অনেক ভালো কাজের দৃষ্টান্তের মাঝেও - স্বজন পোষণ, একচ্ছত্র ক্ষমতার বিরাজ, তোলাবাজি, আর্থিক দুর্নীতি এজাতীয় সব রোগ পূর্বতন সরকারের ছিল না বললে, সেই সরকারের অনৈতিক সমূহ কাজের প্রতি নিছকই আনুগত্য প্রকাশ পায়।বামপন্থীর সমর্থক এবং সক্রিয় বামকর্মীর সংজ্ঞা ভিন্নতর জেনেই একথা স্পষ্ট বলতে পারি, বাংলার বাম শাসকের শেষ সময়কাল এবং বর্তমান সুবিধাপন্থী শাসকের সময়কালের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে পতাকার রঙ ছাড়া আজ কোন তফাৎ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পূর্বতন সময়কালের উল্লেখিত রোগব্যাধি যে শুধু আছে তাই না, সমাজের প্রত্যেকটি শাখাপ্রশাখায় তার ব্যাপ্তি বা অবস্থান অতিআধুনিকতার মোড়কে আজ আরও প্রকট এবং প্রকাশ্য।
বহু চর্চিত, নন্দিত – নিন্দিত বামধারার বদলের পর কেটে গেছে বহু দিন মাস বছর।বদল চলছেই।
এখন শিক্ষার অধিকার,কাজের অধিকার, স্বাস্থ্যর অধিকার,জমির অধিকার,সু-শাসনের অধিকার অগ্রাধিকারের পরিবর্তে যেনতেন প্রকারেণ আজ শুধুই ভোটে জেতার অধিকার ।এও বুঝি এক মৌলিক অধিকার।ক্ষমতার মসনদে বসার অধিকার।
আমরা অবগত, কায়েমী এই রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির যেমন প্রচুর সম্ভার তেমনই তার প্রবল সম্ভাবনা ।মূলত রাষ্ট্রীয় কোষাগার এবং জনগণের অর্থ আত্মসাৎ বা তছরুপের সুবিশাল এই মহাযজ্ঞে খুব সাধারণের ভূমিকা বা অবস্থান একদমই শূন্য।জনগণের সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠা সাধারণ মানুষ নন, দুঃসাহসিক সেবায়েতরা যে একমাত্র এই মহাযজ্ঞের চালিকাশক্তি একথা অনস্বীকার্য ।
অন্যথায় বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজিত সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে রাজনীতি কেন? ক্ষমতা আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেনই বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রত্যাবর্তন! কেনই বা সাম্প্রদায়িক বিভেদকে তোল্লাই দেবার রাজনীতি। কেনই বা এন আর সির নামে মানুষের ভিটে মাটি উচ্ছেদ করার চক্রান্ত ?
এই বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী অপশক্তির কোন স্থান নেই।এই কথাটিও আজ আমরা বলতে পারি বা লিখতে পারি পূর্বতন বাম সরকারের ফলপ্রসূ রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা থেকেই।
মানুষ জাগছে। শুধুমাত্র দেশাত্মবোধকে উসকে দিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার দিন শেষ।আবার মানুষ বিকল্প ভেবে যে দলকে বিজয়ী করছেন তাঁদেরও ভাবার সময় এসেছে কেননা মানুষ ছুঁড়ে ফেলতে শিখে গেছে …
সুচিন্তিত মতামত দিন