জ্যৈষ্ঠের শেষ সপ্তাহ চলছে। গরম আর রৌদ্রতাপে নাজেহাল অবস্থা,এমনই এক সন্ধ্যা লগ্নে কত্তা অফিস থেকে ফিরেই প্রস্তাব রাখলেন, ‘ ১০ই জুন তো আসছে, বনলতা যাবে নাকি?’ বনলতা! নামটা শুনেই চমকে উঠলাম। বনলতা শুনলেই নাটরের বনলতা সেনের কথা মনে হয়। এই নামের কোনো ঘুরতে যাওয়ার জায়গা আছে বলে তো জানা নেই। বিস্মিত হয়ে বললাম, বনলতা! সেটা আবার কি?
কত্তা বললেন, বাঁকুড়াতে একটা জায়গা আছে। নেটে বনলতা লিখে সার্চ করো দেখতে পাবে’।
একে তো এই গরম, তাতে বাঁকুড়া। কিন্তু সুযোগ বারবার আসে না, যেখানেই হোক, ঘুরতে যাওয়া নিয়ে কথা। নেটে সার্চ করতেই ভেসে উঠল বনলতা নামে একটা সুদৃশ্য গ্রাম্য পরিবেশের ছবি। পুরোটাই নাকি একটা হোটেল। মনে মনে ভাবলাম, শীতকাল হলে এমন পরিবেশে গায়ে রোদ লাগিয়ে বেশ ঘুরে বেড়ানো যেত, কিন্তু এই গরমে সেটা তো সম্ভব নয়,শুধু ঐ হোটেলে থাকার জন্য যাব? আসে পাশে কি কিছুই নেই আর দেখার? আরে, আছে তো, ম্যাপ খুলতেই দেখতে পেলাম জায়গাটা আসলে বাঁকুড়া জয়পুর ফরেস্টের গায়ে লাগা। জঙ্গল যখন আছে তখন আর না বলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তল্পি উঠিয়ে চললাম জয়পুর,বনলতা আমরা দুটি পরিবার। বর্ধমান থেকে গাড়িতে যেতে সময় লাগল আড়াই ঘন্টা মতো।পৌঁছালাম যখন, তখন ঘড়িতে সাড়ে এগারোটা বাজে। বনলতার বিস্তীর্ণ এড়িয়ার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের থাকার জায়গা আছে।আমাদের যে ঘর দেওয়া হল, সে গুলি জোড়া কটেজের মতো।নয়,দশ নাম্বার আমাদের।এরকম পাঁচখানা জোড়া কটেজ। সামনে সাজানো বাগান,তার ঠিক গা ঘেঁষে সুন্দর একটা পুকুর।
কটেজের ঠিক পিছনেই শুরু হয়েছে ঘন শালের জঙ্গল। যখন পোঁছালাম, বাইরে তখন চকচকে রোদ। ওখানে পৌঁছাতেই একটি মাঝ বয়সি স্থানীয় মহিলা এসে বলল, ‘আমার নাম অষ্টমী, আপনাদের যা দরকার লাগবে, চা,জল,দারু.... আমাকে বলবেন, আমি এনে দেব’। মেয়েটি চলে যেতে আমরা ব্যাগ রেখে সামনের চাতালে রাখা কাঠের ডাইনিং টেবলে এসে বসলাম। চায়ের সাথে আড্ডাটা তখন বেশ জমে উঠেছে হঠাৎ দেখলাম, একটা কালো মেঘের দলা ধীরে ধীরে যেন ছেঁয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাচ্ছে চকচকে রোদ। ময়ূরের মত পেখম তুলে নাচতে ইচ্ছা হল মেঘ দেখে। সত্যি বলতে ভীষণ মনে মনে বৃষ্টি চাইছিলাম, চাইছিলাম এমন সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশে একটু বৃষ্টিতে ভিজতে। সেটা যে এভাবে এত তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে ভাবতেই পারি নি। শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। আমরা দলবেঁধে চারজন সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাঁটতে লাগলাম বনলতার বিস্তীর্ণ এলাকা। সত্যিই অপূর্ব জায়গা। সবুজ ভেজা ঘাসের লনে পা রেখে বৃষ্টি ভেজার স্বাদই আলাদা। বেশ অনেকটা সময় কেটে গেল এভাবে। প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে নিজেদের কটেজের দিকে ফিরতে ফিরতে হঠাৎ চোখ গেল একটা লালমাটির সরু রাস্তার দিকে। রাস্তাটা বনলতার মাঝ দিয়ে গেলেও আসলে রাস্তাটা সরকারি।