স্বপ্ননীল

স্বপ্ননীল
হিরণ্য ও একটি চশমা..

হিরণ্যকে লিখেছিলাম শনিবারে আসতে
ও আসেনি।বইগুলো আলমারিতে রেখে গেলাম।
আমি জানি ও যেদিন আসবে আলমারিতে ইতিউতি করবেই।

আলমারির তিনটে সারি
প্রথম সারিতে মহাভারত রাখলাম
দ্বিতীয় সারিতে এই রাখলাম অর্থনীতি
আর তৃতীয় সারিতে আমাদের শোক সংক্রান্ত হতাশা

হিরণ্য এলে ওযেন বইগুলো সঙ্গে নিয়ে যায়,আর সঙ্গে আমার চশমাটাও..!!!
               

ফসল ফলার আগেই ঘুমিয়ে পড়েছেন 

কবিতা লেখার পর কে বা কারা নিয়েগেলো ছাপতে।
তারপর-
দিন মাস বছর গেল তবু খবর আসেনি কিছুই।
কবি চিন্তিত উড়ন্ত পাখিটিকে দেখে
ভাবছিলেন-কোথায় যেতে চায় সে এখন?
কিছুক্ষণ পর-
দেখলেন পাখিটির পালক খসে যাচ্ছে
আর পাখিটি ধীরে ধীরে নেমে আসছে নিচে
অনেক শিকারী হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে
কোন একজনের হাতে ধরাও পড়ল সে
প্রথমে তার পা দুটো দুফাঁক করল।তারপর পাঁজর।
তারপর গলা; যেখানে তার হাজার কণ্ঠ জমা ছিল।
কবি ফিরে এলেন কবিতায়
কবিতার খাতায় ভীষণ রক্তারক্তি তখন।সব অক্ষর ছটপট করছে যন্ত্রনায়।অথচ
কবি একটা জিজ্ঞাসা চিহ্নের পাশে ক্রমশ নিঃস্তেজ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন..               


স্বপ্ননীল
সিতিবিন্দা,সাহড়দা,পিংলা,
পশ্চিম মেদিনীপুর,৭২১১৩১,


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.