।
নিরপেক্ষতা পায় খুঁজে নয়া অভিধান।
কতগুলো মৃতদেহে প্রমাণ গ্রাহ্য হবে?
অনুপাত কত হলে অপরাধী চেনা যাবে?
নিরপেক্ষতা আজ পতাকার কাছে বাঁধা,
ধর্মের ধ্বজা তাই সুলভ মূল্যে সাধা।
তার মাঝে কিছু কথা মাথা কুরে কুরে খায়,
তার মাঝে শৈশব অকালে হারিয়ে যায়।
তার মাঝে কত ব্যথা বেবাক বিস্মরণে –
মৌলবাদানুবাদে মুছে যায় প্রতি ক্ষণে।
তার মাঝে কিছু লাশ পরিসংখ্যানে ভাসে;
আমাদের প্রতিবাদ অলীক দেওয়ালে হাসে।
এই ভাবে সব বোধ ভোঁতা হয়ে যেতে জানে,
আমরা যতই খুঁজি মানবিকতার মানে!
চক্র
সহস্রার নাগাল পাওয়া একে দুর্গম
তার ওপর মূলাধার বড়ো মোহময়।
হয়তো বা ছেড়ে আসা খুব কিছু নয়,
তবুও কি সত্যি তাকে ছেড়ে আসতে চাও?
ঘুরেফিরে কাটা ঘুড়ি মাটিতেই পড়ে,
বিষ ওঠে নাড়ি বেয়ে অমৃতের খোঁজে,
নামে কোন রসায়নে মণিপুর ছেড়ে?
তুমি বলো সংসার বীরের আবাস
পরমাত্মা – তিনিও বলহীনের লভ্য নন।
কিন্তু ‘বীরভোগ্যা বসুন্ধরা’র স্পর্ধাবাণী?
তাই দিয়ে বসুধাকে বেঁধে রেখে ফেলে,
প্রকৃতি পূজারি হয়েও তাকেই কাঁদাও?
সেই কান্না শুধু কেন নারী চোখ খোঁজে?
রক্তস্নান যেন তার অমোঘ নিয়তি!
এত অশ্রু, তবু কৈ প্লাবন কোথায়?
প্রলয় ঘটাতে পারি, কিন্তু বড়ো মায়া,
হাত-পা-মুখ-মন বাঁধা তার কাছে।
আক্রোশে ছুঁড়ে ফেলি কাঁচের বাসন –
তারপর আতঙ্কে নিজেই সাফ করি
পাছে কোনও পদাঘাতী পা কেটে যায়।
ক্ষমা করা অকর্তব্য জেনেও বারবার
শুশ্রুষা করে চলি স্বার্থপরতার,
কামনার বিষপান অমৃত জেনে।
শুভমস্তু
শুভ হোক নতুন সকাল যদিও কিছুই শুভ নয়
পশু বলি বন্ধ হতে পারে নারী মাংস ভোজ্য থেকে যায়।
মন্দিরে ঘণ্টা ধ্বনি বুঝি চিত্কার ঢাকবার ছল
ভোরের আজান দিয়ে কেউ হাতে তোলে খোলা তরোয়াল।
কোমলকে পায়ে ফেলে দলা প্রবলের মানবাধিকার –!
উভয়েরই শ্রেণীভাগ আছে সংখ্যায় লঘু কিংবা ভার।
পুরুষ সে পেশিবল বোঝে, আর শুধু আধিপত্য চায়;
আত্মসুখে ডুবে যেতে গিয়ে ধর্মকে বর্ম বানায়।
ধর্ম তো অজুহাত শুধু দেবালয়ে দানবের বাস,
মানুষ? সে যে দলের হোক আসলে তো পতাকার দাস।
লাশ নিয়ে সওয়াল জবাব – এটা দেখো ওটা কেন ভুলে?
এর বেলা মোমবাতি আছে ওর বেলা উঠেছিলে জ্বলে?
শিখিনি বাছাই অশ্রুপাত নীতিহীন নীতি কথা বলে।
এরা হলে গগন ফাটানো ভুলে যেতে হবে ওরা হলে।
শিখিনি বাছাই প্রতিবাদ; গলা চিরে চিৎকার করি
কামদুনি হলে যতখানি কাশ্মীরে তত আর্তনাদ!
তবু সেই স্রোতে ভেসে থাকি অতলে চাই না যেতে তাই,
রক্তে ডুবিয়ে পেনখানি কবিতায় আগুন ঝরাই...
গর্ভগৃহ
মুখে রঙের আস্তরণ
দেহে উন্মোচনের ইশারা;
আদিম পসারিণী-
নাকি আবহমানের দাসী?
পতিতপাবনী আজ নর্দমার বিকল্প
কোষে কোষে কর্কটের কড়া নাড়া
ফুলের রেণুও আছে চোরা আক্রমণে!
হে উপবীতধারী, গর্ভবাস
কি এর চেয়েও মলিন?
কত উদ্দেশ্যহীন শুক্রকোষ
প্রতিমুহূর্তে উৎক্ষিপ্ত হয়
দাসত্ব, পসার কিংবা একক প্রতিরোধকে
দলবদ্ধ হিংসায় ধ্বস্ত করে ।
সৃজন বেদনাময় নয় বলেই
বীর্যবান, তুমি এত ধ্বংসপ্রিয় !
অনর্থক নির্মাণের খেলা বিশ্বময়-
ঈশ্বরের নামে, কবিতার নামে,
সৌন্দর্যের নামে—নির্মাণের বিপণন ।
সেই নমাস ছিলাম অকৃত্রিম পবিত্রতায়।
Tags:
একক কবিতা