এমন অজানা পথ চিরকালই মনকে টেনে নেয় তার দিকে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। সুমন্ত কটেজে ফিরে যেতেই আমরা চারজন বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটা লাগালাম সেই পথে। মাথার উপর তখন ক্রমশ কালো মেঘ জমে চলেছে। রাস্তাটার দু’পাশে জঙ্গল। ডানদিকে আমবাগান। কোথায় গিয়ে শেষ এই রাস্তার কোনো ঠিক নেই। লাল মাটির কাদায় বারবার আটকে যাচ্ছে জুতো। দূরে একটা চকচকে সবুজ বাঁশ গাছের ঝাড় দেখা যাচ্ছে। আর ঠিক যেন তার পিছন থেকেই উঠে আসছে কালো মেঘ আর মাঝে মাঝে শব্দহীন আলোর ঝলকানি। এগিয়ে চলেছি আমরা ঐ বাঁশ ঝাড়কে লক্ষ করে, হঠাৎ বিকট বাজ পড়ার আওয়াজে চমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম আমরা। না, আকাশের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে আসছে।আর এগোতে একটু ভয় পেলাম। লালমাটিতে চটি চটাস চটাস করতে করতে ফিরে এলাম কটেজে। সারাদিন ধরে চলল অঝোর ধারার বৃষ্টি। সামনে পুকুরের বুকে বৃষ্টির ফোঁটার টুপটাপ নাচ।
কটেজের ঠিক পিছনেই শুরু হয়েছে ঘন শালের জঙ্গল। যখন পোঁছালাম, বাইরে তখন চকচকে রোদ। ওখানে পৌঁছাতেই একটি মাঝ বয়সি স্থানীয় মহিলা এসে বলল, ‘আমার নাম অষ্টমী, আপনাদের যা দরকার লাগবে, চা,জল,দারু.... আমাকে বলবেন, আমি এনে দেব’। মেয়েটি চলে যেতে আমরা ব্যাগ রেখে সামনের চাতালে রাখা কাঠের ডাইনিং টেবলে এসে বসলাম। চায়ের সাথে আড্ডাটা তখন বেশ জমে উঠেছে হঠাৎ দেখলাম, একটা কালো মেঘের দলা ধীরে ধীরে যেন ছেঁয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাচ্ছে চকচকে রোদ। ময়ূরের মত পেখম তুলে নাচতে ইচ্ছা হল মেঘ দেখে। সত্যি বলতে ভীষণ মনে মনে বৃষ্টি চাইছিলাম, চাইছিলাম এমন সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশে একটু বৃষ্টিতে ভিজতে। সেটা যে এভাবে এত তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে ভাবতেই পারি নি। শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। আমরা দলবেঁধে চারজন সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাঁটতে লাগলাম বনলতার বিস্তীর্ণ এলাকা। সত্যিই অপূর্ব জায়গা। সবুজ ভেজা ঘাসের লনে পা রেখে বৃষ্টি ভেজার স্বাদই আলাদা। বেশ অনেকটা সময় কেটে গেল এভাবে। প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে নিজেদের কটেজের দিকে ফিরতে ফিরতে হঠাৎ চোখ গেল একটা লালমাটির সরু রাস্তার দিকে। রাস্তাটা বনলতার মাঝ দিয়ে গেলেও আসলে রাস্তাটা সরকারি।এমন অজানা পথ চিরকালই মনকে টেনে নেয় তার দিকে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। সুমন্ত কটেজে ফিরে যেতেই আমরা চারজন বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটা লাগালাম সেই পথে। মাথার উপর তখন ক্রমশ কালো মেঘ জমে চলেছে। রাস্তাটার দু’পাশে জঙ্গল। ডানদিকে আমবাগান। কোথায় গিয়ে শেষ এই রাস্তার কোনো ঠিক নেই। লাল মাটির কাদায় বারবার আটকে যাচ্ছে জুতো। দূরে একটা চকচকে সবুজ বাঁশ গাছের ঝাড় দেখা যাচ্ছে। আর ঠিক যেন তার পিছন থেকেই উঠে আসছে কালো মেঘ আর মাঝে মাঝে শব্দহীন আলোর ঝলকানি। এগিয়ে চলেছি আমরা ঐ বাঁশ ঝাড়কে লক্ষ করে, হঠাৎ বিকট বাজ পড়ার আওয়াজে চমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম আমরা। না, আকাশের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে আসছে।আর এগোতে একটু ভয় পেলাম। লালমাটিতে চটি চটাস চটাস করতে করতে ফিরে এলাম কটেজে। সারাদিন ধরে চলল অঝোর ধারার বৃষ্টি। সামনে পুকুরের বুকে বৃষ্টির ফোঁটার টুপটাপ নাচ।
বনলতায় ঢোকার মুখেই দেখেছিলাম সামনে বেশ কয়েকটি খাবার দোকান আছে। ঠিক বিকালে ছাতা মাথায় বেরিয়ে এলাম বাইরে। গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে বৃষ্টির ফোঁটা ফেলে চা-আড্ডার মজাই আলাদা। দেখলাম রাস্তার ওপাশে একটু এগোলেই ফরেস্ট অফিস। সবাইকে হোটেলে পাঠিয়ে আমি আর মণিদীপা পায়ে পায়ে সেই পথে হাঁটতে লাগলাম। একটা বিশাল বড় লোহার গেট। ভিতর থেকে তালা ঝুলছে। একজনের কাছে জানতে পারলাম রেঞ্জারের সাথে দেখা করতে হলে আরেকটু এগিয়ে যেতে হবে। কিছুটা এগিয়ে বাঁয়ে একটা ছোট্ট গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। কেউ কোথাও নেই! একটা আবছা অন্ধকারের আস্তরণ ছড়িয়ে আছে চারপাশের পরিবেশে। একটু দূরে একটা বৃদ্ধ একটা গাছতলায় বসে আছে। তিনিই আমাদের নিয়ে গেলেন রেঞ্জারের সাথে দেখা করার জন্য। জানতে চাইলাম,
জঙ্গলে চোরা শিকারি আসে? কাঠ চুরি হয়?
তিনি মাথা নেড়ে জানালেন, না।
তবে যে দেখলাম জঙ্গলের মাঝে মাঝে বেশ মোটা মোটা সাল গাছের কাটা গুঁড়ি!
তিনি বললেন, ওগুলো আমরাই কেটেছি। ঐ কাটা অংশ থেকে আবার ট্যাগ বেরবে। ওর মধ্যে সবথেকে ভালো টা রেখে বাকি গুলো আবার কেটে দেবেন তারা। বছর দশেকের মধ্যেই আবার বড় শালগাছ হয়ে যাবে।
আর সত্যিই কি হরিণ আছে?
তিনি বললেন নিশ্চয় আছে। দু’দিন আগেই একটা পূর্ণবয়স্ক হরিণ রাস্তার ট্রাকের ধাক্কা খেয়েছিল। ডাক্তার এসে দু’দিন ধরে সেবা করে সুস্থ করেছিল তাকে। সকালেই নাকি যে লোকটা ওকে খেতে দিত, তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে গিয়েছে। আর হাতি? হ্যাঁ, হাতিও এখানে আসে দলবেঁধে। পাশের জঙ্গলে প্রায় একমাস ধরে একটা দল আস্তানা গেড়েছে। যে কোনো দিন চলে আসবে। জঙ্গলের পাশে রাস্তার অপর দিকে সকালেই দেখেছি বিশালবড় একটা আমবাগান।রেঞ্জার জানালেন এখন ওরা এলেই ঐ আমবাগানে হানা দেবে। হাতি, হরিণ,শালবন এদের নিয়ে গল্পের মাঝে কখন যেন সন্ধেটা নেমে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি। বেরিয়ে এলাম ফরেস্ট অফিস থেকে। বড় রাস্তা বেশ নির্জন।পাশ দিয়ে হুশহাশ ছুটে যাচ্ছে ট্রাক। বছর দশেক আগেও এইখানে ডাকাতি হয়েছে,সে কথা মনে আসতেই বেশ ছমছম করে উঠল গা টা। দ্রুত পা চালিয়ে ফিরে এলাম।
সামনের চাতালে বসেই দেখতে লাগলাম বৃষ্টি মাথায় নিয়েও বনলতার কর্মীদের কর্মব্যস্ততা। সন্ধের দিকে টিপটিপ বৃষ্টিতে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে গল্প জুড়লাম অষ্টমীদি’র সাথে। জানলাম বনলতা কিভাবে একটা অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছে। প্রায় চারশো কর্মচারীর সবাই এই অঞ্চলের দরিদ্র গ্রামবাসী। যার কোথাও কাজ জোটে না, বনলতার মালিক ঠিক খুঁজে একটা না একটা কাজে ঢুকিয়ে দেয় তাদের। ‘পরণের কাপড়, দু’বেলা মাছভাত... আর কি চায় বলো আমাদের?’ .... বলে ওঠে অষ্টমীদি। বনলতার সবজি, মাছ সব খাঁটি। এরা নিজেরাই চাষ করে। কিছু মানুষ শালপাতার থালা তৈরি করে দিয়ে যায় হোটেলে। অতিথীদের সেই পাতাতেই খেতে দেওয়া হয়।
পুকুরের ধারে ধারে জ্বালানো আলোকস্তম্ভের গা বেয়ে নেমে যাওয়া বৃষ্টধারা দেখতে দেখতে কিভবে যেন রাত গড়াতে থাকে।
একটা পুরোদিন কেটে যায় বনলতায়। সকাল থেকে আলিস্য গায়ে মাখা ছাড়া আর তো কোনো কাজ নেই আমাদের। একটু বেলায় একটা টোটো ঠিক করে বেরিয়ে পড়লাম জঙ্গলের পথে। আগের দিন ঠিক সন্ধের আগে একবার গাড়িতে গিয়েছিলাম এই পথে। মাঝে শুয়ে কালো মসৃণ রাস্তা আর দু’ধারে ঘন সবুজ প্রাকৃতিক শালবন। এখানে নাকি প্রায় হরিণ দেখা যায়। টোটো সড়ক পথে ছেড়ে ডানদিকে জঙ্গলের মধ্যে যাওয়ার সরু লালমাটির রাস্তা ধরল। কি অপূর্ব সে পথের শোভা।না, বারবার মনে হবে এ কোনো বাস্তর নয়, পটে আঁকা ছবি মাত্র, কিন্তু এই প্রকৃতি সত্যিই বাস্তব।মাঝে লালমাটির রাস্তা শুয়ে, দু’ধারে সবুজ শালের সারি।আমরা ক্রমশ এলোমেলো ঘুরে বেড়াচ্ছি জঙ্গলের মাঝে। এই মাঝ দুপুরে হরিণ যে চোখে পড়বে না, সে তো জানা কথা,তবু চোখ কিছু অজানা খুঁজে চলেছে। পথের দু’ধারে পড়ে আছে মহুয়াফল।তাই নিয়ে ব্যাগে ভরলাম।টোটোর ছেলেটি বলল, এই ফলগুলো ভেজে খেতে নাকি খুব ভালো লাগে। কি জানি কেমন লাগে,শেষ পর্যন্ত খাওয়া হয় নি।
দুটো দিন কোথা দিয়ে যেন ছুটে চলে গেল। রাত পোহালেই ফেরার সূর্য দেখা দেবে। সন্ধে থেকেই সবাই বাইরের চেয়ার-টেবিলে বসে আড্ডায় মেতে উঠলাম। তারিখটা ১০ই জুন, আমার জন্মদিন।একটা একেবারে অন্যরকমের জন্মদিন।প্রথমবার মোমবাতিতে ফুঁ দিয়ে কেক কাটা।জীবনের একটা দিন স্মরণীয় করে তুলল সুমন্ত আর মণিদীপা।ওরাই তো চুপিসারে সব আয়োজন করেছিল।
পরদিন খুব ভোরে উঠে পড়লাম। ফেরার ঘন্টা বেজে গিয়েছে,কিন্তু তখনও একটা পথের শেষের রহস্য উন্মোচন বাকি। সেই পথ, যে পথে বৃষ্টিতে হেঁটেছিলাম। বেরিয়ে পড়লাম দুজনে। লাল মাটিতে পায়ের চিহ্ন আঁকতে আঁকতে হেঁটে চললাম পথের শেষ খুঁজতে। একটা রাঙামাটির আঁকাবাঁকা পথের শেষে দেখা পেলাম বিশালবড় একটা জলাশয়ের।ঘাটে বাঁধা একটা নৌকা।শীতের সময় অনেক লোকজন আসে,তখন এই জলাশয়ের বুকে বোটিং করা যায়। ঝোঁপের পিছন থেকে ধীরে ধীরে লাল সূর্যটা উপরে উঠে আসছে। আঁকাবাঁকা প্রতিবিম্ব খেলা করছে জলে। আমরা চেয়ে আছি অবাক চোখে।একই ছবি কতবার দেখেছি,কিন্তু প্রতিবার নতুন লাগে। চেনা প্রকৃতি প্রতিদিন নতুন রূপে এসে দাঁড়ায় আমাদের সামনে। নাহ্, আর সময় নেই।ঘড়ি বলচে বাড়ি ফিরতে হবে। যে আসে তাকে যেতেই হয়।এটাই তো জীবনের অমোঘ সত্য। যেতে হয় কখনও দেশ থেকে দেশান্তরে বা শহর থেকে অন্য শহরে।
rumkiraydutta@gmail.com
rumkiraydutta@gmail.com
সুচিন্তিত মতামত দিন